সাংবাদিকের ফোনে এগিয়ে এলো বিদ্যুৎ কর্মকর্তা, মুক্ত হলো শালিক
নরসিংদী প্রতিনিধি
🕐 ২:০৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০২০
লোকালয়ের মেঠো পথে হেটে যাচ্ছিল কাদির নামে একজন সংবাদকর্মী। হঠাৎ মাথার উপরে কিচিরমিচির শব্দ শুনে তাকিয়ে দেখে বিদ্যুতের খুঁটির তারে প্যাঁচানো সুতায় আটকা পড়ে আছে একটি গো শালিক পাখি। পাখিটি এভাবেই লোক চক্ষুর আড়ালে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঝুলে ছিলো। পাখিটি অবমুক্ত করার জন্য ফোনে ঘটনাটি প্রথমে ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। পরে ঘটনাটি রায়পুরা জোনাল অফিসের ডিজিএম সিদ্দিকুর রহমানকে অবহিত করলে তিনি লাইনম্যান পাঠিয়ে আটকা পড়া গো শালিকটিকে উদ্ধার করেন। এই ঘটনাটি ঘটেছে রায়পুরা উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে থাকা একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে।
মঙ্গলবার সাংবাদকর্মী আব্দুল কাদির জনান, আমি উপরে তাকালে হঠাৎ দেখতে পাই বিদ্যুতের খুঁটির কাভারযুক্ত তারে প্যাঁচানো সুতায় একটি গো শালিক আটকে আছে। তখন পাখিটির এক পা সুতায় আটকে থাকতে নিচের দিকে ঝুলে ছিল। খুঁটির পাশেই দেশীয় জাতের একটি নিমগাছ।
অনেক খোঁজ করেও, গাছ বেয়ে উঠে পাখিটি উদ্ধার করার মতো কাউকে পাওয়া গেল না। ফোন দেওয়া হলো, উপজেলা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ সৈয়দ আসাদুজ্জানকে তিনি জানালেন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়িটি নষ্ট। মেরামতের জন্য কার সার্ভিসিং সেন্টারে নেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তারা আসতে পারবেন না।
ইতিমধ্যেই অতিবাহিত হয়ে গেল আরও একটি ঘণ্টা। গো শালিকটিও আগের মতো আর নড়াচড়াও করছে না। অবশেষে ফোনে বিষয়টি রায়পুরা জোনাল অফিসের ডিজিএম সিদ্দিকুর রহমানকে জানানো পর তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে লাইনম্যান গেট-১ বাদলকে পাঠান। লাইনম্যান বাদলও তার সহকর্মীরা সোমবার এ্যালমুনিয়ারে বিশেষ মইয়ের সাহায্য ওপরে উঠে আটকা পড়া গো শালিকটি উদ্ধার করে মুক্ত করে দেন।
রায়পুরা জোনাল অফিসের লাইনম্যান গেট-১ বাদল মিয়া বলেন, একজন সাংবাদিক ডিজিএম স্যারকে ফোনে ঘটনাটি জানায়। পরে আমি ও আরও কয়েকজন এসে আটকা পড়া পাখিটি উদ্ধার করে অবমুক্ত করে দিয়েছি।
রায়পুরা জোনাল অফিসের ডিজিএম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মানুষ কিংবা পশু-পাখি বলে কথা নয়, প্রত্যেক প্রাণির বিপদেই আমাদের এগিয়ে আসা উচিত।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
