ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া সচেতনতার প্রচারণায় মেয়র আতিকুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৭:০০ অপরাহ্ণ, জুন ২৫, ২০১৯

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে প্রচারাভিযানে নেমেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ডিএনসিসির ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে আয়োজিত এ প্রচারাভিযানে অংশ নেন মেয়র। মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাজধানীর মগবাজার থেকে শুরু হওয়া এ প্রচারাভিযান নয়াটোলায় গিয়ে শেষ হয়।

শুরুতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে নগরবাসীদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, আমরা যে যেখানেই থাকি না কেন ঘরের ভেতরে বা বাইরে কোথাও তিনদিনের বেশি পানি যেন জমতে না দেই। কারণ তিনদিনের জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া রোগের বাহক এডিস মশা বংশবিস্তার করে। বিশেষ করে ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার, ফ্রিজ-এসি থেকে নির্গত পানি, ফেলে দেওয়া পাত্র, ডাবের খোসা ইত্যাদিতে পানি যেন জমে না থাকে।

ব্রিফিং শেষে মগবাজার চৌরাস্তা জামে মসজিদে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের সব ইমামকে নিয়ে আতিকুল ইসলাম বৈঠক করেন। বৈঠকে ইমামদের ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের কারণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে অবহিত করেন। জুমা নামাজের খুতবার আগে ও অন্য ওয়াক্তের নামাজের আগে উপস্থিত মুসল্লিদের ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ সম্পর্কে সচেতনতামূলক উপদেশ দেওয়ার জন্য তিনি ইমামদের প্রতি আহ্বান জানান।

মেয়র বলেন, ইমামদের উপদেশ আমরা গুরুত্ব সহকারে মেনে চলি, তাই জনগণকে সচেতন করার জন্য তাদের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এসময় ইমামদের ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ সংক্রান্ত তথ্যসম্বলিত লিফলেট ও স্টিকার বিতরণ করা হয়।

পরবর্তীতে বড় মগবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে মেয়র শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া সম্পর্কে বক্তব্য দেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমরা এখানে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া সম্পর্কে যা জানলে, বাসায় গিয়ে তা বাবা-মাকে জানাবে। সচেতনতা ছাড়া ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া অসম্ভব। শিক্ষার্থীদের মধ্যে তিনি এসময় ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া তথ্যসম্বলিত প্রচারপত্র বিলি করেন।

এরপর মেয়র মগবাজার থেকে নয়াটোলা পর্যন্ত হেঁটে হেঁটে পথচারীদের প্রচারপত্র বিলি করেন এবং তাদের ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া রোগ সম্পর্কে সতর্ক করে দেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাম্প্রতিক জরিপে (প্রি-মনসুন) ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকার মধ্যে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে (মগবাজার এলাকা) ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার বাহক এডিস মশার লার্ভা সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়।

প্রচারাভিযানকালে অন্যদের মধ্যে লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোক্তার সরদার উপস্থিত ছিলেন।

 
Electronic Paper