ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

প্রেমে ব্যর্থ হয়েই ডা. সুলতানার আত্মহত্যা  

মিঠু আহমেদ, জামালপুর
🕐 ১০:১৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৭, ২০২০

জামালপুরের মেলান্দহ হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক সুলতানা পারভীনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে হাসপাতালের কোয়ার্টার থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার বালিশের নিচ থেকে একটি ডায়েরি ও একটি সিরিঞ্জ পাওয়া যায়। পারিবারিক কলহ ও প্রেমে ব্যর্থ হয়েই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলেই অনেকে ধারণা করছেন।

 

জানা যায়, সুলতানা পারভীনের বাবার নাম আলাউদ্দিন আজাদ। মায়ের নাম রহিমা আজাদ। তিনি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া এলাকার বাসিন্দা। থাকতেন ঢাকার মোহাম্মদপুরের ২৮/এ নং বাসা, রোড নং-৩, মোহাম্মদী আবাসিক এলাকায়। আর মেলান্দহ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন সুলতানা পারভীন। ব্যক্তিজীবনে তিনি অবিবাহিত ছিলেন।         

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলুল হক জানান, শনিবার দিবাগত রাতে বাসায় ঘুমিয়ে পড়েন সুলতানা পারভীন। এরপর সারাদিন তার বাসা থেকে সাড়া না পেয়ে সন্দেহ জাগে। পরে পুলিশসহ হাসপাতালের অন্যদের নিয়ে কোয়ার্টারের তার রুমের দরজা ভেঙে ভেতরে লাশ পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহ ও প্রেমে ব্যর্থ হয়েই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। অপরদিকে খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী ও সার্কেল এসপি ছামিউল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম জানান, প্রাথমিকভাবে ডাক্তার সুলতানা পারভীন আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তার শরীরে প্যাথেডিন পুশের আলামত পাওয়া গেছে। তার বালিশের নিচে প্যাথেডিনের সিরিঞ্জ ও একটি ডায়েরি পাওয়া গেছে। এতে মনে হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী জানান, লাশ উদ্ধার করার সময় তার বালিশের নিচ থেকে একটি ডায়েরি ও একটি সিরিঞ্জ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে তিনি প্রেমে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

 
Electronic Paper