ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নালিতাবাড়ীর জটিল রোগে আক্রান্ত প্রতিবন্ধী সোলেমান, বাঁচার আকুতি

এম. সুরুজ্জামান, নালিতাবাড়ী (শেরপুর)
🕐 ৬:২৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৬, ২০২২

নালিতাবাড়ীর জটিল রোগে আক্রান্ত প্রতিবন্ধী সোলেমান, বাঁচার আকুতি

শেরপুরের নালিতাবাড়ীর শারিরীক প্রতিবন্ধী সোলেমান (২৫) বাঁচতে চায়। সে দীর্ঘদিন ধরে জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে অর্থের অভাবে চিকিৎসা করতে পারছে না। 

পাঁচ সদস্যের সংসার আর প্রতিবন্ধী ছোট ভাইয়ের চিকিৎসার খরচ মেটাতে গিয়ে বড় ভাই হতদরিদ্র রিকশা চালক সোহেল এখন দুর্বিসহ জীবন কাটাচ্ছেন। সোলেমান মিয়া উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের বিশগিরিপাড়া গ্রামের অসহায় দরিদ্র কৃষিশ্রমিক আব্দুল বারেকের ছেলে।

জানা গেছে, পাঁচ ভাই বোনের সংসারে বাবা মা মারা গেছেন অনেক আগেই। বাবা মায়ের মৃত্যুর পর সংসারের চাহিদা মেটাতে বড় ভাই সোহেল রিকসা চালিয়ে ও শারিরীক প্রতিবন্ধী সোলেমান ভিক্ষাবৃত্তি করে কোন রকম খেয়ে না খেয়ে দিন যাপন করছিল। এর মাঝে দুই বোনকে তাদের দুজনের প্রচেষ্টায় বিয়ে দেওয়া হয়। পরে প্রায় তিন বছর আগে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধীকে সোলেমান বিয়ে করে।

বিয়ের পর জীবিকার তাগিদে ঢাকায় গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালায়। সেখানে কিছুদিন যাওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে আবার বাড়ীতে চলে আসে। যতই দিন বাড়ছে তার শরীরের সমস্যাও তত বাড়তে থাকে।

প্রতিবন্ধীর বড় ভাই সোহেল বলেন, দুই বছর যাবত সোলেমানের শারীরিক সমস্যা দিনদিন বাড়ছে। সে এখন নিজে উঠে দাঁড়াতে পারছেনা। কোন কিছু খেলে তা পেটে বেশিক্ষণ রাখতে পারেনা। দিনে ৮-১০ বার শুধু বমি করে। কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো শেষে বর্তমানে তাকে বাড়িতে এনেছি। এতে কোন কাজ হয়নি। সোলেমান তার স্ত্রী বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও আমার পরিবারের ভরনপোষণ করাটাই অনেক কষ্টের ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। তাই টাকার অভাবে আর চিকিৎসা করাতে পারছিনা। ইতোমধ্যে চিকিৎসা করতে গিয়ে অনেক ধার-দেনা করেছি। ভালো চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করা হলে আবারো আগের মত সুস্থ্য হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে বলে চিকিৎসকরা জানান।

এদিকে চিকিৎসক জানিয়েছেন সোলেমানের চিকিৎসা করাতে প্রায় ২ লাখ টাকার প্রয়োজন। দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এত টাকা কোনভাবে সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। তাই চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান মানুষের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন তার চাচা আহমেদ হোসেন।

এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ীর রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আমানউল্যাহ বাদশা বলেন, সোলেমানের চিকিৎসা করাতে অনেক টাকার দরকার। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সামান্য অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছি। তবে তার চিকিৎসার জন্য তা যথেষ্ট নয়। সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা করা দরকার। তাহলে প্রতিবন্ধী সোলেমানকে হয়তো বাঁচানো যাবে।

 
Electronic Paper