ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে তার ব্যবস্থা নেব: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১২:২৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯

চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে আর না ঘটে তার ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ঘটনায় সরকার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর যাতে না ঘটে তার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে। অফিস খোলার পর পার্লামেন্টে আলোচনা করে চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হবে।

আজ শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিট পরিদর্শন করে তিনি এসব কথা জানান।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী দগ্ধ ও আহতদের খোঁজ-খবর নেন। রোগী ও তার আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ ছাড়া ডাক্তারদের সঙ্গেও রোগীদের অবস্থা নিয়ে কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক স্বপন, প্রতিমন্ত্রী ড. মুরাদ হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, এমপি হাজী মো. সেলিম, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. সামন্তলাল সেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. আবুল কালাম প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন।

বার্ন ইউনিট পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে অনেক আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়েছি। আশা করি, যারা চিকিৎসাধীন আছেন তাদের চিকিৎসার কোনো অসুবিধা হবে না। যে ঘটনা ঘটেছে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। তাৎক্ষণিকভাবে যতটা সম্ভব আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহযোগিতা দিয়েছি।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরে অনেক খাল ও পুকুর ছিল। এগুলো ভরাট করার কারণে যে কোনো স্থানে আগুন লাগলে পানি পাওয়াটাও বড় সংকট হয়ে দাঁড়ায়।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে উদ্ধারকর্মীদের উদ্ধার কাজ না করতে দিয়ে তাকে ঠেকিয়ে রেখে প্রশ্নের পর প্রশ্ন করাটা সমীচীন নয়। এ বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।

জনগণের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা শহরের কোথাও যদি এ ধরনের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয় তাহলে উৎসুক জনতা হওয়ার পরিবর্তে এক বালতি পানি অথবা কিছু বালু নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে আগুন নেভাতে সহযোগিতা করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, বুধবার রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার ৬৪ নম্বর ওয়াহেদ ম্যানশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ দিন সারা রাত জেগে থেকে আগুনের প্রতি মুহূর্তের খোঁজ-খবর নেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও দেন তিনি। এ ছাড়া পরবর্তীতে নিহতদের পরিবারকে সহায়তা এবং আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেয়ার জন্য তিনি নির্দেশ দেন।

সেদিনের ঘটনায় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মোট ৬৭ জন নিহতের খবর জানায় ঢাকা জেলা প্রশাসন। আহত ও দগ্ধ অবস্থায় ৪১ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

 
Electronic Paper