গলাকাটা দেবরের পাশে ভাবির রক্তাক্ত মৃতদেহ
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
🕐 ২:২১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০৪, ২০২০
নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার পশ্চিমপাড়া এলাকার একটি বাড়ির কক্ষে গলাকাটা দেবরের পাশে মিলেছে ভাবির রক্তাক্ত দেহ। দুইজনেরই গলায় ছিল ছুরি দিয়ে কাটার দাগ। রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে ভাবির মৃত্যু হয়। এছাড়া দেবরকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রোববার সকালে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পুলিশ ওই গৃহবধূর লাশ নিজেদের হেফাজতে নেয়। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছিল।
পুলিশের ধারণা, পরকীয়া সম্পর্কের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
নিহত লিপি পূর্বধলা উপজেলা সদরের পশ্চিমপাড়া গ্রামের আজিজুল ইসলামের স্ত্রী। আর রাসেল একই বাড়ির আলাল উদ্দিনের ছেলে ও লিপির স্বামীর চাচাতো ভাই।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নিহত লিপি আক্তারের স্বামী পঞ্চগড়ে কর্মরত রয়েছে। আলিফ নামে তাদের ১২ বছরের এক ছেলে রয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে লিপি আক্তার তার ছেলেকে নিয়ে নিজ ঘরের এক পাশে ও একই ঘরের অন্যপাশে লিপির দেবর সিরাজুল ইসলাম তার স্ত্রীকে নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, রাত তিনটার দিকে হঠাৎ ঘরে গোঙ্গানির শব্দ শুনে তারা জেগে দেখেন ঘরের মেঝেতে লিপি ও রাসেল গলা কাটা অবস্থায় পড়ে আছেন। তখন তাদের চিৎকারে বাড়ির লোকজন এসে আহত দুইজনকে উদ্ধার করে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক লিপিকে মৃত ঘোষণা করেন। রাসেলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
লিপির শ্বশুর জালাল উদ্দিন জানান, তার ছেলে আজিজুল প্রায় ১৫ বছর আগে উপজেলার জারিয়া গ্রামে বিয়ে করেন। কিছু দিন ধরে লিপির সঙ্গে রাসেলের পরকীয়ার সম্পর্কের কথা শোনা যাচ্ছিল। এক সপ্তাহ আগেও আজিজুল ছুটিতে বাড়িতে এলে এ নিয়ে পারিবারিকভাবে মীমাংসা করে কর্মস্থলে ফিরে যান।
খবর পেয়ে নেত্রকোনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোরশেদা খাতুন, পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম ও ময়মনসিংহ থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রামই সিন ইউনিটের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।