দ্বিতীয় ধাপ
১১৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৮:৩৯ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০১৯
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১৭ জেলার ১১৬ উপজেলায় ভোট শুরু হয়েছে আজ সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল ৮টায়। একটানা ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এদিকে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মাঠে রয়েছে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আনসার-ভিডিপি, কোস্টগার্ড, আর্মড পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ভোটের পরও দুই দিন মাঠে থাকবে তারা। একই সঙ্গে ১২৩ জন ম্যাজিস্ট্রেটও নিয়োগ দিয়েছে কমিশন। এছাড়া নিরপেক্ষ ভোট আয়োজনে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়েছে কঠোর নির্দেশনা।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেয়া তথ্য মতে, দ্বিতীয় ধাপে ১১৬ উপজেলায় ৩৮৬ জন চেয়ারম্যান, ৫৫৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান এবং ৪০৭ জন নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে ৪৭ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৩, ভাইস চেয়ারম্যান ১৩ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এ নির্বাচনে ১ কোটি ৭৯ লাখ ৯ হাজার ৬ জন ভোটার ৭ হাজার ৩৯টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন।
দ্বিতীয় ধাপের ভোটের বিষয়ে রোববার নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহম্মদ খান বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইসির নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটলে তার দায়ভার রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নিতে হবে।’
সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী উপজেলায় এলাকায় ভোটের দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ভোটের দিন ওইসব এলাকা এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ইসি। তবে জরুরি ও অনুমোদিত বাহনের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। একই সঙ্গে জাতীয় মহাসড়কে এ নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে।
তবে ভোট নিয়ে প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লড়াই হবে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে। বিএনপিসহ অনেক রাজনৈতিক দল উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছিলেন, ‘পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ ১৮ মার্চ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা চলবে।’
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ৬ উপজেলা হলো চট্টগ্রামের রাউজান, মিরসরাই, নোয়াখালীর হাতিয়া, ফরিদপুর সদর, পাবনা সদর এবং নওগাঁ সদর।
দ্বিতীয় দফায় যেসব উপজেলায় ভোট হচ্ছে সেগুলো হলো- রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁও জেলার সদর, পীরগঞ্জ, হরিপুর, বালিয়াডাঙ্গী ও রাণীশংকৈল উপজেলা; রংপুর জেলার গংগাচড়া, তারাগঞ্জ, পীরগাছা, বদরগঞ্জ, কাউনিয়া ও পীরগঞ্জ উপজেলা; গাইবান্ধা জেলার গাইবান্ধা সদর, সাদুল্লাপুর, গোবিন্দগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও পলাশবাড়ী উপজেলা; দিনাজপুর জেলার কাহারোল, বোচাগঞ্জ, চিরিরবন্দর, ফুলবাড়ী, বিরামপুর, বীরগঞ্জ, নবাবগঞ্জ, বিরল, পার্বতীপুর, খানসামা ও ঘোড়াঘাট উপজেলা।
রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলার সদর, নন্দীগ্রাম, সারিয়াকান্দি, আদমদীঘি, দুপচাঁচিয়া, ধুনট, শাজাহানপুর, শেরপুর, শিবগঞ্জ, কাহালু, গাবতলী ও সোনাতলা উপজেলা; নওগাঁ জেলার নওগাঁ সদর, আত্রাই, নিয়ামতপুর, সাপাহার, পোরশা, ধামইরহাট, বদলগাছী, রাণীনগর, মহাদেবপুর, পত্মীতলা ও মান্দা উপজেলা; পাবনা জেলার পাবনা সদর, আটঘরিয়া, বেড়া, ভাংগুড়া, চাটমোহর, ফরিদপুর, ঈশ্বরদী, সাঁথিয়া ও সুজানগর উপজেলা।
সিলেট বিভাগের সিলেট জেলার সদর, বিশ্বনাথ, দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, গোপালগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলা; মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা, জুড়ী, কুলাউড়া, রাজনগর, সদর, কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা।
ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর জেলার সদর, বোয়ালমারী, চরভদ্রাসন, সদরপুর, সালথা, আলফাডাঙ্গা, মধুখালী, নগরকান্দা ও ভাঙ্গা উপজেলা।
চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলা; চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি, মীরসরাই, রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলা; রাঙ্গামাটি জেলার রাঙ্গামাটি সদর, লংগদু, নানিয়ারচর, কাপ্তাই, জুরাছড়ি, বাঘাইছড়ি, কাউখালী, বরকল, রাজস্থলী ও বিলাইছড়ি উপজেলা; বান্দরবান জেলার সদর, রোয়াংছড়ি, আলীকদম, থানচি, লাম, রুমা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা; খাগড়াছড়ি জেলার সদর, মানিকছড়ি, লক্ষীছড়ি, দীঘিনালা, মহালছড়ি, পানছড়ি, মাটিয়াঙ্গা ও রামগড় উপজেলা এবং কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলা।