ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নালিতাবাড়ীতে রাস্তার বেহাল দশায় ভোগান্তিতে পাঁচ গ্রামের মানুষ

এম. সুরুজ্জামান, নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
🕐 ৩:৪০ অপরাহ্ণ, জুলাই ০৩, ২০২১

নালিতাবাড়ীতে রাস্তার বেহাল দশায় ভোগান্তিতে পাঁচ গ্রামের মানুষ

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ঘোগড়াকান্দি গ্রামে প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশার কারণে পাঁচ গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এই রাস্তা দিয়ে এলাকার কৃষক, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষ চলাচল করে। স্থানীয়রা জানান দ্রুত ওই রাস্তাটি পাকা না করা হলে এলাকার মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকবে না।

জানা গেছে, উপজেলার কলসপাড় ইউনিয়নের পূর্ব ঘোগড়াকান্দি চৌরাস্তা মোড় থেকে নয়াপাড়া হয়ে তারানীপুর তিন রাস্তার মোড় পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার অবহেলিত এই কাঁচা রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবত বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকলেও নেই পাকাকরণের উদ্যোগ। এ রাস্তা দিয়ে পাঁচগাও, ডহরিয়াপাড়া, তারানীপুর, পূর্ব ঘোগড়াকান্দি ও পশ্চিম ঘোগড়াকান্দি গ্রামের হাজারো মানুষ আসা যাওয়া করে। সামান্য বৃষ্টির পানিতে মাটি গলে কাদায় পরিণত হয়। পুরো বর্ষা মৌসুম জুড়েই রাস্তাটি কাদা পানিতে একাকার হয়ে পড়ে। ফলে এ রাস্তাটি যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে বেকায়দায় পড়তে হয়। এতে তাদের ভোগান্তি ও ব্যয় দুটিই বাড়ে। এছাড়া এ রাস্তা দিয়ে এলাকার জনগণ ইউনিয়ন পরিষদে ও শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে।

ঘোগড়াকান্দি গ্রামের কৃষক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দিলেও দীর্ঘ ১০ বছর ধরে এ রাস্তাটি কাঁচাই রয়ে গেছে। বর্তমানে কাঁদা রাস্তার কারণে ধানসহ অন্যান্য ফসল হাটবাজারে বিক্রি করতে খুবই কষ্ট করতে হয়।

ঘোগড়াকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় গ্রামের শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সময় বিদ্যালয়ে সঠিক সময়ে উপস্থিত হতে পারে না।

এ ব্যাপারে স্থানীয় কলসপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, ওই রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য আপাতত কোনো বাজেট নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর যদি বাজেট পাই তাহলে ওই রাস্তার কাজ করে দিব।

 

 
Electronic Paper