পাল্টাতে পারে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি
ভারতের নির্বাচনের হিসাব-নিকাশ
রহমান মুফিজ
🕐 ১০:৩৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২০, ২০১৯
উগ্র হিন্দুত্ববাদ ও জাতীয়তাবাদের জিগির তুলে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসা নরেন্দ্র মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবারের লোকসভা নির্বাচনে প্রচণ্ড বেকায়দায় পড়েছে। কারণ তার দল ক্রমাগত ফ্যাসিবাদী আচরণের দিকে ঝুঁকছে। এর ফলে ম্লান হচ্ছে বিজেপির মোদি ইমেজ। এরই মধ্যে মোদির বিরুদ্ধে একাট্টা হয়েছে ভারতের সমস্ত আঞ্চলিক দল ও জোট।
সর্বশেষ পাওয়া খবরে দেখা যাচ্ছে, আসন সংখ্যার দিক থেকে দেশটির সবচেয়ে বড় উত্তরপ্রদেশের দুই প্রধান দল মুলায়েম সিং যাদবের সমাজবাদী পার্টি (এসপি) অপর দিকে কুমারী মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টি (বিএসপি) ‘মোদি হঠাও’ ইস্যুতে একমঞ্চে দাঁড়িয়েছেন সম্প্রতি। অথচ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে মুলায়েম-মায়াবতীর মুখ দর্শনই ছিল না। মুলায়েমের পার্টির নেতৃত্বে রয়েছেন এখন তার ছেলে অখিলেশ যাদব। লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অখিলেশ-মায়াবতীর জোট এখন বিজেপির জন্য ‘চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত নির্বাচনে এ দুই আঞ্চলিক দলের অনৈক্যের কারণে ৮০টি আসনের মধ্যে মোদির বিজেপি এককভাবে ৭১টি আসন পেয়েছিল। কিন্তু এবার জোটবদ্ধ নির্বাচন করায় অখিলেশ-মায়াবতী জোট থেকে বিজেপি দুয়েকটি বেশি আসন ছিনিয়ে আনতে পারবে না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অখিলেশ-মায়াবতী জোট আশা করছে, অন্তত ৫০টি আসন তারা পাবে এ প্রদেশ থেকে। এর ফলে মোদির দিল্লিজয় যে কঠিনতর অবস্থায় পৌঁছবে তা সহজেই অনুমান করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উত্তরপ্রদেশ ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গে মমতার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে কংগ্রেস, তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি), ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের ন্যাশনাল কনফারেন্স, আম-আদমি পার্টি, উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টি, ঝাড়খন্ডের মুক্তি মোর্চাসহ নানা অঞ্চলিক দল একাট্টা হয়ে গত জানুয়ারি মাসে কলকাতা ব্রিগেড ময়দানে বিশাল সমাবেশ করে। সে সমাবেশে ভারতের আঞ্চলিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা অংশ নিয়ে বিজেপিবিরোধী নির্বাচনী জোট ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া’ যাত্রা শুরু করে। সমাবেশে মমতা বলেছিলেন, ‘ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারে থাকা মোদি সরকারের এক্সপায়ার ডেট শেষ হয়ে গেছে। সবকিছুর যেমন এক্সপায়ার ডেট থাকে তেমনি মোদি সরকারেরও এক্সপায়ার ডেট শেষ। এবার আর ভারতের মানুষ মোদি সরকারকে ক্ষমতায় ফিরতে দেবে না।’
এর আগে নরেন্দ্র মোদির বিজেপিকে ঠেকাতে কেন্দ্রীয়ভাবে রাহুল গান্ধী নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস অলিখিত জোট গড়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মহারাষ্ট্রের শরদ পাওয়ার, কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুখ আবদুল্লাহ, অন্দ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালরা। ভারতের সর্বাধিক প্রাচীন দল কংগ্রেস বুঝতে পেরেছে, একক শক্তিতে কোনোমতেই দিল্লির ক্ষমতায় ফিরে আসা সম্ভব নয়। তাই আঞ্চলিক দলগুলোর সঙ্গে যুগপৎ কর্মসূচি ও ঐক্যের মধ্য দিয়ে বিজেপিবিরোধী নির্বাচনী ঐক্য গড়ে তোলায় মনোযোগী হয়েছে। ৫৪৪ আসনের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের আঞ্চলিক দলের সহযোগিতা যে জরুরি, তা উপলব্ধি করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
বিজেপি বিরোধী ঐক্য কংগ্রেসে সবচেয়ে বড় দল এবং নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন তাদেরই পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও মোদি হঠানোর মিশনে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে কংগ্রেস আঞ্চলিক দলগুলো থেকেই প্রার্থী বেছে নেবে বলে জানিয়েছে কংগ্রেস সূত্র। এ ক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশের অখিলেশ যাদব, মায়াবতী এবং পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলোচনায় রয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন রাজনৈতিক প্রভাব ও বাগ্মিতায় মমতা এ ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছেন।
