ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পাকুন্দিয়ায় দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বমুখী

হুমায়ুন কবির, (পাকুন্দিয়া) কিশোরগঞ্জ
🕐 ২:৩৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০

রমজানে আগে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় দফায় দফায় বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। এতে ক্রেতাদের ভোগান্তি  সীমাহীন। রমজান মাসকে সামনে রেখে প্রায় দুই মাস আগেই  কৌশলে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন বিক্রেতারা।

গতকাল শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন বাজার দেখা গেছে, ১৫ দিনের ব্যাবধানে প্রতি  কেজি ছোলায় বেড়েছে ১০টাকা। ৫৫ টাকার চিনি এখন ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৪৭০ টাকার পাঁচ লিটারের  বোতলজাত সয়াবিন এখন বিক্রি হয় ৫০০ টাকায়। প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয় ৮০ টাকা থেকে ৯৫ টাকায়।

কমেছে রসুন, আদা, শুকনো মরিচ ও  পেঁয়াজের দাম। মোটা চালের দাম ৫০  কেজির প্রতি বস্তায় বেড়েছে দুইশত টাকা।  ছোলা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, ছোলার ডাল ৭০, মটর ডাল ৪৪,  খেসারি ডাল ৪০, মসুর ডাল বিভিন্ন মানের ৭৫ থেকে ১২০ টাকা।

তবে ১৫ দিন আগের  থেকে ১০ টাকা কমে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে  কেজি প্রতি ৮০ টাকা করে। আদা  কেজি প্রতি ১১০ টাকা ও রসুন কেজি প্রতি ১৪০  থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ সপ্তাহে ফার্মের মুরগির দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্রয়লার প্রতি কেজি ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রায় আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। এ সপ্তাহে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৩০ টাকায়।

বাজারের খুচরা চাল বিক্রেতা গোলাপ মিয়া বলেন, মোটা চালের ৫০ কেজির ১৫ দিন আগে ছিল ১৫০০ টাকা এখন দাম বেড়ে ১৭০০ টাকা হয়েছে এবং ১০৮০ টাকার ২৫  কেজির মিনিকেট চালের বস্তা ১২০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারের চা বিক্রেতা ইংরাজ বলেন, আজ ‘চার-পাঁচটা দোকান ঘুরে দেখলাম, সব দোকানে চিনির কেজি ৭০  থেকে ৭৫ টাকা। অথচ চিনির দাম কিছুদিন আগেও ৫৫ থেকে ৬৫ টাকার মধ্যে ছিল। রমজানের আগেই যে হারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে, তাতে নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের কষ্ট বাড়বে।’

অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, রমজানকে টার্গেট করে এখন  থেকেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ানো হচ্ছে। ধীরে ধীরে দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছেন বিক্রেতারা। একবারে যেন অনেক দাম না বাড়ে এ জন্য এখন থেকে প্রতি সপ্তাহে অল্প অল্প করে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন বিক্রেতারা।

 
Electronic Paper