নুসরাত হত্যা মামলায় গ্রেফতার হাফেজ কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০১৯
নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আট আসামির অন্যতম হাফেজ আবদুল কাদের মানিককে (২৫) গ্রেফতার করেছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই)। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে তাকে রাজধানী ঢাকার মিরপুর আওতাধীন ৬০ ফিট এলাকা সংলগ্ন ছাপড়া মসজিদের পাশের একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
সে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক এবং ফাজিল দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার অনুগত হিসেবে মাদ্রাসার হোস্টেলে থাকতেন আবদুল কাদের।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. শাহ আলম বলেন, ‘কাদেরকে নিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত আট আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পিবিআই। এছাড়া এই ঘটনার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে আরও ১০ জন গ্রেফতার রয়েছে। তারা ফেনী কারাগারে রয়েছে। তাদের মধ্যে শামীম ও নুর উদ্দিন দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।’
আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ১৮ জন গ্রেফতার হয়েছে। তারা হলো– অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ দৌলা, কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুকছুদ আলম, শিক্ষক আবছার উদ্দিন, সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষের ভাগনি উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের হোসেন, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন, মো. শামীম, কামরুন নাহার মনি, জান্নাতুল আফরোজ মনি, শরীফ ও হাফেজ আবদুল কাদের।
প্রসঙ্গত, নুসরাত সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন। ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে তাকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে। নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। ৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যান নুসরাত। এ সময় তাকে কৌশলে একটি বহুতল ভবনে ডেকে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সেখানে তার গায়ে দাহ্য পদার্থ দিয়ে আগুন দেওয়া হয়। বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টায় ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নুসরাত মারা যান।