ভারতের অভ্যন্তরে একটি জরিপে দেখা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে ভারতের তিন ক্ষমতাবান নারী রাজনীতিবিদ। তারা হলেন বহুজন সমাজবাদী পার্টির মায়াবতী, মমতা ও সোনিয়া গান্ধী। এ তিন রাজনীতিবিদ ভারতের নারী ভোটারদের কাছে আস্থার প্রতীক হয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছেন। এদের মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করা হচ্ছে প্রিয়াঙ্কাকে।
এমন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই এবারের লোকসভা নির্বাচনে নানা সমীকরণ মেলাতে হচ্ছে নরেন্দ্র মোদির বিজেপিকে। লোকসভা নির্বাচনে সাধারণ ভোটার ও বিরোধীদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছেন না তারা। নিবাচনী প্রচারণায় যথারীতি হিন্দুত্ববাদ ও উগ্র দেশপ্রেমের ধাপ্পাবাজির আশ্রয় নিলেও বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে মোদি ও তার দলকে। বিশেষ করে বেকারত্ব দূরীকরণে চরম ব্যর্থতা, শাইনিং ইন্ডিয়ার নামে অর্থনৈতিক উন্নয়নের নামে করপোরেট পুঁজির কাছে গোটা দেশকে সমর্পণ করে দেওয়া, বিভিন্ন রাজ্যের কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে না পারা ইত্যাদি অপকর্মের কোনো সদুত্তর দিতে পারছে না ক্ষসতাসীন দলটি এবং তার নেতা মোদি। সর্বশেষ কাশ্মীরের পুলওয়ামা হামলার ঘটনাকে পুঁজি করে নিবাচনী বৈতরণী পার হওয়ার মরিয়া প্রচেষ্টাও মুখ থুবড়ে পড়েছে। কারণ উপর্যুপরি মিথ্যাচার এবং হিন্দুত্ববাদী উগ্র চেতনাকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতার মসনদে বসার অভিসন্ধি টের পেয়ে গেছে ভারতের ভোটাররা। তাদের তথাকথিত সার্বভৌমত্ব, সামরিক শক্তি, উগ্র জাতীয়তাবাদের চাইতে প্রাধান্য পাচ্ছে মানুষের কর্মসংস্থান, দারিদ্র্য নির্মুল, খাদ্য অধিকার নিশ্চয়তার মতো গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক ইস্যু। ফলে এবারের লোকসভা নির্বাচনে হাওয়া কার্যত মোদিবিরোধী তৎপরতায় রূপ নিয়েছে। কেন্দ্র থেকে আঞ্চলিক পর্যায় পর্যন্ত সর্বত্র ‘মোদি হঠাও’ আওয়াজ উঠেছে।
ভারতের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, মোদির বিরুদ্ধে এক ধরনের রাজনৈতিক জাগরণ শুরু হলেও এ মুহূর্তে মোদির ভাগ নিয়ে স্পষ্ট কোনো ভবিষ্যদ্বাণী করা হবে মারাত্মক ভুল। কারণ আঞ্চলিক পর্যায়ে মোদিবিরোধী প্রচারণা চললেও বিরোধী শক্তিগুলোর মধ্যে এখনো কোনো দল বা জোট কেন্দ্রীয়ভাবে সুসংহত ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। তবে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান থেকে মোদিবিরোধী বক্তব্য নিয়ে লোকসভায় লড়ছে তারা। এ বাস্তবতায় মোদির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জে জয়ী হওয়া অনেকটা দুরূহ ব্যাপার হতে পারে।
বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের লোকসভা নির্বাচণের ওপর পাল্টে যেতে পারে বাংলাদেশের রাজনীতির হিসাব-নিকাশ। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, চলমান নির্বাচনে বিজেপির সম্ভাব্য জয় পরাজয় নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে বটে তবে বিভিন্ন জরিপের ফলাফল থেকে যেসব তথ্য উঠে আসছে তাতে নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতাসীন বিজেপি আবারও সরকার গঠন করতে পারে। তবে ২০১৪ সালের মতো একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে তার ক্ষমতায় আসতে পারবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গত নির্বাচনে ভারতের জনগণের কাছে দেওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতিই মোদি রক্ষা করতে পারেননি। ১৩০ কোটি মানুষের দেশ ভারতে অর্ধেকেরও বেশি যুবকের বয়স ২৫ বছরের নিচে। এবং এদের মধ্যে দশ লক্ষাধিক যুবক চাকরির অভাবে বেকার হচ্ছে প্রতি বছর। কর্মসংস্থানের বদলে মোদির পাঁচ বছরের শাসনামলে বেকার সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে।
