চার মাস পানিতে বসবাস
ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
🕐 ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ০২, ২০২০
ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী ধোবাউড়া উপজেলার সবচয়ে অবহেলিত ইউনিয়ন পোড়াকান্দুলিয়া। কংশ নদীর পাড় ঘেঁষা এ ইউনিয়নটি নিচু এলাকাও বটে। এখানকার রাস্তাঘাটগুলো কাঁচা। বর্ষা এলেই পানির নিচে তলিয়ে যায় বেশিরভাগ রাস্তা। এতে বিভিন্ন স্থানে দেখা দেয় ভাঙন। বছরে কমপক্ষে চার মাস বন্যার পানিতে বসবাস করতে হয় প্রায় ১৫ গ্রামের মানুষের। বর্ষার মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বন্যার সৃষ্টি হয়। পানিতে ভরপুর থাকে কংশ নদী ও নিদয়া বিল।
সরেজমিন দেখা গেছে, পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের উদয়পুর, বহরভিটা, বেতগাছিয়া, কালিনগর, রাউতি, ঘুঙ্গিয়াজুড়ি, আটাম মানিকপুর, চরেরভিটা, পুটিয়ারকান্দা, মদনপুর, আংগরাকান্দা, পোড়াকান্দুলিয়াসহ প্রায় ১৫টি গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ডিঙ্গি নৌকা ছাড়া বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না তারা। গবাদি পশু নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। প্রায় সবকটি রাস্তায় পানির নিচে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও পানি উঠে পড়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার বলেন, নিজ উদ্যোগে রাস্তাটি কোনো রকম মেরামত করা হয়। অনেকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাস্তাটি করে দিবেন। তবে এখনও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এছাড়া পোড়াকান্দুলিয়া বাজার থেকে উদয়পুর বেতগাছিয়া হয়ে বহরভিটা যাওয়ার প্রধান সড়কটি বন্যার পানি নিমজ্জিত থাকে। এতে কর্মহীন হয়ে পড়ে সাধারণ মানুষ। টিউবওয়েল ও পুকুর পানির নিচে নিমজ্জিত থাকায় নানা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয় অনেকে।
শিক্ষক নূরুল ইসলাম জানান, নেতাই নদীতে বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও কংশ নদী খনন করা হলে বন্যার হাত থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান স্বপন তালুকদার বলেন, পানি কমলে ভাঙা রাস্তা সংস্কার করার চেষ্টা করব।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ময়মনসিংহের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুসা জানান, আমরা বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রস্তাব পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলে কাজ করতে পারব।