চকবাজার দাহনে দায় কার
ভয়াবহ আগুনে নিহত ৮১
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১১:০০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৯
রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টা এখন এক ভয়ানক মৃত্যুপুরী। অথচ বুধবার রাত সাড়ে ১০টার আগেও কেউ ভাবতে পারেননি এখানে এক বিভীষিকা হানা দেবে। প্রতিদিনের মতোই সরগরম ছিল বুড়িগঙ্গা পাড়ের প্রাচীন এ জনপদ। ঘিঞ্জি ও ঘনবসতিপূর্ণ এ এলাকায় তখনো আলোর রোশনাই ছিল। গলির মোড়ে আড্ডা দিচ্ছিল পাড়ার তরুণরা। দোকানে দোকানে সারা দিনের ব্যবসাপাতির হিসাব-নিকাশ গোছাচ্ছিলেন কেউ কেউ। গুদামের জন্য আনা মালামাল নামাচ্ছিলেন কুলিরা। গৃহস্থ নারীরা ক্লান্তি শেষে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ঘুমানোর। শিশুরা হয়তো উম নিচ্ছিল বিছানার।
আর গলির ছোট দুটি হোটেলে তখনো অনেকে সারছিলেন রাতের আহার। চায়ের টেবিলে লেগে ছিল আড্ডা-খুনসুঁটি। এমনই জমজমাট আলোর রোশনাই লাগা চুড়িহাট্টা মোড় মুহূর্তেই পরিণত হয় মৃত্যুপুরীতে। পুড়ে কয়লা হয়ে যায় অন্তত ৮১ জন, আহত হন ৪৫ জনেরও বেশি।
এমন বিভীষিকা থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষ জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে চুড়িহাট্টার ওয়াহিদ চেয়ারম্যানের চারতলা ভবনটিতে প্রথমে আগুন লাগে, এরপর ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের আর দুটি ভবনে। আগুন লাগার পরপরই চারতলা ভবনটির সামনে থাকা বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ ঘটে; ওই সময় রাস্তায় থাকা কয়েকটি গাড়িতেও আগুন ধরে যায়। সে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী রাজমণি হোটেলে।
হোটেলের সামনে রাস্তায় রাখা ছিল কয়েকটি গ্যাস সিলিন্ডার। সেই গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লেগে ভয়াবহতা আরও বেড়ে যায়। চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পুরো গলিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পুড়ে যায় আশপাশের পাঁচটি ভবন, ২৫ থেকে ৩০টি দোকান, গোডাউন, কয়েকটি হোটেল এবং গলিতে এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লোকজন। যে যেখানে ছিল সেখানেই পুড়ে কয়লা হয়ে যায়। পুড়ে অঙ্গার হয়ে রাস্তায় পড়েছিল মোটরসাইকেল, পিকআপ, রিকশা, ভ্যান ও ঠেলাগাড়ি।
উদ্ধারকর্মীদের বয়ান থেকে জানা যায়, গলিতে পুড়ে যাওয়া একটি রিকশায় পাওয়া গেছে এক দম্পতি ও শিশুর লাশ। ধারণা করা হচ্ছে আগুন লাগার সময় তারা রিকশাতেই ছিলেন। সেখানেই পুড়ে অঙ্গার হয়েছেন তারা। একইভাবে হোটেলে খেতে বসা অবস্থায় মারা গেছেন কেউ কেউ। স্থানীয়রা বলছেন, আগুন লাগার পর মুহূর্তের মধ্যেই তা ঢেউয়ের মতো করে চারপাশের রাস্তায় থাকা মানুষ ও যানবাহনগুলোকে গ্রাস করেছে। আশপাশে অনেক ভাসমান ফল বিক্রেতা, পান-সিগারেট বিক্রেতাও ছিলেন। আগুনে এই লোকগুলোর অনেকেই রাস্তার ওপরেই পুড়ে ছাই হয়েছেন।
খবর পেয়েই অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর ১০টি ইউনিট সঙ্গে সঙ্গে কাজ শুরু করে। পরে ইউনিটের সংখ্যা ৩৭টিতে গিয়ে ঠেকে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারী মিলিয়ে কর্মীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২০০ জনে। এর বাইরে পুলিশ, র্যাবের পাশাপাশি হেলিকপ্টার নিয়ে বিমানবাহিনীও যোগ দেয় আগুন নেভানোর কাজে। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী উদ্ধারকর্মীরাও যোগ দেন এ সময়। রাত সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে চার ঘণ্টার মতো কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। এর পর গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা ৭৮টি মৃতদেহ উদ্ধার করেন। পরে আরও তিনটি মৃতদেহের খোঁজ মেলে। এছাড়া আরও মানুষ নিখোঁজের কথা জানিয়েছেন স্বজনরা। আগুনে ৪৫ জনের বেশি আহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, ব্যস্ত ব্যবসায়িক এলাকা হলেও চুড়িহাট্টার রাস্তায় ঢোকার সড়কগুলো একেবারেই সরু। কোনো সড়কেই দুটি গাড়ি পাশ কাটানোর