ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

র‌্যাবের অভিযানে আরও ১২শ মণ আম ধ্বংস

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৪:৪৪ অপরাহ্ণ, মে ১৯, ২০১৮

‘অপরিপক্ক’ আম কৃত্রিমভাবে পাকিয়ে বিক্রির জন্য বাজারে আনা আরও এক হাজার দুইশ মণ আদ জব্দ করে তা ধ্বংস করেছে র‌্যাব। সম্প্রতি রাজধানীর কারওয়ানবাজারের ও যাত্রাবাড়ীর আড়তে আম ধ্বংসের পর শনিবার মিরপুর-১ নম্বরের বেড়িবাঁধ এলাকায় ফলের আড়তে এই অভিযান চালানো হলো। এ সময় ছয় জন আম বিক্রেতাকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাও দেয়া হয়েছে।

সকাল নয়টা থেকে রাজধানীর বেড়িবাঁধ এলাকায় ফলের আড়তে এ অভিযান চালায় র‌্যাব-৪ এর একটি দল।
গত ৯ মে রাজশাহী জেলা প্রশাসনের এক বৈঠকে জানানো হয়, গাছে পাকলেই গুটি আম পাড়তে পারবেন চাষিরা। তবে ২০ মের আগে গাছ থেকে পাড়া যাবে না গোপালভোগ জাতের আম। হিমসাগর, খিরসাপাত ও লক্ষণভোগ পাড়া যাবে না ১ জুনের আগে। আর ল্যাংড়া পাড়া যাবে জুনের ৬ তারিখ থেকে। আম রুপালি ও ফজলি ১৬ জুন এবং আশ্বিনা জাতের আম ১ জুলাইয়ের আগে পাড়া যাবে না।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৫ মে থেকে আগাম জাতের গোপালভোগ ও গুটি জাতের আম, ২০ মে খিরসাপাত/হিমসাগর এবং ১০ জুন থেকে ল্যাংড়া ও বোম্বাই আম বাজাবজাতকরণ করা যাবে।
তবে যশোর অঞ্চলের আম আগেভাগেই আসে বাজারে। ব্যবসায়ীরা জানান, এখন বাজানে যে আম আসছে, সেগুলোর বেশিরভাগই যশোর ও সাতক্ষীরা অঞ্চলের।
র‌্যাব জানায়, রোজাকে সামনে রেখে বেঁধে দেয়া সময়ের আগেই আম পেড়ে ইথোফেন নামে হরমোন ব্যবহার করে তা পাকানো হচ্ছে। আর এর বিরুদ্ধে ‌র‌্যাবের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
র‌্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানান, মিরপুর-১ এর ১০টি ফলের আড়ত থেকে জব্দ করা আম ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় দিয়াবাড়ী বালুরমাঠে ধ্বংস করা হয়।
ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘আপনারা অন্তত আগামী এক সপ্তাহ বা ১০ দিন কোনো আম কিনবেন না। পরে যখন পুরোপুরিভাবে আম বাজারে উঠবে তখন কিনবেন। কারণ আমগুলো বাইরে লাল পাকা দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই সেগুলো অপরিপক্ক।’
অভিযানে অংশ নেন ‌র‌্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার (সিপিসি-১) মেজর সাইফুদ্দিন ও বিএসটিআইয়ের মাঠ কর্মকর্তা শরীফ হোসেন।
এর আগে গত ১৭ মে যাত্রাবাড়ীর ফলের আড়তে অভিযান চালিয়ে এক হাজার মণ আম ধ্বংস করে র‌্যাব। সেদিন নয় জনকে দেয়া হয় কারাদণ্ড।
১৫ মে কারওয়ান বাজারে ফলের আড়তে অভিযান চালিয়ে ৪০০ মণ আম ধ্বংস করে র‌্যাব। সেখানেও ইথোফেন হরমোন স্প্রে করার দায়ে আটজনকে বিভিন্ন মেয়াদে (সর্বনিম্ন ১ মাস ও সর্বোচ্চ ৩ মাস) কারাদণ্ড দেয়া হয়।

 
Electronic Paper