মুক্তাগাছায় সড়ক বেহাল
এম ইদ্রিছ আলী, ময়মনসিংহ
🕐 ৯:৩৭ অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০১৯
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা পৌরসভার অধিকাংশ রাস্তার বেহাল দশা। সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় অনেক রাস্তা। কোথাও কাদাজলে একাকার হয় রাস্তা। কোথাও ড্রেনের কাজ করতে গিয়ে ভাঙা রাস্তা ফেলে রাখা হয়েছে বছরের পর বছর ধরে। কোনো এলাকায় আবার দীর্ঘদিন সংস্কারের ছোঁয়া না লাগায় বেহাল সড়ক মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সবমিলে এসব সড়কে চলাচল করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নাগরিকদের। এসব সড়ক নিয়ে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে নাগরিকদের মাঝে।
এদিকে, মুক্তাগাছা পৌর ভবনের অদূরে শহরের প্রাণকেন্দ্র স্থানীয় আরকে স্কুলের সামনের পুরাতন হাসপাতাল সড়কটি দেখলে মনে হবে হয়তো এটি হাওরাঞ্চলের কোনো মাটির রাস্তা। সামান্য বৃষ্টি হলেই এ সড়কে জমে হাঁটুপানি। পানি নিষ্কাশনে ড্রেনের মুখ বন্ধ থাকায় দিনের পর দিন সড়কে পানি জমে আছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট এলাকার পৌরবাসীকে। এলাকাবাসীর বারবার অভিযোগের পরও পানি নিষ্কাশনের কোনো উদ্যোগ নেয়নি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
শহরের পুরাতন হাসপাতাল রোডের বাসিন্দা কাফি খাঁন বলেন, অপরিকল্পিতভাবে ড্রেনের ব্যবস্থা করায় সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কে হাঁটুপানি জমে। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় দিনের পর দিন এসব সড়কে পানি জমে থাকে। পুরো এলাকার ময়লার পানি সড়কের ওপর জমে থাকায় সড়কে চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই দীর্ঘদিন ধরে সড়কে পানি জমে থাকার পরও পানি নিষ্কাশনের উদ্যোগ নেওয়া হয় না।
নন্দীবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ডা. শাহজাহান আলী খান বলেন, নন্দীবাড়ি সড়কটিতে বছরের পর বছর ধরে সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে থাকে। এতে এসব এলাকার বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরেই চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
ভাষাসৈনিক খোন্দকার আব্দুল মালেক শহিদুল্লাহর সহধর্মিণী সুরাইয়া মালেক বলেন, প্রথম শ্রেণির পৌরসভার রাস্তাঘাটের অবস্থা অজপাঁড়া গ্রামের রাস্তার চেয়েও খারাপ। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বাড়ির রাস্তাটি পানিতে তলিয়ে থাকলেও পৌর কর্তৃপক্ষের কোনো সাড়া নেই। তিনি দ্রুত এসব রাস্তার সংস্কার দাবি করেন।
মুক্তাগাছা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, শহরের নন্দীবাড়ির এলাকায় মাটি ভরাট করে ড্রেনের মুখ বন্ধ করে দেওয়ায় পুরাতন হাসপাতাল রোড ও নন্দীবাড়ির এলাকার রোডের এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। চেষ্টা করা হচ্ছে পাইপ লাগিয়ে ড্রেনের মুখ খুলে দেওয়ার। এরপর ওইসব সড়কে আর পানি জমবে না। তা ছাড়া বাকি সড়কগুলোরও কাজ করা হবে।