ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

দুই চাকরি

প্রয়োজন না শখ

আলতাফ হোসেন
🕐 ১১:১০ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০১৯

রাজধানী ঢাকার জীবনযাত্রার বাস্তবতায় দিন দিন বাড়ছে দুই চাকরি করার প্রবণতা। প্রয়োজনে নাকি নিতান্তই শখের বশে মানুষ ঝুঁকছে দুই চাকরিতে? এ নিয়ে খোলা কাগজের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন

নির্ধারিত চাকরির পাশাপাশি অন্য চাকরি করে বাড়তি আয়ের প্রবণতা বাড়ছে রাজধানী ঢাকায়। খণ্ডকালীন কাজ বা ফ্রিল্যান্স করে বাড়তি আয়ের সুযোগ খুঁজছেন অনেকেই। তারা বলছেন, নিয়মিত চাকরির বেতন দিয়ে পরিবারের ভরণপোষণ চালাতে হিমশিম খেতে হয়। প্রতিবছর ব্যয়ের বহর যেভাবে বাড়ছে, সে তুলনায় বাড়ছে না আয়। তাই শারীরিক ও মানসিক ঝুঁকি নিয়েই দুটি চাকরি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। আবার কেউ কেউ নিতান্ত শখের বশে বা সময় কাটাতে ঝুঁকছেন আরেকটি চাকরিতে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শ্রম ও সময়ের তুলনায় অপর্যাপ্ত বেতন, নিয়মিত বেতন না হওয়া, বেসকরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির নিশ্চয়তা না থাকা, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধিতে অনিশ্চয়তা, চাকরি শেষে পেনশন সুবিধা না পাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে দুই চাকরির প্রতি ঝোঁক বাড়ছে। এতে করে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, অনিন্দ্রা, বিষাদগ্রস্ততা, মানসিক অস্থিরতাসহ নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন অনেকে। এতে অকালমৃত্যুরও ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।

দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেসরকারি খাতের উচ্চ স্তরের কর্মকর্তারা বেশি বেতন ও ভালো সুবিধা পান। কিন্তু মাঝারি ও নিম্ন পদের কর্মীরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বেতন পান না। ফলে নিয়মিত বেতন দিয়ে তাদের সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই টানা-হেঁচড়ার জীবন থেকে পরিবারকে সচ্ছল করার জন্য দুই চাকরি করেন।

বাধ্য হয়েই কি দুই চাকরি?
খন্দকার আনিছুর রহমান। সম্পাদনা সহকারী হিসেবে ১৯৮৩ সালে সাপ্তাহিক খবর দিয়ে তার কাজের শুরু। এরপর দৈনিক খবর, সংবাদ, দেশ বাংলা, অর্থনীতির কাগজ, ডেসটিনি, অর্থনীতি প্রতিদিনসহ অনেক পত্রিকায় কাজ করেছেন। সম্পাদনা সহকারী বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন একাধিক পত্রিকায়। একসঙ্গে দুটি চাকরি করছেন তিনি।

আনিছুর রহমান বলেন, দুই চাকরির কারণ অর্থনৈতিক সচ্ছলতা। রাজধানীতে জীবনযাত্রা অনেক ব্যয়বহুল। একটা চাকরি করে যে পরিমাণ অর্থ পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চালানো কঠিন। ফলে নিয়মিত চাকরির পাশাপাশি অন্য কোথাও কাজ করতে হয়।

তিনি বলেন, দুই চাকরি করলে বিশ্রাম কম হয়, খেতে ইচ্ছে করে না, ঘুম আসতে চায় না। সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত কাজ করে আবার সকালে উঠে অফিসে যাওয়া কঠিন। এতে শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। তবুও প্রয়োজনের তাগিদে করতে হচ্ছে। টিকে থাকার জন্য সংগ্রাম, কিন্তু বেঁচে থাকাটাই যেন কষ্টকর হয়ে পড়ে।

দুটি চাকরি করার ফলে মা-বাবা-স্ত্রী-সন্তানদের সময় দেওয়া যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাবার কাছে সন্তানরা বন্ধুর মতো। তারা দুঃখ-কষ্টের কথা বলবে, সমস্যাগুলো ভাগাভাগি করে নেবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দুটো চাকরিতে ব্যস্ত থাকার কারণে তাদের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এর ফলে পরিবারের মধ্যে সৌহার্দ্যমূলক ও আত্মিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে না।

দৈনিক দেশ রূপান্তরের সিনিয়র গ্রাফিক্স ডিজাইনার আলী আকবর সরকার বলেন, ‘সংবাদ, ছবি, ক্যাপশন, বিজ্ঞাপনসহ সমস্ত তথ্য সাজিয়ে গুছিয়ে একটা পরিচ্ছন্ন পত্রিকা প্রকাশে সহযোগিতা করে কম্পিউটার বিভাগ। গণমাধ্যমে এই বিভাগের কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও তাদের সেভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। বেতন কম দেওয়া, ওয়েজ বোর্ডের সুবিধা বঞ্চিত করা, চাকরির নিশ্চয়তা না থাকা, অন্য বিভাগের সহকর্মীদের নিচু চোখে দেখার প্রবণতা- এসব সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এছাড়া শিফট ৬ ঘণ্টা হওয়ায় দুই চাকরির সুযোগ থাকে। ফলে পরিবার সচ্ছল রাখতে দুই চাকরি বা খণ্ডকালীন কাজ করতে হয়।

এ কে এম রমতউল্লাহ কলেজের প্রভাষক রুহুল আমীন বলেন, মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে যে অর্থের প্রয়োজন এক প্রতিষ্ঠানে কাজ করে তা পাচ্ছি না। প্রতিষ্ঠান চাকরির নিরাপত্তা দিতে পারছে না। বিধি ও যোগ্যতা অনুযায়ী প্রাপ্য বেতন পাচ্ছি না। ফলে ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতে হয়। প্রতিষ্ঠান প্রাপ্য বেতন দিলে খণ্ডকালীন কিছু করার প্রয়োজন পড়ে না। বাকি সময় গবেষণামূলক কাজে বা সমাজসেবামূলক কাজে ব্যস্ত থাকা যায়।

মানসিক ও শারীরিক ঝুঁকি কতটুকু?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. নাজমা শাহীন বলেন, প্রত্যেক মানুষ একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কাজ করতে পারে। এরপর বিশ্রামের প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি আসবে। ফলে কাজের কোয়ালিটি মানসম্মত হবে না। এটা শারীরিক ও মানসিক চাপও সৃষ্টি করবে। এতে দ্রুত বার্ধক্য চলে আসবে। এছাড়া পুষ্টিহীনতা, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, স্নায়ুতন্ত্রের অস্থিরতা, অস্বস্তিকর অনুভূতি, মানসিক অস্থিরতা, উদাসীনতা, ঘুম না হওয়া, ক্ষুধামান্দ্যসহ বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

শখ না প্রয়োজন?
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নেহাল করিম বলেন, মানুষ অতিরিক্ত পরিশ্রম করে প্রয়োজনে। শখের বশে কেউ করে না। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতেই দুটা কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা যে আয় করেন তাতে তার সন্তানদের ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে পড়াতে পারবেন না। এটা এখন একটা স্ট্যাটাস। সন্তানদের ইংরেজি মাধ্যমে পড়াতে হলে নীতিবহির্ভূত কাজ করতে হবে।

নেহাল করিম বলেন, বাংলাদেশে রাজনীতিও করছে ব্যবসাও করে। এখানে কোনো নীতি কাজ করে না। উন্নত দেশগুলোতে একটা সিস্টেম আছে, এখানে কোনো সিস্টেম নেই।

আইন কি বলছে?
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাকিউন নাহার বেগম এনডিসি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরির বিধি আছে। তাদের অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি বা খণ্ডকালীন কিছু করার সুযোগ নেই। তবে বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো বিধান আছে কি না আমার জানা নেই।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, আইনত দুই চাকরি করার বিধান নেই। এক জায়গায় পূর্ণকালীন চাকরি করলে অন্য কোথাও চাকরি করা সম্ভব নয়। যদি সাংঘর্ষিক হয় তবে দুই প্রতিষ্ঠানে পূর্ণকালীন চাকরি গণমাধ্যম বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান অনুমতি দেবে না।

বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের বাস্তবতা আসলে কী?
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাড়তি কাজ বা চাকরি করে যেমন বাড়তি আয়ের সুযোগ আছে তেমনি নিয়মিত চাকরি হারানোর ভয়ও আছে। অনেক প্রতিষ্ঠানে অফিস সময়ের বাইরে কোথাও চাকরি বা অন্য কিছু করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকে। আবার সুযোগ থাকলেও সবার পক্ষে চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করা সম্ভব হয় না। কারণ কাজ করার জন্য মানসিক ও শারীরিক শক্তি প্রয়োজন। সবার চাপ সামলানোর ক্ষমতা সমান নয়। এছাড়া অনেক যোগ্যতারও প্রয়োজন আছে। দুই চাকরি করতে গেলে অনেক বিষয় জটিল হয়ে পড়ে। চাকরি ও বাড়তি আয়ের কার্যক্রম কোনোটাই সঠিকভাবে সামলাতে পারে না। ফলে দুদিকেই সমস্যা সৃষ্টি হয়।

মনোবিজ্ঞনীরা বলছেন, চাকরির ক্ষেত্রে যেমন সময় দেওয়া প্রয়োজন তেমনি সন্তান ও পরিবারের জন্যও সময় দেওয়া জরুরি। কারণ বাবার সঙ্গে দূরত্ব শিশু-কিশোরদের জীবনে যেমন প্রভাব ফেলে, তেমনি পরিবারের শান্তি বিঘ্নিত করে। সন্তানের মধ্যে রাগ হতাশা কাজ করে। ফলে সে পরিবার থেকে বিছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে ভুল পথে পা বাড়ানোর ঘটনাও ঘটতে পারে। এজন্য নিয়মিত চাকরির পর সন্তান ও পরিবারে জন্য সময় দেওয়া প্রয়োজন।

