মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পেলে ফার্মেসি সিলগালা
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৪:৪৩ অপরাহ্ণ, জুন ২৫, ২০১৯
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেছেন, কোনো ফার্মেসিতে যদি মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া যায়, তবে সেই ফার্মেসি সিলগালা করা হবে। এ ওষুধ মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। হেলাফেলার সুযোগ নেই।
সোমবার পুরান ঢাকার বংশালে ফজলুল করিম কমিউনিটি সেন্টারে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের সঙ্গে বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতির মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওষুধ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে মাহবুবুর রহমান বলেন, আপনার সন্তানকে কি আপনি মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ খাওয়াবেন? যদি না খাওয়ান তবে দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখেন কেন? ফার্মেসিতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে দুই বছরের বেশি সময় আগে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া ওষুধ আছে। এরপর থেকে ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখলে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। নকল, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সম্পর্কে প্রতিটি বিভাগে সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম করা হবে।
২৬ জুন রাজশাহীতে ফার্মেসি কর্মীদের নিয়ে সচেতনামূলক প্রোগ্রাম করা হবে। তাদের ট্রেনিং করানো হবে। হাইকোর্ট এক মাসের মধ্যে সব ফার্মেসি থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সরাতে বলেছেন।
বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ২ জুলাইয়ের মধ্যে সব ওষুধ কোম্পানিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ফেরত দিতে হবে। মাহবুবুর রহমান বলেন, ফার্মেসিতে আনরেজিস্ট্রার্ড ও নকল ওষুধ রাখা যাবে না। ৩৯টি ওষুধের লিস্ট আছে। এসব ওষুধ বাদ দিতে হবে। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোনো ওষুধ ও অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করা যাবে না।
ওষুধ অনেক সেনসিটিভ। বেশি তাপমাত্রায় রাখা যায় না। তাই প্রতিটি ফার্মেসিতে এসি ও রেফ্রিরেজটর রাখতে হবে। বিশ্বের অনেক দেশের ওষুধের মান নিয়েও প্রশ্ন আছে। কিন্তু বাংলাদেশের ওষুধের মান নিয়ে কোনো কথা নেই।
ওষুধের দোকানে র্যাবের অভিযান বন্ধের বিষয়ে সভায় রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের শাসন ও শোষণ করার জন্য সরকার ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর তৈরি করেছে। অধিদফতর থেকে আমাদের আইন-কানুন শেখাবে, আমাদের অন্যায় হলে অভিযান চালাবে। কিন্তু দু-একজন অপরাধ করে। আর তাদের জন্য গোটা ওষুধ ব্যবসায়ীদের ধরতে র্যাব আসে। তারা যখন এ মিটফোর্ডে আসে তখন আমরা ভয় পাই।