উপনির্বাচন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ চলছে ভোটগ্রহণ, অধিকাংশ কেন্দ্র ফাঁকা
আবু নাছের রতন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
🕐 ৩:৩৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। সুষ্ঠু, শান্তি ও শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে ইভিএমএর মাধ্যমে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত। বুধবার সকাল থেকে নারী ও পুরুষ ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে ভোট কেন্দ্রে আসছেন।
তবে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি খুবই কম। অনেকটাই নীরবে ভোট চলছে সরাইল ও আশুগঞ্জে। অধিকাংশ কেন্দ্র ফাঁকা। ভোট শুরুর তিন ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ২ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত। বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, অল্পসংখ্যক ভোটার ভোটকেন্দ্রে এলেও তাদের বেশ উৎফুল্ল দেখা গেছে। কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই নির্বিঘ্নে ভোট দিয়ে ফিরছেন তারা।
সাধারণ ভোটাররা জানান, মাঠে হেভিওয়েট প্রার্থী না থাকায় নির্বাচন ঘিরে ভোটারদেরও আগ্রহ অনেকটা কম। যেহেতু এই এলাকাগুলো কৃষিপ্রধান সেক্ষেত্রে বেলা বাড়লে ভোটারও বাড়তে পারে।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও আলীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সুনসান নীরবতা। ভোটারদের লাইনে কোনো লোকজন নেই। বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তবে কেন্দ্রের বাইরে উৎসুক মানুষের ভিড় আছে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং জিল্লুর রহমান বলেন, ভোটারদের উপস্থিতি কমই দেখা যাচ্ছে।
এদিকে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহগীর আলম জানান, আকাশ মেঘলা হওয়ার পাশাপাশি শীতের সকালে ভোটারদের উপস্থিতি কিছুটা কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে পারে। তবে তাদের উপস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে প্রার্থীরা সঠিকভাবে মোটিভেশন করতে পারেননি।
নির্বাচনে মোট ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এরা হলো বিএনপির বহিস্কৃত নেতা উকিল আব্দুস সাত্তার (কলারছড়ি), জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ভাসানী (লাঙ্গল), জাকের পার্টির জহিরুল হক জুয়েল (গোলাপ ফুল) ও বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আবু আসিফ আহমেদ (মোটরগাড়ি)।
তবে নির্বাচনে আওয়ামীলীগ এ আসনটিকে উন্মুক্ত ঘোষনা করায় এখনে আওয়ামীলীগের দলীয় কোন প্রার্থী নেই। এছাড়াও বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আবু আসিফ আহমেদ গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
সরাইল-আশুগঞ্জ দুই উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩১৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৭ হাজার ৫০৩ ও নারী ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৭৫ হাজার ৮১৫ জন। এছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গের একজন ভোটার রয়েছে।
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় অফিসারসহ ১হাজার ১শত পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকার পাশাপাশি ৪ প্লাটুন বিজিবির সদস্য, র্যাবের ৯টি টিম, পুলিশের ৯টি মোবাইল টিম ও ৪টি স্ট্রাইকিং টিম। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে নিরাত্তার দায়িত্ব পালন করবে ৩জন পুলিশ, অস্ত্রধারী ২জন আনসার, লাঠিধারী ১০জন আনসার ও ২জন গ্রাম পুলিশ। এছাড়া ১৭টি ইউনিয়নে ১৭জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।