২০১৮ সালেই বেকারত্বের হার বেড়েছে ৬.১ শতাংশ, যা বিগত ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। অপরদিকে দেশটির উত্তরাখণ্ড রাজ্যের এক কৃষক ঈশ্বর চন্দ্র শর্মা ঋণে জর্জরিত ও প্রতারিত হয়ে ৮ এপ্রিল বিষপানে আত্মহত্যার মধ্য দিয়ে বিগত পাঁচ বছরে ভারতের কৃষকের দুর্দশার চিত্রটি তুলে ধরেছে। আত্মহত্যার আগে তিনি একটি সুইসাইডাল নোটও লিখে গেছেন; যেখানে লেখা ছিল-‘গত পাঁচ বছরে বিজেপি সরকার কৃষককে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের ভোট দেওয়া যাবে না।
উল্লেখ্য, গত দুবছরে দেশটিতে ১৭ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। নির্র্বাচনের আগে ঈশ্বরচন্দ্রের এ সুইসাইড নোট ভারতের নির্বাচনে প্রভাব ফেলেছে। শুধু তাই নয় মোদির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, ভারতের আর্থিক খাতের বড় বড় প্রকল্প করপোরেট সিন্ডিকেটের হাতে তুলে দেওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এসব অভিযোগ ও ব্যর্থতার কারণে এবার নির্বাচনে মোদি ম্যাজিক আর কাজে লাগছে না।
পাশাপাশি আসাম-ত্রিপুরাসহ দেশের অন্যান্য রাজ্যে সাম্প্রদায়িক মনোভঙ্গি থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি যে নিপীড়ন, জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে নানা টালবাহানার ঘটনা ক্ষুব্ধ করেছে দেশটির ধর্মনিরপেক্ষ অধিকাংশ মানুষকে। সর্বশেষ কাশ্মীর ইস্যুতে তথাকথিত এই ‘মোদি ম্যাজিক’ ধরে রাখতে পারেননি নরেন্দ্র মোদি। ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন পাকিস্তানে আটক হওয়ার পর সে ম্যাজিকে কিছুটা ভাটা পড়েছে।
প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য বিশেষ গুরুত্ববহ। ভারতের আগামী কেন্দ্রীয় সরকার কোন দল গঠন করবে, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ২৩ মে পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। তবে এটা নিশ্চিত যে ভারতের ক্ষমতার রদবদল বাংলাদেশসহ এশিয়ার রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে প্রভাববিস্তারি ভূমিকা রাখে।
বিজেপির মতো উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল ক্ষমতাসীন হলে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মতো দেশে সাম্প্রদায়িক ও ধর্মান্ধ গোষ্ঠীগুলো নতুনভাবে শক্তি সঞ্চয় করে। কারণ ইতোমধ্যে ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী কর্মকাণ্ড ও আচরণ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য হুমকি হয়ে এসেছে। এ দেশের ভারতবিরোধী রাজনৈতিক শক্তি ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীগলো বিজেপির উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডকে পুঁজি করে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করে। নির্বাচনের পরে দেশটিতে সরকার ও নীতি বদলে গেলে তার প্রভাব পড়বে বাংলাদেশেও। সে কারণে ভারতের নির্বাচনের দিকে ঘনিষ্ঠ নজর রাখছে বাংলাদেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলো। যদিও এ নিয়ে বাংলাদেশের বিশ্লেষকদের মধ্যে রয়েছে একাধিক মত।
কেউ কেউ বলছেন, এই নির্বাচনে কংগ্রেস বা বিজেপি বা তৃতীয় শক্তির কোনো জোট যেই ক্ষমতায় আসুক, আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, তিস্তাসহ বেশ কয়েকটি নদীর পানিবণ্টন নিয়ে আমাদের যে অস্বস্তি আছে, ভীষণ রকম বাণিজ্য বৈষম্য আছে, সেগুলো সমাধানে ভারত মনোযোগী হবে।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে দুদেশের সম্পর্কে ব্যাপক অগ্রগতির কথা বলা হলেও, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ বেশ বড়। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ২৪ লাখ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারণায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ববাদী প্রচারণা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য একটি উদ্বেগের কারণ হতে পারে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ভারতে যদি বিজেপি আবার ক্ষমতায় আসে, অনেকেই ভাবছে তাদের হিন্দুত্ববাদের যে রাজনীতি, তা আরও বেড়ে যাবে। আর সেটা বাড়লে কয়েকটা জায়গায় বিশেষ করে আসামে বা উত্তর-পূর্ব ভারতে ইতোমধ্যে যে পদক্ষেপগুলো তারা নিয়েছে, সেটা আরও বাড়বে। একই সঙ্গে ভারতে ধর্মভিত্তিক দলের বিজয় যদি হয়, হিন্দুত্বের যদি বিজয় হয়, তাহলে বাংলাদেশে যারা ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করে, তারা ভাবতে পারে যে ভারতে হতে পারলে বাংলাদেশে কেন নয়! এ ধরনের প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে।’