জায়গা নেই। ফায়ার সার্ভিসের বড় পানিবাহী গাড়ি এখানে ঢুকতে না পারায় প্রচণ্ড বেগ পেতে হয়েছে। পাম্প দিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার দূরের পুরনো কারাগারের পুকুর থেকে পানি আনা হয় আগুন নেভানোর জন্য। চুড়িহাট্টা মসজিদ এবং আশপাশের কয়েকটি বাড়ির রিজার্ভ ট্যাংক থেকেও পানি সংগ্রহ করে ফায়ার সার্ভিস। রাত ৩টার দিকে আগুন কোনো রকমে নিয়ন্ত্রণে আসার পর ধ্বংসস্তূপ থেকে লাশ উদ্ধার শুরু হয়। লাশ মেলে রাস্তায়, দোকানে দোকানে, ধ্বংসস্তূপের সব জায়গায়। সর্বত্রই ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল পোড়া রাসায়নিকের উপাদান, বডি স্প্রের কৌটা।
স্থানীয়রা জানান, এখানকার সব বাড়িরই নিচতলা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দেওয়া। অধিকাংশই প্রসাধনী, প্লাস্টিকের গুটির (চিপস) দোকান। এসব দোকানে থাকা প্রসাধনীর কাঁচামাল ও রাসায়নিক দাহ্য পদার্থই আগুনের ভয়াবহতা বাড়িয়েছে।
২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নিমতলীর নবাব কাটরা ট্র্যাজেডিরই পুনরাবৃত্তি ঘটল চকবাজারের চুড়িহাট্টায়। সেদিন নিমতলীর নবাব কাটরায় পুড়ে মরেছিলেন ১২৪ জন। কথা ছিল আর কোনো আদম সন্তানের প্রাণ যাবে না রাসায়নিকের নির্মম আগুনে। আবাসিক এলাকা থেকে সরে যাবে রাসায়নিক ব্যবসার গুদাম বা কারখানা। কিন্তু ৯ বছরেও নিমতলী থেকে শিক্ষা নেয়নি সরকার। প্রশাসনও ছিল চুপ। ফলে চুড়িহাট্টাকেও বরণ করতে হলো নিমতলীর পরিণতি।
নিমতলীর মতোই ঘনবসতিপূর্ণ পুরান ঢাকার ওই সংকীর্ণ সড়কে ভবনগুলোর ছোট ছোট কক্ষে থাকত শত শত মানুষ। সেখানে আগুন জ্বলতে থাকায় তা নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছিল বলে জানান অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর মহাপরিচালক আলী আহাম্মেদ খান। ভোররাতে একবার আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনার পরও আবার তা ছড়িয়ে পড়ে। সকাল ৯টার দিকে আগুন আয়ত্তে আনার কথা জানান ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক শাকিল নেওয়াজ। তখন ভবনের ভেতরে ঢুকে একের পর এক লাশ বের করে আনছিলেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা; সেখানে একটি তথ্যকেন্দ্র খুলে বোর্ডে সর্বশেষ তথ্যও জানিয়ে দেওয়া হয়। দুপুর পৌনে ১টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিভেছে বলে ঘোষণা আসে ফায়ার সার্ভিসের। তার আধা ঘণ্টা পর উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন মেয়র খোকন। এ সময় তিনি বলেন, রাজধানীর পুরান ঢাকায় কোনো ধরনের দাহ্য পদার্থ ও কেমিক্যালের গোডাউন থাকতে দেওয়া হবে না। এসব গোডাউন উচ্ছেদের জন্য কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উদ্ধার অভিযান শেষ হলেও পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া স্বজনদের শনাক্ত করতে এবং নিখোঁজদের খোঁজ নিতে চকবাজার থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ছুটেছেন স্বজনরা। সেই বুধবার রাত থেকেই স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়েছিল চকবাজার ও ঢামেক। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত অসংখ্য মানুষের ভিড় ছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গের সামনে। দেখা গেছে, কেউ একে অপরকে জড়িয়ে ধরে উচ্চস্বরে কাঁদছেন, আবার কেউবা স্বজনদের ছবি হাতে নিথর মাটিতে বসে আছেন; দুচোখ দিয়ে অঝরে ঝরছে পানি। এরই মধ্যে কেউ কেউ স্বজনদের ছবি নিয়ে এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করছেন; মোবাইলে ছবি দেখিয়ে খুঁজছেন স্বজনদের। নিহতদের স্বজনদের কান্নায় ভারি হয়ে যায় পরিবেশ। কিন্তু মর্গে যেসব লাশ রয়েছে সেগুলো শনাক্ত করা যাচ্ছে না। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪১ জনের লাশ শনাক্ত করা গেছে। সে সব লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে স্বজনদের। স্বজনদের কেউ কেউ আকার আকৃতি ও বিভিন্ন চিহ্ন দেখে লাশ শনাক্তের দাবি করছেন। কেউ কেউ মোবাইলে তুলে রাখা ছবি দেখিয়ে লাশ শনাক্তের চেষ্টা করছেন।
দায় কার?
