ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার ঘোষণা

বেশি আশা বেশি প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:৫৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গতকাল ৩৫ দফা ও ১৪ প্রতিশ্রুতি সংবলিত ইশতেহার প্রকাশ করেছে। রাষ্ট্রে জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠা, একই ব্যক্তির দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ বন্ধ করা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ রহিত করা, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বয়সসীমা তুলে দেওয়া, বেকারভাতা চালু, যুদ্ধাপরাধের বিচার অব্যাহত রাখা, বিচারবিভাগ ও শিক্ষা সংস্কার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা রয়েছে তাদের ইশতেহারে। গতকাল সোমবার রাজধানীর হোটেল পূর্বাণীতে সংবাদ সম্মেলন করে এ ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের প্রত্যয় নিয়ে এ ইশতেহার ঘোষণা করেছে ঐক্যফ্রন্ট। ফ্রন্টের শীর্ষনেতা ড. কামাল হোসেন ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার নিঃসন্দেহে চমকপ্রদ ইশতেহার। ইশতেহার অনেকগুলো নতুন ও বহু আকাঙ্ক্ষিত বিষয়ে ভোটারদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। যা আগের সরকার বা দলগুলো বারবার ব্যর্থ হয়েছে। নতুন ও অভিনব এসব প্রতিশ্রুতি মানুষের মাঝে নিঃসন্দেহে উচ্চাশা তৈরি করবে। কারণ যত বেশি আশা দেওয়া হয়েছে তত বেশি  প্রশ্নেরও উদ্রেগ ঘটিয়েছে ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার। তারপরও নতুন এ রাজনৈতিক জোটটি গঠনের মাত্র দুই মাসের মাথায় বিএনপিকে নিয়ে নির্বাচনে আসার ঘোষণা দিয়ে যেমন চমক সৃষ্টি করেছে তেমনি তাদের ইশতেহারও চমক তৈরি করল। যদিও চমকপ্রদ ইশতেহারটি বাস্তবায়নের মতো বাস্তব চিন্তা নির্বাচনে বিজয়ের পর এ জোটের নেতাদের থাকবে কি না সে প্রশ্ন ভোটারদের।

ভোটাররা বলছেন, প্রতিশ্রুতি প্রত্যেকেই দেন। কিন্তু ক্ষমতায় গেলে কেউ আর প্রতিশ্রুতির কথা মনে রাখেন না। আইয়ুব শাহাজাহান নামের একজন বেসরকারি চাকরিজীবী, রাজধানীর মধ্যবাড্ডার বাসিন্দা খোলা কাগজকে বলেন, দীর্ঘদিনের অচল রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে কিছুটা চঞ্চল ও সচল করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। বিশেষ করে বিএনপির মতো দলের এ জোটে যুক্ত হওয়া এবং জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর সাধারণ ভোটারদের মনে আশা জেগেছে যে, এবার একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। এখনো পর্যন্ত ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি নির্বাচনের পথেই রয়েছে।

তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে অনেকগুলো নতুন বিষয় রয়েছে। প্রতিটি বিষয়ই ভোটারদের মনে আশা জাগাবে। বিশেষ করে প্রথমেই প্রতিহিংসামূলক রাজনীতিকে বয়কট করার ঘোষণা, ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, নিম্ন আদালতকে সুপ্রিম কোর্টের অধীনে নেওয়া, দুবারের বেশি কাউকে প্রধানমন্ত্রী না করা, সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা তুলে দেওয়া, বেকারভাতা প্রচলন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা, গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের চিন্তা বাদ দেওয়া, প্রত্যক্ষ ভোটে জেলা পরিষদ গঠন ইত্যাদি বিষয় ভোটারদের মনে আশা জাগিয়েছে। কিন্তু এসব প্রতিশ্রুতি আদৌ তারা বাস্তবায়ন করবে কি না- তা নিয়ে তো সংশয় থেকেই যায়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে এমন অনেক বিষয় বাতিলের প্রতিশ্রুতি আছে যা আওয়ামী লীগ বা মহাজোট সরকার চালু করেছে। আবার এমন অনেক বিষয় আছে অন্যরা আগে কোনো ইশতেহারে তাদের মতো স্পষ্ট করে বলেনি। আবার এমনও অনেক বিষয় বা প্রতিশ্রুতি আছে যা নিয়ে নানা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন।

