ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ফসলি জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণের চেষ্টা

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
🕐 ৬:২১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯

জামালপুরের সরিষাবাড়ী সীমান্তবর্তী এলাকা কাজীপুর উপজেলায় ৮নং চরগিরিশ গ্রামে কৃষকের তিন ফসলি জমি নষ্ট করে আশ্রায়ণ প্রকল্প নির্মাণের চেষ্টা চালাচ্ছে একটি স্বার্থন্বেষী মহল।

জানা যায়, ১৯৭৩-৭৪ সালে যমুনার করালগ্রাসে নদীগর্ভে হারিয়ে যায় সিন্দুর আটাগ্রাম। এতে ভূমিহীন হয়ে অসহায়ের মতো শত শত পরিবার জীবিকার সন্ধানে চলে যায় অন্যত্র। পরবর্তীতে নদীতে চর জাগ্রত হলে সেখানে ফিরে আসতে থাকে ওই বসবাসকারী গ্রামবাসী।

চরাঞ্চলের মানুষগুলো অশিক্ষিত সহজ সরল হওয়ায় তারা মনে করে ছিলেন, তাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি তাদের আছে। কিন্তু উপজেলা প্রশাসনের হুমকিতে আজ তারা দিশেহারা। তারা বুঝতে পেরেছেন তাদের বাপ-দাদার সম্পত্তিগুলো সরকারি খাস খতিয়ানে চলে গেছে। সেখানে এলাকার কিছু অসাধু ভূমিদস্যু মানুষ জমিগুলো দখলের পাঁয়তারা চালায়।

এতে সফল না হয়ে অন্য পন্থা অবলম্বন করে আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে এসেছে। যদি এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হয় তাহলে প্রায় দুইশ পরিবার ভূমিহীন হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করবে।

জানা গেছে, তালাবন্ধ ঘরগুলি অত্র এলাকার ধনী ও নেতৃত্ব স্থানীয় লোকদের নামে বরাদ্দকৃত। এদিকে সিন্দুর আটা মৌজায় আরেকটি আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণ করা হবে, এটা কারো বোধগম্যে ছিল না। সিন্দুরআটা গ্রামের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকেরা জানান, সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে আশ্রয়ণ প্রকল্প নিমার্ণ করেন কিন্তু সেখানে কোন মানুষ বাস করে না।

কৃষক খোরশেদ আলম জানান, সিন্দুরআটা মৌজায় মরিচ, ভুট্টা, গম আবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করি। সরকার যদি এখানে আশ্রয়ণ প্রকল্পটি করেন তাহলে আমরা না খেয়ে থাকবো।

ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হক মিন্টুকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, সরকারি জমিতে সরকার তার প্রকল্প বাস্তবায়ন করবেন। এখানে কারো কিছু বলার নেই। আমি প্রতিনিধি হিসেবে অত্র এলাকার উন্নয়ন চাইবো এটাই স্বাভাবিক।

 
Electronic Paper