ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

‘বাংলাদেশ এশিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি হিসাবে আবির্ভূত হচ্ছে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
🕐 ২:১১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২

‘বাংলাদেশ এশিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি হিসাবে আবির্ভূত হচ্ছে’

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বাংলাদেশ এশিয়া মহাদেশের একটি অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি হিসাবে আবির্ভূত হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে বিবেচিত। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনার দ্বার হিসাবে বাংলাদেশ এশিয়া মহাদেশের একটি অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি হিসাবে আবির্ভূত হচ্ছে।’

মেক্সিকো সফররত সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী গুয়াতেমালার প্রাকৃতিক ঐতিহ্য বিষয়ক ভাইস মিনিস্টার মারিও রবের্তো মালদনাদো সমায়া’র সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে একথা বলেন।

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার মেক্সিকো সিটির লস পিনস-এ ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স, মন্ডিয়াকাল্ট- ২০২২-এ অংশগ্রহণরত গুয়াতেমালার ভাইস মিনিস্টার এবং সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের মধ্যে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিমন্ত্রী কুশল বিনিময়ের পর গুয়াতেমালার ভাইস মিনিস্টারকে দেশটির স্বাধীনতার ২০১তম বার্ষিকীতে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে বহুগুণ বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে কে এম খালিদ বলেন, বাংলাদেশ কয়েক দশক ধরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য প্রেরণকারী শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর অন্যতম। বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি, জলবায়ু পরিবর্তন, লৈঙ্গিক সমতা এবং টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিষয়ে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে। অন্যদিকে, গুয়াতেমালা মধ্য আমেরিকার সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ। আমাদের ফার্মাসিউটিক্যাল ও প্লাস্টিক শিল্পের সুখ্যাতি রয়েছে। আইসিটি শিল্পও ক্রমবর্ধমান। তিনি আরো বলেন, গুয়াতেমালা হল বিশ্বের সবচেয়ে বড় এলাচ উৎপাদক, যা বাংলাদেশি রন্ধনশালায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। দেশটি চকলেট বারেরও উদ্ভাবক।

কে এম খালিদ বলেন, বাংলাদেশ ও গুয়াতেমালা উভয় দেশই সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অধিকারী। প্রতিমন্ত্রী আফসোস প্রকাশ করে বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ও গুয়াতেমালার মধ্যে সাংস্কৃতিক সহযোগিতা নগণ্য। অদূর ভবিষ্যতে যাতে দু’দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় জোরদার করা যায় সেজন্য তিনি দ্বিপাক্ষিক সাংস্কৃতিক সহযোগিতায় একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার প্রস্তাব দেন।

গুয়াতেমালার ভাইস মিনিস্টার এ ব্যাপার একমত পোষণ করেন। তিনি সাংস্কৃতিক সহযোগিতার পাশাপাশি দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগকেও কাজে লাগানোর আহবান জানান। এ ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রীসহ বাংলাদেশ সরকারের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা কামনা করেন।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এসময় গুয়াতেমালার ভাইস মিনিস্টারকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

সাক্ষাৎকালে মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম, বাংলাদেশ দূতাবাস মেক্সিকোর কাউন্সেলর শাহনাজ আক্তার রানু ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

 
Electronic Paper