ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নিরপেক্ষ ও যৌক্তিক সিদ্ধান্তের আশ্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১২:১৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৫, ২০১৯

গ্যাসের দাম বাড়াতে সঞ্চালন ও বিতরণ কোম্পানিগুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আয়োজিত গণশুনানি শেষ হয়েছে। শুনানিতে অংশ নিয়ে কোম্পানিগুলো গ্যাসের দাম বাড়ানোর পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরে। তবে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়ার প্রতিবাদ করে আসছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন। মৃল্যবৃদ্ধির প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হাইকোর্টে রিট আবেদনও করা হয়েছে। তবে নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গ্যাসের দাম নিয়ে নিরপেক্ষ ও যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) অডিটোরিয়ামে গণশুনানি কার্যক্রম শেষ হয়।

শুনানি শেষে বিইআরসি চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম বলেন, কোম্পানিগুলো প্রয়োজনের তুলনায় গ্যাসের দাম অনেক বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। তবে কমিশন নিরপেক্ষ ও যৌক্তিকভাবে সিদ্ধান্ত নেবে।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আমরা দেখেছি প্রস্তাব ছিল ৬৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। কমিশন প্রকৃতপক্ষে বাড়িয়েছিল ১১ শতাংশ। ২০১৭ সালে ৯৫ শতাংশ ছিল প্রস্তাব কমিশন বাড়িয়েছিল ১১ শতাংশ। ২০১৮ সালে প্রস্তাব ছিল ৭৫ শতাংশ। কমিশন দাম বাড়ায়নি। এবার দেখছি প্রস্তাব হচ্ছে ১০২ শতাংশ। আমি শুধু এটুকু বলব কমিশন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে যৌক্তিকভাবে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই বিবেচনা করবে। গ্যাসের মূল্য পরিবর্তনে গণশুনানির শেষ দিনে নিজেদের প্রস্তাবনা তুলে ধরে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ও পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড। দুটি সংস্থাই গড়ে ১০২ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়।

যার মধ্যে সার উৎপাদনে ২১১ ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২০৮ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। আর আবাসিক গ্যাসের ক্ষেত্রে এক চুলা ১ হাজার ৩৫০ ও দুই চুলা ১ হাজার ৪৪০ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয় সংস্থাটির পক্ষ থেকে।

সংস্থাগুলোর প্রস্তাব বিবেচনায় নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পেট্রোবাংলার পরিচালক হারুন অর রশিদ বলেন, পেট্রোবাংলা লাভ করার জন্য কমিশনের কাছে আসেনি। একথাটা সবার কাছে পরিষ্কার করা দরকার। চাহিদা অনুযায়ী, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস দেওয়ার জন্যই পেট্রোবাংলা আবেদন করেছেন আর পেট্রোবাংলার এ আবেদনটি কমিশন বিবেচনা করবেন এটা আশা করব।

গত কয়েকদিনের মতোই এই গণশুনানি নিয়ে প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছে ভোক্তা সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের নেতারা। এর আগে গত সোমবার এই গণশুনানি শুরু হয়।

 
Electronic Paper