ভাবিকে গলা কেটে হত্যা, দেবরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
🕐 ২:১০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১২, ২০২০
নেত্রকোনার পূর্বধলায় লিপি আক্তার নামের এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় তার চাচাতো দেবর রাসেল মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ১১ অক্টোবর, রোববার সন্ধ্যায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে পূর্বধলা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
রফিকুল ইসলাম জানান, পুলিশ হেফাজতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা রাসেল ১০ অক্টোবর, শনিবার বিকেলে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পান। পরে রোববার তাকে নেত্রকোনা বিজ্ঞ আদালতে নেওয়া হলে সেখানে জবানবন্দি শেষে সন্ধ্যায় কারাগারে পাঠানো হয়।
এরআগে গত ৪ অক্টোবর ভোরে উপজেলার সদরের পশ্চিমপাড়া গ্রামের আজিজুল ইসলামের স্ত্রী লিপিকে গলাকেটে হত্যা করে রাসেল। ভাবিকে হত্যার পর রাসেল নিজেও তার গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে বাড়ির লোকজন রাসেলকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
হত্যাকাণ্ডের সময় লিপির স্বামী আজিজুল বিজিবির পঞ্চগড় এলাকায় কর্মরত ছিলেন। আলিফ নামে তাদের ১২ বছরের এক ছেলেকে নিয়ে লিপি বাড়িতেই থাকতেন।
ঘটনার দিন রাতে লিপি তার ছেলেকে নিয়ে নিজ ঘরের এক পাশে ও লিপির দেবর আজিজুলের ছোট ভাই সিরাজুল ইসলাম তার স্ত্রীকে নিয়ে একই ঘরের অন্য পাশে ঘুমাচ্ছিলেন।রাসেল পূর্বপরিকল্পিতভাবে লিপির ঘরে প্রবেশ করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় গত ৫ অক্টোবর নিহত লিপির বোন ফেরদৌসী বেগম বাদী হয়ে রাসেলসহ অজ্ঞাত আরও ২ জনকে আসামি করে পূর্বধলা থানায় হত্যা মামলা করেন।