বিবিএসের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সরকারি চাকরিতে মোট নিয়োগের ৭২ শতাংশ তৃতীয় শ্রেণির পদের বিপরীতে। প্রথম শেণিতে ৭ শতাংশ ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ১৬ শতাংশ। সব মিলিয়ে দেশের মোট শ্রমশক্তির ১০ ভাগের বেশি নয়। অন্যদের নির্ভর করতে হয় বেসরকারি চাকরির ওপর।

বিভিন্ন সংস্থার তথ্যমতে, প্রতিবছর ২১ লাখের বেশি মানুষ দেশের শ্রমবাজারে প্রবেশ করছেন। বিপরীতে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে ১৩ লাখ। ফলে বছরে ৮ লাখ মানুষ যাদের যোগ্যতা থাকার পরও কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করার সুযোগ পাচ্ছেন না। এজন্য প্রচলিত শিক্ষার সঙ্গে বাজারে কর্মসংস্থানের সমন্বয়হীনতাকেই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একদিকে যেমন বেকারত্বের হার বাড়ছে বিপরীতে শ্রমবাজারে দক্ষ লোকের বেশ ঘাটতি রয়েছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্যবসায়ী-শিল্পপতি-উদ্যোক্তা সমাজের ৭৫ শতাংশই বলছেন, নিজেদের প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক দক্ষ লোক তারা পাচ্ছেন না। উৎপাদনমুখী কারখানায় ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে দক্ষ ও যোগ্য লোকের প্রকট সংকট রয়েছে। তাদের মতে, দেশে চাকরির অভাব নেই, তবে যোগ্য লোকের অভাব আছে। যারা যোগ্য তারা ঠিকই চাকরি পাচ্ছেন। এমনকি নিয়মিত চাকরির পাশাপাশি বাড়তি কাজ বা অন্য প্রতিষ্ঠানেও সময় দিয়ে উপার্জন করছেন।

প্রায় সব সেক্টরেই এখন খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এখানে যে কোনো সময় যেমন চাকরি নেওয়া যায়। তেমনি ভালো না লাগলে ছেড়ে দেওয়া যায়। তরুণদের পাশাপাশি এখন বয়সে সিনিয়ররাও নিজেদের যুক্ত করছেন খণ্ডকালীন চাকরিতে।

সময়ের প্রেক্ষিতে খণ্ডকালীন চাকরি বা বাড়তি আয়ের আকর্ষণীয় ক্ষেত্র গণমাধ্যম। পত্রিকায় ফিচার ও কলাম লেখা, বিভাগীয় সম্পাদক বা প্রধান প্রতিবেদকের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিশেষ প্রতিবেদন দেওয়া। জনপ্রিয় অনুষ্ঠান টকশোতে অংশগ্রহণ। বিভিন্ন ধরনের ওয়ার্কশপ, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও কোচিং সেন্টারে ক্লাস নেওয়া। এছাড়া স্যাটেলাইট টেলিভিশনে অনুষ্ঠান ও সংবাদ উপস্থাপক, স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে কাজ করা যায়। এ কাজের সুযোগ থাকে গণমাধ্যমের বিশেষ প্রতিনিধি, বিভাগীয় প্রধান, যুগ্ম বার্তা সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক, সম্পাদকসহ সরকারি-বেসরকারি উচ্চ পর্যায়ের কর্তকর্তাদের। এছাড়া সম্পাদনা সহকারী, কম্পিউটার অপারেটর ও গ্রাফিক্স ডিজাইনারও দুই চাকরি করেন। তবে যেসব প্রতিষ্ঠান সরকারের ঘোষিত ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করেছে সেখানে দুই চাকরি করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞাও আছে।
এর বাইরে কল সেন্টার, বিজ্ঞাপনী সংস্থা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, ফ্যাশন হাউজ, সুপারশপ, কোচিং সেন্টারসহ বিভিন্ন সেক্টরে খণ্ডকালীন চাকরি করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। তবে বর্তমান সময়ে তরুণদের সবচেয়ে বেশি পছন্দ ফ্রিল্যান্সিং। দেশের প্রায় ৪০ হাজারের বেশি তরুণ-তরুণী নিয়মিত চাকরি বা লেখাপড়ার পাশাপাশি এ পেশার সঙ্গে জড়িয়ে অর্থ উপার্জন করছে। ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যে রয়েছে সফটওয়্যার তৈরি ও উন্নয়ন, ওয়েবসাইট তৈরি ও ডিজাইন, মোবাইল অ্যাপস, গেমস, অ্যাপ্লিকেশন প্ল্যাটফর্ম, ভিওআইপি অ্যাপ্লিকেশন, ডেটা এন্ট্রি, গ্রাফিক্স ডিজাইন, প্রি-প্রেস, ডিজিটাল ডিজাইন, সাপোর্ট সেবা, কাস্টমাইজড অ্যাপ্লিকেশন তৈরি ছাড়াও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ও সোশ্যাল মার্কেটিংয়ের কাজও।

 
Electronic Paper