প্রতিহিংসা বা জিঘাংসা নয়, জাতীয় ঐক্যই লক্ষ্য- এই প্রতিশ্রুত প্রতিপাদ্য নিঃসন্দেহে নতুন। এটা বাস্তবায়িত হয়ে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এক ধরনের পরিবর্তন আসবে। মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি দিতে গিয়ে ইশতেহারে বলা হয়েছে, মত প্রকাশের ক্ষেত্রে মানুষ পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করবে। গণমাধ্যমের ওপর কোনো রকম প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সরকারি নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। সামাজিক গণমাধ্যমে মত প্রকাশের ক্ষেত্রে সরকারি বিধিনিষেধও রাখা হবে না। এমনকি সরকারি পদক্ষেপ এবং পদধারীদের বিরুদ্ধে সমালোচনা, এমনকি ব্যঙ্গ-বিদ্রূপেরও অধিকার থাকবে ভোটার ও গণমাধ্যমের। এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হলে মানহানির মামলা তার নিজেকেই করতে হবে তবে এ ধরনের মামলা কোনোভাবেই ফৌজদারি মামলা হবে না।

ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিতকরণের প্রতিশ্রুতি দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, দেশের বিচার ব্যবস্থা, বিশেষ করে নিম্ন আদালত এখনো কার্যত সরকারের অধীনেই আছে। সংবিধানের ১১৫ এবং ১১৬ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে নিম্ন আদালতকে পুরোপুরি সুপ্রিম কোর্টের অধীনে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য আনা হবে। মন্ত্রিসভাসহ প্রধানমন্ত্রীকে সংসদের কাছে দায়বদ্ধ থাকার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা হবে। পর পর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকা যাবে না।

স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার প্রশ্নে বলা হয়েছে, প্রশাসনিক ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে। জেলা পরিষদ জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবে।
পৌর এলাকাগুলোতে সব সেবা সংস্থা মেয়রের অধীনে রেখে সিটি গভর্নমেন্ট চালু করা হবে।
তরুণদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে,  পুলিশ এবং সামরিক বাহিনী ব্যতীত সরকারি চাকরিতে প্রবেশের জন্য কোনো বয়সসীমা থাকবে না। ত্রিশোর্ধ্ব শিক্ষিত বেকারের জন্য বেকার ভাতা চালু করার উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রীয় সক্ষমতা পরীক্ষা করে বাস্তবায়ন করার জন্য একটি কমিশন গঠন করা হবে।
দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতিতে বলা হয়েছে, সংবিধান নির্দেশিত পথে ন্যায়পাল নিয়োগ করা হবে এবং সংবিধান নির্দেশিত সব দায়িত্ব পালনে ন্যায়পালকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিটি ইউনিটে ন্যায়পাল নিয়োগ করা হবে। দুর্নীতি দমন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা গ্রেপ্তারে সরকারের অনুমতির বিধান বাতিল করা হবে।
দেশ থেকে টাকা পাচারের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া ও পাচারকৃত টাকা দেশে ফিরিয়ে আনতে ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলা হয়েছে ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে।

বিভাগীয় সদরে স্থায়ী হাইকোর্ট বেঞ্চ রাখার প্রতিশ্রতি দেওয়া হয়েছে ইশতেহারে। চলমান যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের একটি তালিকা প্রস্তুত করার প্রতিশ্রুতিও রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট অনেকের প্রশ্ন, ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পয়েন্টে ধোঁয়াশা বা বিভ্রান্তি রয়ে গেছে। দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না রাখার বিষয়টি স্পষ্ট নয়। দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকার রেওয়াজ রহিত করা হলে তো বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ নেই। এ ক্ষেত্রে মাইনাস টু ফর্মুলার প্রবক্তাদের অন্যতম ড. কামাল হোসেন কি তবে নির্বাচিত হলে খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে সরকার গঠনের স্বপ্ন দেখছেন, এমন প্রশ্নটিই সামনে চলে এসেছে। যদিও এ ব্যাপারে গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্ট নেতা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী খোলা কাগজকে বলেছেন, ‘আমরা বলেছি পর পর দুইবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। টানা দুইবারের পর মাঝখানে বিরতি দিয়ে কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে চাইলে পারবেন।’

ক্ষমতায় গেলে খালেদা তারেকের দুর্নীতিরও বিচার হবে কি না-এমন প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ। এ ব্যাপারে সুব্রত চৌধুরী বলেন সব দুর্নীতির বিচারই করা হবে। তবে বড় বড় দুর্নীতির বিচারগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগে করা হবে।

