এ প্রসঙ্গে ল্যাক্রিক্স বলেন, সৈন্য ও পুলিশ পাঠিয়ে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। শান্তিরক্ষা কার্যক্রম বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ল্যাক্রিক্স বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করে, বাংলাদেশের রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে অবস্থিত শান্তিরক্ষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং (বিপসট)-এর মানসম্মত প্রশিক্ষণের প্রশংসাও করেন। তিনি স্বাগতিক দেশের সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা প্রদানের উপর যেন আরও অধিক মনোযোগ দেয়া হয় সেই আশাবাদও ব্যক্ত করেন।

এছাড়া এর আগে ডাচ পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টেফ ব্লক, ডাচ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আঙ্ক বিজলিভেল্ড ও জিন পিয়ারি ক্যারাব্যারাঙ্গা, ন্যাদারল্যান্ড ও স্মেইল চেরুগিতে নিযুক্ত রুয়ান্ডার রাষ্ট্রদূত, আফ্রিকান ইউনিয়নের শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক কমিশনার যৌথভাবে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ৭০টি দেশ শান্তিরক্ষা বিষয়ক প্রস্তুতিমূলক এ সম্মেলনে যোগ দেয়। আর রাষ্ট্রদূত শেখ মোহাম্মাদ বেলাল সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলকে নেতৃত্ব দেন।

সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত বেলাল জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীবাহিনীতে বাংলাদেশের সমর্থন পূনরব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে বৈশ্বিক শান্তি ও সুস্থির পরিবেশ বজায় রাখতে বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীবাহিনীতে সৈন্য ও পুলিশ সদস্য সরবরাহে সর্বদা প্রস্তুত। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে প্রাণ হারানো ১৪৫ জন বাংলাদেশী সহ পৃথিবীর সকল শান্তিরক্ষীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে যাবার পূর্বে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ প্রদানের বিষয়ে বাংলাদেশ গভীর মনোযোগী মর্মে আশ্বস্ত করেন রাষ্ট্রদূত বেলাল।

যেকোনো যৌন হয়রানি এবং অশ্লীল আচরন বাংলাদেশ বরদাস্ত করেনা উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, এসকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে বিশ্বাসী এবং শান্তিরক্ষীদের কার্যক্রমে পরিবেশগত ক্ষতি যাতে কম হয় বাংলাদেশ সজাগ রয়েছে সে বিষয়েও।