ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

জলজট-যানজটে ভোগান্তিতে নগরবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:৪৩ অপরাহ্ণ, মে ২১, ২০১৮

বর্ষাকাল আসার আগেই এ বছর যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে তা ঢাকাবাসীর শঙ্কা ও দুর্ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মৌসুম আসার আগেই যদি এত বৃষ্টি হয় তবে বর্ষায় কী হবে! জলবায়ুর পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে বিশ^জুড়ে। ঋতুবৈচিত্র্য কিংবা ঋতু-শৃঙ্খল কোনোটাই যথাযথভাবে আসছে না।

যে কারণে প্রকৃতির আচরণ উন্মাদের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতকাল সোমবার সাহরির কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় আকাশভাঙা বৃষ্টি। ঘুম থেকে উঠে বিরূপ চিত্রের মুখোমুখি হতে হয়েছে। বাসাবাড়ি থেকে বেরিয়ে অনেকেই দেখেছেন পাড়া-মহল্লায় জমে আছে পানি। জলজট পেরিয়ে মুখোমুখি হতে হয়েছে যানজটের। সেটা আরও দুঃসহ অভিজ্ঞতা। রাজধানীর নিম্নাঞ্চলে সড়কে পানি উঠে যায় সহজেই। একদিকে নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো নয়, অন্যদিকে পানি সরে যাওয়ার খালগুলোও হয়ে পড়েছে বেদখল। প্রভাবশালীরা খালগুলো দখলে নেওয়ার কারণে নগরবাসীর দুর্ভোগ বেড়েছে আরও। উন্নয়ন কাজের নামে বছরভর বিভিন্ন এলাকায় যেভাবে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি চলে তাতে সত্যিকার উন্নয়ন হোক বা না হোক সাধারণ মানুষের যাপিতজীবনের স্বস্তি চলে যায়। বর্তমানে মিরপুর হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত নির্মাণাধীন মেট্রো রেলের খোঁড়াখুঁড়ির কারণেও জলজট ও যানজট বেড়েছে। মিরপুরের শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া ও ১০ নম্বর সেকশনে জলজট প্রতিষ্ঠিত রূপ পেয়েছে। মহাসড়কে পানি জমলে যানবাহনের স্বাভাবিক গতিও কমে যায়। অন্যদিকে প্রত্যাশিত যাত্রী না পাওয়ায় গাড়িগুলো সহজে স্থান ত্যাগ করে না। এভাবেই জলজটের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। গণপরিবহনের স্বল্পতাও দেখা যায় এমন সময়ে। নানা কারণেই যাত্রীরা প্রত্যাশিত বাসের দেখা পান না।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা ও এর আশপাশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৩৫ মিলিমিটার। গত বছর তিন দশকে নজিরবিহীন বৃষ্টিপাতের পর রাজধানীতে জলজটও হয়েছিল স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি।
ভুক্তভোগীরা জানান, কাল সকালে অফিসে আসার সময় যানজট সংকট মোকাবেলা করেছেন ইফতারের সময়ও ছিল একই চিত্র। তীব্র যানজট ছিল রাস্তায়। ফলে অনেক রোজাদার গাড়িতে বসেই ইফতার করতে বাধ্য হয়েছেন। রমজানের চতুর্থ দিন। অফিসমুখী ও অফিস ফেরত নগরবাসীর জন্য ছিল মহাযন্ত্রণার।
জানা যায়, রমজানে যানজটের কথা চিন্তা করে ট্রাফিকের অতিরিক্ত জনবল মাঠে নামানো হয়েছে। থানা বা ফাঁড়ি পুলিশের সদস্যরা কাজ করছেন বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে। তবে অর্থবছরের শেষ সময় বলে অনেক জায়গায় রাস্তার সংস্কারকাজ চলছে। তাই যানবাহনগুলো দ্রুত চলতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা যাচ্ছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্রাফিক পুলিশ জানান, পুরো রমজান মাসজুড়ে এমন যানজট থাকার শঙ্কা রয়েছে।

 
Electronic Paper