ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কবে নামছে সেনাবাহিনী, সিদ্ধান্ত আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৮:২৫ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে ইসি ভবনের মিলনায়তনে এ বৈঠক হবে। বৈঠকে অংশ নেয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তা, রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ সুপার এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইসি।

বৈঠকে চূড়ান্ত করা হবে কবে নামছে সেনাবাহিনী। তবে এই বৈঠকের কার্যপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা ২৪ ডিসেম্বর মাঠে নামবেন। ১ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা নির্বাচনী এলাকায় থাকবেন। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তারা ডাকলেই তারা ঘটনাস্থল যাবেন।

ইসির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, বিজিবি, কোস্টগার্ড, র‌্যাব, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সদস্যরা স্ট্রাইকিং ও মোবাইল টিম হিসেবে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবেন। ২৯ ডিসেম্বর ৩০০ আসনে সবমিলে ৬৪০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে নামবেন। তারা ভোটের পর দুই দিনসহ সবমিলে চারদিন মাঠে থাকবেন।

বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, সংসদ নির্বাচনে ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনায় সাধারণ এলাকা, মেট্টোপলিটন এলাকা এবং উপকূলীয়, দুর্গম ও পার্বত্য এলাকার ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য পৃথক সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে। দশম জাতীয় নির্বাচনের আদলে এবারও আইন-শৃঙ্খলায় থাকবে তিনস্তরের নিরাপত্তা ছক।

ইসির বৈঠকের কার্যপত্রের তথ্যনুযায়ী, এবার একাদশ জাতীয় নির্বাচনে সবমিলিয়ে প্রায় সাত লাখের কাছাকাছি মোতায়েন হবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীর বাহিনী।

এসব বাহিনী ৩০০ সংসদীয় আসনের ৪০ হাজার ১৮০টি কেন্দ্র পাহারা এবং ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৩ জন ভোটারের নির্বিঘ্নে ভোটদানে সহায়তা দিতে কাজ করবেন।

এ বিষয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ছকে খুব একটা বেশি পরিবর্তন (বৈঠকের কার্যপত্র থেকে) হবে না। তবে, কেন্দ্র বাড়ায় ফোর্সের সংখ্যা বাড়বে। এ নির্বাচনে সব বাহিনী থাকবে; যার ছক নির্ধারণ হবে আজ আইশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠকে।

কমিশনের যুগ্ম-সচিব খন্দকার মিজানুর রহমান বলেন, জাতীয় নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ বেশি হলেও ভিআইপি, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, থানা-প্রশাসন শূন্য করে সব নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যকে এ কাজে যুক্ত করা যাবে না। কীভাবে ফোর্স মোতায়েন হলে সব কূল বজায় থাকবে সেই বিবেচনা নিয়ে আলোচনা হবে বৈঠকে।

 
Electronic Paper