পৌনে ২ কোটি মানুষ ম্যালেরিয়া ঝুঁকিতে
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৯:২৯ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৯, ২০১৯
দেশের ১৩ জেলায় ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব রয়েছে। এর ৭১টি উপজেলার প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ মানুষ ম্যালেরিয়া রোগের ঝুঁকিতে রয়েছেন। এমনকি দেশের প্রায় ৯১ শতাংশ ম্যালেরিয়া রোগী এই এলাকা থেকেই আক্রান্ত হন। ঝুঁকিপূর্ণ এসব এলাকাগুলোর মধ্যে পার্বত্য তিন জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবানে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হার সর্বাধিক। এরপর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলাতেও যথেষ্ট প্রকোপ রয়েছে। সবশেষে হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, শেরপুর ও কুড়িগ্রাম জেলাতে তুলনামূলক কম হলেও ম্যালেরিয়ার প্রকোপ রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডা. শহীদ মিলন ভবনে ‘বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত গণমাধ্যমে অবহিতকরণ সভায় এমন তথ্য তুলে ধরা হয়।
২৫ এপ্রিল বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস সামনে রেখে স্বাস্থ্য অধিদফতর, ব্র্যাক ও অন্য সহযোগী সংস্থা অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘আমিই করবো ম্যালেরিয়া নির্মূল’।
প্রতিপাদ্য বিষয়টিকে উল্লেখ করে সভায় বক্তারা বলেন, এই আমিকে, আমরাতে রূপান্তর করে বলতে হবে। আমরাই পারব ম্যালেরিয়া নির্মূল করতে।
দেশের প্রান্তিক অঞ্চলে ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক অবকাঠামো নেই উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, দেশের পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে ম্যালেরিয়া নির্মূল করা সম্ভব নয়। আর নির্মূল করা না গেলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয়। যেসব এলাকাতে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব বেশি, সে এলাকাগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক অবকাঠামো নেই। আবার ১৩টি জেলায় একসঙ্গে ম্যালেরিয়া নির্মূল করা সম্ভব না। পরিকল্পনা মাফিক কাজ করতে হবে। কেননা, এসব এলাকার ভৌগোলিক প্রভাব ও ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাবের মাত্রা ভিন্ন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যালেরিয়া নির্মূল কার্যক্রমের এপিডেমিওলজিস্ট ডা. মশিউর রহমান বিটুর সঞ্চালনায় ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এম এ ফয়েজ, ব্র্যাকের কমিউনিকেবল ডিজিজ ও ওয়াশ কর্মসূচির পরিচালক ড. আকরামুল ইসলাম, ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) সাবেক কর্মকর্তা ডা. এএম বাঙালী, ডব্লিউএইচওর রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার মেডিকেল অফিসার ডা. মায়া সেপাল, জাতীয় কনসালট্যান্ট অধ্যাপক বেনজীর আহমেদ, অধিদফতরের জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. এমএম আক্তারুজ্জামান প্রমুখ।