যুদ্ধাপরাধের বিচার চলমান রাখার প্রতিশ্রুতিতে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, এখন তো বিএনপি-জামায়াত ও ঐক্যফ্রন্ট কার্যত এক জোটভুক্ত হয়েছে। সবার নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষ। এক প্রতীকে নির্বাচন করে জিতে আসার পর কি যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াতকে রাজনীতিতে ফের পুনর্বাসন করা হবে? প্রশ্নে উঠেছে তখন আদৌ যুদ্ধাপরাধের বিচার তারা চলমান রাখতে পারবে কি না? এ ব্যাপারে অবশ্য কোনো কথা বলেননি সুব্রত চৌধুরী।


ইতিবাচক ইশতেহার
হাফিজ উদ্দিন খান
সাবেক উপদেষ্টা
চাকরির কোনো বয়সসীমা থাকবে না, বিষয়টি কিন্তু একদম নতুন নয়, অনেক দেশেই এমন নিয়ম চালু আছে। যুদ্ধাপরাধের বিচার চলমান থাকবে- এটা ভালো প্রস্তাব। ডেপুটি স্পিকার হবে বিরোধী দল থেকে, এটা তো আমাদেরই দাবি। আমরা সিভিল সোসাইটি থেকে বহুদিন যাবৎ এই দাবি করে আসছি। শুধু তাই না, আমরা আরও দাবি করেছিলাম, যে একবার স্পিকার হবে তাকে দ্বিতীয় বার অটোমেটিক্যালি বানানো হবে, কোনো নির্বাচন করা লাগবে না যাতে সে নিরপেক্ষ থাকে। আরও বলেছিলাম, স্পিকার যে হবে তাকে তার রাজনৈতিক দল থেকে পদত্যাগ করতে হবে।
ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে বলা হয়েছে, দুই মেয়াদের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না- এটা হতে পারে। আমি মনে করি এটা আমাদের দেশের জন্য বেশ ভালো। আমাদের দেশে তো আসলে সবাই জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চান। সেদিক থেকে চিন্তা করলে এটা অবশ্যই ভালো।
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করে বাদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, এটা আসলেই খুব দরকার। ছাত্রসংসদ নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে, এটাও খুবই ভালো। আমরা চাই, দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারে সরকারের অনুমতির বিধান বাতিল করা হোক। ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে সে কথাটাই বলা হয়েছে। সব মিলিয়ে ইশতেহারের প্রধান প্রধান যে কথাগুলো আছে, সেগুলো সবই আমাদের সিভিল সোসাইটির দাবি। সেদিক থেকে বলতে পারি, এটি একটি ইতিবাচক ইশতেহার।  


নতুন বিষয় এসেছে
সৈয়দ আবুল মকসুদ
লেখক-বুদ্ধিজীবী
নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলো ইশতেহার ঘোষণা করবে, এটাই রীতি। মিডিয়ার মাধ্যমে ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার সম্পর্কে যা যা জেনেছি তাতে অধিকাংশ বিষয়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করার অবকাশ নেই। বেশ কিছু নতুন বিষয় উঠে এসেছে তাদের ইশতেহারে। যেমন তারা বলেছেন, ক্ষমতায় গেলে পুলিশ ও সামরিক বাহিনী বাদে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের জন্য কোনো বয়সসীমা থাকবে না। আমি এটিকে ইতিবাচকভাবেই দেখতে চাই। আমাদের যেমন সদ্য গ্রাজুয়েশন করা লাখ লাখ বেকার আছে তেমনিভাবে আছে অনেক বয়স্ক বেকারও। সেক্ষেত্রে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা তুলে নেওয়া হলে কর্মসংস্থানের একটা বিশাল সুযোগ তৈরি হবে। তবে তারা এটিকে কী উপায়ে বাস্তবায়ন করবেন সেটা পরিষ্কার করা হয়নি।  
সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের তালিকা করা হবে- এটাও একটা নতুন চিন্তা, যদিও এটা আরও আগেই করা উচিত ছিল। এছাড়া ইশতেহারে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করার আইনের কথা বলা হয়েছে, যেটা নিয়ে অতীতেও অনেকবার কথা উঠেছে কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেউই উদ্যোগ নেয়নি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করার কথা বলেছে ঐক্যফ্রন্ট, যেটা আমরাও দীর্ঘদিন থেকে বলে আসছি। ব্যক্তিগতভাবে আরেকটি বিষয় নিয়ে আমি বহুবার বহু জায়গায় বলেছি, তা হলো ডেপুটি স্পিকার হবে বিরোধী দল থেকে। গণতন্ত্রের স্বার্থেই এটি প্রয়োজন। ঐক্যফ্রন্টও তাদের ইশতেহারে সে কথাটাই বলেছে।  এটি অবশ্যই ইতিবাচক একটি বিষয়।

 
Electronic Paper