ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানকে পাত্তাই দিচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা
অনলাইন ডেস্ক
🕐 ৩:৩৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩
গত কয়েক সপ্তাহের টানা অভিযান-জরিমানা, অতঃপর আমদানির সিদ্ধান্তের পরও কমানো যাচ্ছে না বেধে দেওয়া পণ্যের দামসহ নিত্যপণ্যের দাম।
বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানকে পাত্তাই দিচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। আর জরিমানার টাকা ক্রেতার কাছ থেকেই উসুল করে পুষিয়ে নিচ্ছে তারা।
বিশ্ব বাজারে যেখানে দিন দিন কমছে খাদ্যপণ্যের দাম। সেখানে উল্টো স্রোতে বাংলাদেশ। দাম তো কমছেই না বরং বাড়ছে। আর দাম বাড়ার উছিলার যেন শেষ নেই।
দেশে উৎপাদিত ব্রয়লার মুরগি, ডিম, পেঁয়াজ ও আলুর মজুদ পর্যাপ্ত রয়েছে বলে জানান বিশ্লেষকরা। তবু লাগাম ছাড়া এসব নিত্যপণ্যের দাম। এতে সবচেয়ে বিপদে মধ্য ও নিম্নবিত্তরা।
স্বস্তির উপায় খুঁজতে মাঠে নেমেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বিআইআইএসএস’র জ্যৈষ্ঠ গবেষক মাহফুজ কবিরের কাছে পণ্যের দাম না কমার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা তাদের মুনাফা সর্বোচ্চ করার জন্য একটা প্রতিযোগিতায় নেমেছে। যদি জরিমানা করা হয়, তারা আরেক দফা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়ে সেই জরিমানার টাকা উঠিয়ে নেবে। আর এসব কারণেই সরকারের বেধে দেওয়া দাম এবং ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান খুব একটা কাজে লাগছে না।
তিনি বলেন, পণ্যের দাম ভোক্তার নাগালে আনতে দোকান মালিক সমিতি খুব একটা তৎপরতা দেখাচ্ছে না। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের যেসব সংগঠন আছে বিশেষ করে এফবিসিসিআইয়ের মত সংগঠনগুলোরও তেমন একটা তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। একই সঙ্গে আমাদের যে একটা মজুদ আইন রয়েছে, সেই আইন অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারি তাহলে কিছুটা বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
তবে প্রতিযোগিতা কমিশনকে আরও তৎপর হওয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
বাজার বিশ্লেষক কাজী আব্দুল হান্নান বলেন, সরকার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে কিন্তু ব্যবসায়ীরা তাদের নিজেদের দামে পণ্য বিক্রি করছেন। এ ক্ষেত্রে তারা সরকারের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে। আর এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মাত্র একটা অধিদপ্তর দিয়ে হবে না। বাজার নিয়ন্ত্রণে মজুদকারীদের বিরুদ্ধে সামষ্টিকভাবে যুদ্ধ ঘোষণা করে মাঠে নামতে হবে সরকারকে।
দেশে পণ্যের উৎপাদন বাড়ানোসহ আমদানি করা পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান বাজার বিশ্লেষকদের।