ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলায় হতাহতে মন্ত্রিসভার শোক-নিন্দা

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৩:৫১ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০১৯

ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে ঢুকে শ্বেত জাতীয়তাবাদী সন্ত্রাসী ব্রেন্টন ট্যারান্ট সেমি-অটোমেটিক রাইফেল দিয়ে গুলি চালালে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বর্বরোচিত গণহত্যার ঘটনাটি ঘটে। নৃশংসতম এ হামলায় গতকাল রোববার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০। নৃশংস এ হামলায় হতাহতের ঘটনায় শোক ও নিন্দা প্রকাশ করেছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে শোক ও নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডে দুষ্কৃতকারীদের হামলায় বাংলাদেশের ৫ জনসহ ৫০ জন মুসল্লি নিহত হয়েছেন। তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এটা নিয়ে মন্ত্রিসভায় শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘একই সঙ্গে এই হামলার ঘটনায় মন্ত্রিসভা নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করে এবং যারা নিহত হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে। আর যারা আহত হয়েছেন তাদের সুস্থতা কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে মন্ত্রিসভা।’

এদিকে এ হামলার বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে আগামী ২২ মার্চ বৈঠকে বসবে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসি।

সংস্থাভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে এ বৈঠকে মিলিত হবেন।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি রোববার এ কথা জানিয়েছন বলে খবর দিয়েছ ইরানের পার্সটুডে।

ওই খবরে বলা হয়, গতকাল রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধভাবে ইসলামভীতি ছড়ানোর রাশ টেনে ধরার কৌশল নিয়ে আসন্ন বৈঠকে আলোচনা করা হবে।’

তিনি আরো জানান, তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রী মেভলুত চ্যাভুসোগ্লুর সঙ্গে আলাপের পর ওআইসির বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে আল নুর ও লিনউডের একটি মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে আল নুর মসজিদে স্বয়ংক্রিয় মেশিনগান দিয়ে ব্যাপক নৃশংসতা চালায় অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত ২৮ বছর বয়সী উগ্রবাদী সন্ত্রাসী ব্রেনটন টারান্ট।

শুধু তাই নয়, ১৭ মিনিটের ওই হত্যাযজ্ঞের ঘটনা সরাসরি অনলাইনে প্রচারও করে সে। ধারণা করা হচ্ছে, লিনউডের মসজিদেও সে হামলা চালিয়েছে। উভয় ঘটনায় অন্তত ৫০ জন মুসল্লি নিহত এবং অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে টারান্টের বিরুদ্ধে একটি খুনের মামলা হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে আরো একাধিক মামলা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

 
Electronic Paper