ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

৭৫ শতাংশ পাস্তুরিত দুধে মলের জীবাণু

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:৪৬ অপরাহ্ণ, মে ১৬, ২০১৮

পাস্তুরিত দুধের ৭৫ শতাংশর বেশি দুধ সরাসরি পানের জন্য নিরাপদ নয়। এসব দুধে মলবাহিত জীবাণু কলিফর্ম রয়েছে। আইসিডিডিআরবির এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

এ গবেষণার জন্য দেশের উত্তরাঞ্চলের দুধ উৎপাদনকারী, হিমাগার এবং স্থানীয় রেস্তোরাঁ থেকে কাঁচা দুধের ৪৩৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এ ছাড়াও ঢাকা এবং বগুড়ার বিভিন্ন দোকান থেকে বাণিজ্যিকভাবে প্রক্রিয়াজাত দুধের ৯৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কেয়ার বাংলাদেশের আর্থিক সহায়তায় ‘স্ট্রেনদেনিং দ্য ডেইরি ভ্যালু চেইন (এসডিভিসি)’ প্রকল্পের আওতায় বগুড়া, গাইবান্ধা, নীলফামারী, দিনাজপুর, জয়পুরহাট, রংপুর এবং সিরাজগঞ্জ জেলার মোট ১৮টি উপজেলায় এ গবেষণা পরিচালিত হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাথমিক দুধ উদপাদনকারী পর্যায়ে ৭২ শতাংশ ও ৫৭ শতাংশ নমুনা যথাক্রমে কলিফর্ম (১০০ সিএফইউ/এমএল) এবং ফিক্যাল কলিফর্ম (১০০ সিএফইউ/এমএল) ব্যাকটেরিয়া দিয়ে দূষিত এবং নমুনাগুলোর ১১ শতাংশ উচ্চসংখ্যক ই.কোলাই (১০০ সিএফইউ/ এমএল) রয়েছে।
দুধকে পানের জন্য নিরাপদ করে তোলার জন্য একে পাস্তুরিত করা হয়। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় মানদণ্ডে পাস্তুরিত দুধে এ ধরনের মলবাহিত কলিফর্মের উপস্থিতি একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।
আইসিডিডিআরবির সহযোগী বিজ্ঞানী ও ফুড মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবরেটরির প্রধান ড. মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, শিশুদের পুষ্টির প্রাথমিক উৎস দুধ। বাজারের পাস্তুরিত কাঁচা দুধে রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর উপস্থিতি রয়েছে। ভালোভাবে না ফুটিয়ে এসব দুধ কোনো অবস্থাতেই পান করা উচিত নয়। তবে, ইউএইচটি দুধ থেকে সংগৃহীত নমুনায় জীবাণুর সংক্রমণ দেখা যায়নি।
তিনি বলেন, সবার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর দুধ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের দুগ্ধ শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাস্থ্যকরভাবে গরুর দুধ দোয়ানো, সংগ্রহ ও সরবরাহ, সংরক্ষণ এবং পাস্তুরিত করার বিষয়ে যত্নবান হতে হবে। এ ছাড়াও, পানের জন্য দুধকে নিরাপদ রাখতে দুধ উৎপাদনের স্থান থেকে ভোক্তার টেবিল পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে পাস্তুরিত দুধকে নিরবচ্ছিন্নভাবে শীতল রাখার পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরি।

 
Electronic Paper