ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কবে হবে সেতুবন্ধন

ময়মনসিংহ (হালুয়াঘাট) প্রতিনিধি
🕐 ৬:০৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া এই দুটি উপজেলায় প্রায় ৩০ হাজার মানুষ চলাচলে বাঁশের সাঁকোই তাদের একমাত্র ভরসা। হালুয়াঘাট উপজেলার আলিশা বাজার হয়ে নিশ্চিন্তপুর ও বটগাছিয়া কান্দা গ্রামের মাঝখান দিয়ে কংশ নদী প্রবাহিত হয়ে ধোবাউড়া উপজেলা বাঘবেড় ইউনিয়নের মিলন বাজারের কুল ঘেঁষে বয়ে আসা গোদারিয়া নদীতে মিলিত হয়।

নদীর পাড়ে মিলন বাজারে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে হাজারও শিক্ষার্থী। ঝুঁকি নিয়ে এইসব শিক্ষর্থীরা বাঁশের সাঁকো দিয়েই চলাচল করছে বলে জানান অভিভাবকরা। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে সেতুর দাবি জানিয়ে আসলেও সেটি কবে হবে তা কেউ জানে না।

খামার বাসা, মিলন বাজার ও নিশ্চিন্তপুর বটগাছিয়াকান্দাসহ ১০ গ্রামে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে আসা-যাওয়া করে। নদীর আশপাশে বেশ কয়েকটি অবহেলিত গ্রাম রয়েছে। আর এইসব গ্রামগুলো কৃষি নির্ভর হওয়ায় তাদের উৎপাদিত পণ্য জেলা শহরে বাজারজাত করতে পারে না। এতে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা। গোদারিয়া নদীর ওপর একটি সেতু হলে দুই উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবহেলিত গ্রামের মানুষগুলোর উৎপাদিত ফসল, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ যাতায়াতের সহজ উপায় হবে।

স্থানীয়রা জানান, এক সময় এই ঘাটে খেয়া নৌকা চলতো। বেশ কয়েকবার নৌকা ডুবে প্রাণহানির কারণে এলাকাবাসী সাঁকোটি তৈরি করে। তাই গোদারিয়া নদীর ওপর একটি আরসিসি সেতু স্থাপনে স্থানীয় সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং এর সহযোগিতা কামনা করছি।

উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক সায়েম বলেন, দুই উপজেলার সেতুবন্ধনে সহযোগিতা করবেন তিনি।

উপজেলা প্রকৌশলী শান্তনু ঘোষ সাগর বলেন, ইতোমধ্যে আমরা বেশ কিছু নদী-খালের ওপর সেতু স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি। গোদারিয়া নদী ওপর সেতু স্থাপন খুবই প্রয়োজন, তাই পরবর্তীতে সেতুটি কনস্ট্রাকশনের জন্য পাঠাবো।

 
Electronic Paper