ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সাগরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:০৬ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এজন্য দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘ফেথাই’। নামটি থাইল্যান্ডের দেয়া। তবে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার কোনো আশঙ্কা নেই।

শুক্রবার আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি এলাকায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি গত মধ্যরাতে (১৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৬৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৬১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৬৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে।

তিনি আরও জানান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

অপরদিকে ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, শুক্রবারের মধ্যে গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। রোববার (১৬ ডিসেম্বর) এটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) থেকে অন্ধ্রপ্রদেশে ভারী বৃষ্টিরও পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ।

 

 
Electronic Paper