নিমতলীর পর চকবাজার কেমিক্যালের আগুনে ফের মানুষের ঝলসে যাওয়ার ঘটনা স্তম্ভিত করেছে সবাইকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের উদাসীনতায় পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক গোডাউন সরানো যায়নি। অথচ নিমতলীর ঘটনার পর পুরান ঢাকার আবাসিক এলাকার সব ধরনের কারখানা অপসারণের কথা ছিল। এ ব্যাপারে নানা উদ্যোগ, প্রশাসনের দৌড়ঝাঁপও শুরু হয়। হয় তদন্ত কমিটিও। সবাই এ ব্যাপারে একমত হয়েছিলেন, সরু রাস্তা, ঘুপচি গলি থেকে সরাতে হবে কেমিক্যালের গোডাউন। সরিয়ে নেওয়া হবে কেরানীগঞ্জে। কিন্তু শুরু করেও মাঝপথে থেমে যায় কারখানা অপসারণের প্রক্রিয়া। সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেন, মালিকদের অসহযোগিতার কারণে পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল কারখানা সরানো যায়নি। এ ব্যাপারে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ২০১০ সালে নিমতলীতে অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ জন নিহতের ঘটনা থেকে আমরা কোনো শিক্ষা নিইনি। আর এ কারণেই চকবাজারের ঘটনাটি ঘটল। গতকাল সকালে চকবাজারের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘চকবাজারের ঘটনা থেকে আমরা আবারও শিক্ষা পেলাম। ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব, মনোযোগী হব, মনোনিবেশ করব।’
শোক ও শুশ্রূষা
এদিকে চকবাজারের চুড়িহাট্টার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোক জানিয়েছেন, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও। ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্বরিতগতিতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। গতকাল বিকালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যারা হাসপাতালে রয়েছেন তাদের চিকিৎসায় কোনো ত্রুটি হবে না। তার আগে সকালে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক জানান, অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসা খরচ বহন করবে সরকার।
অগ্নিকাণ্ড তদন্তে দুটি কমিটি
চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড তদন্তে শিল্প মন্ত্রণালয় একটি এবং ফায়ার সার্ভিস আরেকটি কমিটি গঠন করেছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মফিজুল হককে প্রধান করে গতকাল ১২ সদস্যের কমিটি করে মন্ত্রণালয়। কমিটিকে পাঁচ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটিতে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, কলকারখানা অধিদপ্তর, বিস্ফোরক অধিদপ্তর, ঢাকা মহানগর পুলিশ এবং ঢাকা জেলা প্রশাসনের একজন করে প্রতিনিধি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর, বাংলাদেশ কেমিক্যাল অ্যান্ড পারফিউমারি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ এসিড মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ পেইন্টস, ডাইস অ্যান্ড কেমিক্যাল মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ সোসাইটি অব কেমিক্যাল সায়েন্টিস্টের সাধারণ সম্পাদক কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
অপরদিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স তিন সদস্যের কমিটি করেছে। ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন্স অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ ঘটনাস্থলেই তার বাহিনীর কমিটি গঠনের কথা জানান। ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (অপারেশন্স) দিলিপ কুমার ঘোষকে প্রধান করে গঠিত তিন সদস্যের এ কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক (এডি) সালাহউদ্দিন ও উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) আবদুল হালিমকে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাকিল নেওয়াজ।