ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

অ্যাম্বুলেন্সে হাজার লিটার মদ!

ছাড়াতে এলেন মাদক অধিদপ্তর কর্মকর্তা

এম ইদ্রিছ আলী, ময়মনসিংহ
🕐 ১০:৫৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ২১, ২০১৯

অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নেই। লাশ কিংবা অন্যকিছুও নেই! বাইরে থেকে স্বাভাবিক অ্যাম্বুলেন্স মনে হলেও ভেতরে আছে প্লাস্টিকের কন্টেইনার ভরা এক হাজার লিটার মদ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মদের কন্টেইনারে ঠাসা এমনই একটি অ্যাম্বুলেন্স আটক করেছে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানা পুলিশ। এসময় অ্যাম্বুলেন্সের চালক শহীদুল ইসলামকে (৩৫) আটক করে পুলিশ। আটকের পর খোদ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একজন পরিদর্শক থানায় গিয়ে মদভর্তি অ্যাম্বুলেন্সটি ছাড়িয়ে নিতে তদবিরে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। কিন্তু পুলিশ শোনেনি তার কথা।

মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী আহমেদ মোল্লা জানান, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে ময়মনসিংহ থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স টাঙ্গাইলের দিকে যাচ্ছিল। মুক্তাগাছা শহরে পৌঁছালে এসআই আলী আজহারের নেতৃত্বে থাকা একদল পুলিশের সন্দেহ হলে অ্যাম্বুলেন্সটি আটক করে। তল্লাশি করলে রোগীর বদলে ভেতরে দেখা মেলে ৩৫টি প্লাস্টিকের কন্টেইনারের। প্রত্যেকটি কন্টেইনারে পাওয়া যায় বাংলা মদ। পরে পুলিশ সেটিকে থানায় নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদে অ্যাম্বুলেন্সের চালক শহীদুল ইসলাম জানান, তিনি ওই অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহ থেকে এক হাজার লিটার বাংলা মদ টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার পোড়াপাশা গ্রামে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেখানকার মো. রনি মিয়া আটককৃত মদের মালিক।

খবর পেয়ে ময়মনসিংহ থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক চন্দন গোপাল সুর মুক্তাগাছা থানায় গিয়ে আটককৃত মদ বৈধ দাবি করে মদসহ অ্যাম্বুলেন্সটি ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করেন। কিন্তু পুলিশ তার কথায় আশ্বস্ত হতে পারেনি। তাই অ্যাম্বুলেন্স, মদ এবং চালককে ছেড়ে না দিয়ে আটক করে রাখে।

ওসি আরও জানান, মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করছে পুলিশ। আটক মদ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। বিকাল ৫টায় (গতকাল) এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

 
Electronic Paper