ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

চূড়ান্ত নয় লাশের সংখ্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:৫৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯

রাজধানীর পুরান ঢাকায় চকবাজার এলাকার চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আসলে কত-তা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। সর্বশেষ ফায়ার সার্ভিস ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে নিহতের সংখ্যা ৬৭। এ সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও শঙ্কা তাদের। এদিকে রেডক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ গতকাল সন্ধ্যায় জানিয়েছে তারা এ পর্যন্ত ৬৯ জন নিখোঁজের তালিকা করেছেন। তবে এ সংখ্যাও চূড়ান্ত নয় বলে জানায় সংস্থাটি।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যম অসমর্থিত সূত্রের বরাত দিয়ে দাবি করেছে চুড়িহাট্টায় নিহতদের সংখ্যা ১১০। দেশের বেশির ভাগ সংবাদমাধ্যম ঢাকা মেডিকেলের বরাত দিয়ে জানিয়েছে এ সংখ্যা ৬৭। তবে অন্যান্য সংস্থা ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দেওয়ায় ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।

উদ্ধারকাজে নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন) মেজর শাকিল নেওয়াজ ও সংস্থাটির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার আলী আহম্মেদ গণমাধ্যমকে ৭০টি লাশ উদ্ধারের বিষয় নিশ্চিত করেন। ব্রিফিং করেও ৭০টি লাশ উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন তারা।

গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে ব্রিফিং করে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডাক্তার সোহেল মাহমুদ বলেন, আমরা ৬৭টি লাশ বুঝে পেয়েছি। গতকাল তিনি জানান, ৪৬ জনের লাশ শনাক্তের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আসলে অন্যদের লাশ শনাক্তের জন্য স্বজনদের ডিএনএর নমুনা রাখা হয়েছে।

ঢাকার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সেলিম রেজা বলেন, নিহতের সংখ্যা ৬৭। আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীও হাসপাতাল মর্গে লাশ হস্তান্তর পরিদর্শনে গিয়ে লাশের সংখ্যা ৬৭টি বলে জানান।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে ডা. সোহেল মাহমুদ নিহতের সংখ্যা ৭৮ বলে জানিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী বিবিসিসহ বেশ কিছু গণমাধ্যম নিহতের সংখ্যা ৭৮ জন প্রচার করে। রাতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। সেখানেও নিহতের সংখ্যা ৭৮ জন বলা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে সাংবাদিকদের দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান জানান, চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১ জনে। এর মধ্যে ৭০ জন পুরুষ, ৭ জন নারী ও ৪ জন শিশু রয়েছেন।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে চুড়িহাট্টায় নিহতের সংখ্যা ১১০ জন বলে দাবি করেছে। সংবাদ মাধ্যমটির নয়াদিল্লি অফিস থেকে এই প্রতিবেদন করেন জেফ্রি গেটলম্যান। তাকে বাংলাদেশ থেকে সহযোগিতা করেন প্রবীর বড়ুয়া চৌধুরী ও জুলফিকার আলি মানিক।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির তথ্য কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাকিলা আখতার গতকাল খোলা কাগজকে জানান, আমাদের কাছে ৬৯টি পরিবারের সদস্যরা এসেছেন, তাদের স্বজনরা ওই ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ আছেন।

তিনি আরও বলেন, তবে আমরা এখনই তাদের নাম প্রকাশ করছি না। আমরা নিখোঁজদের স্বজনদের দেওয়া তথ্য বিভিন্ন জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে যাছাই-বাছাই করে তার পরে প্রকাশ করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

 
Electronic Paper