রাস্তায় নামেন চারুশিল্পীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৯:০৪ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২০, ২০১৯
পূর্ব পাকিস্তানের অবস্থা তখন টালমাটাল। ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে একের পর এক বৈঠক ভেস্তে যাচ্ছে। তখনো চলছিল লাগাতার অসহযোগ আন্দোলন। ২০ মার্চ সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের চতুর্থ দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা আলোচনার পরও কোনো সমাধানে পৌঁছতে পারল না দুপক্ষ। শুধু পাকিস্তান নয় এ বৈঠকের দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা বিশ্ব। প্রেসিডেন্ট ভবনের বাইরে সমবেত হয়েছে বিপুল জনতা।
আলোচনা শেষে প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে বের হয়ে বঙ্গবন্ধু দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেন, ‘আলোচনায় কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। আগামীকাল পুনরায় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসব। এরই মধ্যে আমার উপদেষ্টারা প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টাদের সঙ্গে সময় ঠিক করে মিলিত হবেন।’
এদিন সংবাদপত্রে দীর্ঘ এক বিবৃতিতে বঙ্গবন্ধু দেশের মানুষের ঐক্যবদ্ধ থাকার এবং যার যার অবস্থান থেকে তার নির্দেশ পালন করে যাওয়ার জন্য প্রত্যেককে অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে বাঁচার উদ্দেশে জনসাধারণ সব ধরনের ত্যাগ স্বীকারে বদ্ধপরিকর। তাই মুক্তির লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীন দেশের মুক্ত নাগরিক হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে বাংলার মানুষ প্রস্তুত বয়েছে।’
তিনি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যেতে সবার প্রতি আহ্বান জানান। এ দিন চারুকলার শিল্পীরা স্বাধীনতা পোস্টার বুকে বেঁধে অসহযোগ আন্দোলনে রাস্তায় বের হন।
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, ২৩ মার্চ স্বাধীন পূর্ববাংলা দিবস হিসেবে পালনের আহ্বান জানান।