নকলায় বৈষম্য নিরসনের দাবীতে স্মারক লিপি প্রদান
নকলা প্রতিনিধি:
🕐 ৪:০৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৬, ২০২০
শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়োগ বিধি দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশোধন করে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবীতে স্মারক লিপি প্রদান করেছেন স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীরা। ২৫ নভেম্বর, বুধবার দুপুরের দিকে বাংলাদেশ হেল্থ এসিসট্যান্ট এসোসিয়েশন নকলা উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমান ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. বোরহান উদ্দিন এর নিকট স্মারক লিপি প্রদান করেন।
জানা গেছে, নিয়োগ বিধি সংশোধন করে স্বাস্থ্য সহকারীদের ১৩ তম গ্রেড, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের ১২ তম গ্রেড ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের ১১ তম গ্রেড প্রদান করে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে যথাযথ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর এ স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।
স্মারক লিপি প্রদান করার সময় স্বাস্থ্য পরিদর্শক (ইনচার্জ) মাসুদুল আলম, এএইচআই রফিকুল ইসলাম, হেল্থ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন শেরপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বাস্থ্য সহকারী আনোয়ার হোসেনসহ স্বাস্থ্য সহকারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্মারক লিপি জমা দেওয়ার আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তারা জানান, ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের বেতন বৈষম্য নিরসনের ঘোষনা দেন। অত:পর ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারী তৎকালীন মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাদের ন্যায্যদাবী সমূহ মেনেনিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন।
চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারীতে আমরা হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইনের কার্যক্রম বর্জন করলে মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মহোদয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয় আমাদের দাবী সমূহ পুনরায় মেনেনিয়ে লিখিত সমঝোতা পত্রে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু দু:খ জনক হলেও সত্যি যে, ওই লিখিত সমঝোতা পত্রের সিদ্ধান্ত অজ্ঞাত কারনে অদ্যবধী বাস্তবায়ন করা হয়নি।
এ জন্য তারা তাদের ন্যায্যদাবী আদায়ের লক্ষে সকল প্রকার ক্যাম্পেইনের কার্যক্রম বর্জনসহ কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২ নভেম্বর থেকে পর্যায়ক্রমে জেলা, বিভাগ, এনএসআই, মহাপরিচালক ও দাতা সংস্থার বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সম্মেলন, ২৬ নভেম্বর থেকে ইপিআইসহ যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষনা করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, উপজেলায় কর্মরত স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীরা আমার কাছে এর আাগেও স্মারক দিয়েছিলেন। এ বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। কিন্তু তাদের দাবী বাস্তবায়ন না করায় তারা পুনরায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে স্মারক লিপি প্রদান করেছেন। এ ছাড়া ২৬ নভেম্বর থেকে তাদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক তারা কর্ম বিরতির ডাক দিয়েছেন বলেও তিনি জানান।