বন্ধ এনআইডি সেবা
জানানোর প্রয়োজন মনে করেনি ইসি
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১:৪৪ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংক্রান্ত যাবতীয় সেবা গত ১০ জানুয়ারি থেকে বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় পার হয়েছে ১১ দিন। কিন্তু পুনরায় কবে শুরু হবে, তার সুনির্দিষ্ট কোনো ইঙ্গিত নেই। যার ফলে প্রতিদিন হাজারো মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অথচ জনগুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি জানানোর প্রয়োজনই মনে করেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিনা নোটিসে সার্ভারে ত্রুটির কথা বলে সেবা বন্ধ রেখেছে।
ইসি সূত্র জানা যায়, সারা দেশে প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজার মানুষ এনআইডি সেবা নিয়ে থাকেন। ইসির ইন্টারনাল ওয়েবসাইটে গত ১০ জানুয়ারি সার্ভারের কাজ চলছে উল্লেখ করে সেবা কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়। তবে পুনরায় কার্যক্রম চালু হওয়ার কোনো তারিখ উল্লেখ নেই।
মানিকগঞ্জ থেকে হারানো এনআইডি তুলতে আগারগাঁও এসেছেন দিলীপ কুমার নামের একজন। এনআইডি সেবা বন্ধ থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘হারানো এনআইডি পেতে জিডি করে টাকা জমা দিয়েছি। গত সপ্তাহে এলে পরের সপ্তাহে আসতে বলা হয়। আজ (গতকাল) এসেও কার্ড পেলাম না। বলা হচ্ছে, সার্ভারে সমস্যা। সার্ভার কবে ঠিক হবে, কার্ড কবে পাব, তা উপরওয়ালাই জানেন।’
সার্ভার বিষয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘এটা নিয়ে কোনো কথা বলতে পারব না। কারণ, আমার কাছে আপডেট তথ্য নেই।’
এ বিষয়ে ইসির যুগ্ম-সচিব ও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) মো. আবদুল বাতেন বলেন, ‘সার্ভারে আমাদের কয়েকটি সার্ভিস প্রয়োজন হয়। একটি হলো ওরাকল সার্ভিস, যেটি আমেরিকা থেকে আমরা সার্ভিস নেয়। তারপর বিপিএন, এএফআইএস আছে। ওরাকল থেকে যে সার্ভিস আমরা নিচ্ছি, এ সার্ভিসে কিছু সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। আমাদের একটি রিকভারি সার্ভারও আছে। ওরাকলে সমস্যা দেখা দিলে ওই সার্ভারেও কিছুটা সমস্যা দেখা দেয়। ওরাকলে সমস্যা দেখা দিলে নির্বাচন কমিশনের যে টেকনিক্যাল টিম আছে, তারা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর প্রায় ১০৩টি কোম্পানি এর মধ্যে ডেলকো কোম্পানি আছে, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও আছে। এসব সেবা চালু রাখতে আমরা সক্ষম হয়েছি। এর মধ্যে শুধু নতুন ভোটার হওয়া, বায়োমেট্রিক এটি এখনো আমরা আপ করতে পারিনি। আগামীকালের (আজ) মধ্যে এটি আপ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়। আর এটি হলে আগের মতোই সব সার্ভিস পাওয়া যাবে।’
সমস্যার কারণ জানতে চাইলে আবদুল বাতেন বলেন, ‘সার্ভারের মেয়াদের একটা বিষয় ছিল। প্রতিনিয়ত আমাদের ভোটার হচ্ছে, কারেকশন হচ্ছে। বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক কারণে হতে এতো বেশি মাইগ্রেশন হচ্ছে। এজন্য ডেটা সার্ভারের স্পেসেও প্রভাব পড়ছে। এজন্য আমরা আরেকটি প্রজেক্ট নেওয়ার কথা ভাবছি। যেটাতে ডেটার জন্য স্পেস বাড়ানো হবে এবং আমাদের যে সার্ভিসগুলো আছে সেগুলো আপডেট করা হবে। ওখানে সার্ভার কেনার এবং আপডেটের বিষয়ও আছে। এটি সম্পন্ন হলে আমরা আরও অনেক বেশি নিরবচ্ছিন্ন সার্ভিস দিতে পারব বলে আশা করি।’