হাফ ডজন বিয়ের পরও কাবিনে লিখেন কুমারী
মিঠু আহমেদ, জামালপুর
🕐 ৫:৪২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০২৩
জামালপুর পৌরশহরের চালাপাড়া এলাকার আব্দুর রশিদের কন্যা রোকসানা আক্তার শীলা। সে এক এক করে ৬টি বিয়ে করেছেন জেলার বিভিন্ন জায়গায়। এর পরেও রোকসানা আক্তার ওরফে শীলা তার পঞ্চমতম বিয়ের কাবিনে নিজেকে লিখিয়েছেন কুমারী । জানা গেছে, বিয়ে পাগল ওই নারী টাকাওয়ালা পুরুষদের টার্গেট করে ফুঁসলিয়ে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন এবং মোটা অঙ্কের কাবিন নিয়ে বিয়ে করতেন। তার কাবিনের সময় লাগে না কনে ও বর পক্ষের নিজস্ব লোকদের মধ্যে কোন স্বাক্ষী। দালালের মাধ্যমে এসব বিয়ের স্বাক্ষীর কাজ করতেন।
এদিকে রোকসানা আক্তার শীলার ষষ্ঠ বিয়ে হওয়া পক্ষের শশুর জাকিউল ইসলাম ওরফে তিব্বত, ইসলামপুর পৌরসভার নটারকান্দা এলাকার বাসিন্দা প্রতিবেদককে বলেন, আমার একমাত্র ছেলে মেহেদী হাসানকে ওই অর্থপিপাসু মেয়ে রোকসানা আক্তার শীলা কৌশলে পটিয়ে ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর মাসে বিশ লক্ষ টাকার কাবিন দিয়ে জোর করে বিয়ে করে। পরে আমার ছেলে মেহেদী হাসান ওই মহিলার এহেন কান্ডে তার পরিচয় সংগ্রহ করে। পরে জানতে পারে, ওই মহিলা রোকসানা আক্তারের আরো পাঁচ জায়গায় বিয়ে হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, টাকা কামাইয়ের জন্যই ওই মহিলা শুধু বিয়ে করে ছেলেদের সর্বশান্ত করেছে। রোকসানা আক্তার ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের দুই তারিখে আমাদের বিরুদ্ধেও মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মামলা দিয়েছে। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ওই মহিলা রোকসানা আক্তারের বিচার চাই৷
এ ব্যাপারে রোকসানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার ছয়টি বিয়ে হয়নি, দুইটি বিয়ে হয়েছে। তবে, কাজী সমিতির পক্ষ থেকে তার ছয়টি বিয়ের কথাই স্বীকার করেছেন।
ইসলামপুর থানার ওসি মাজেদুর রহমান বলেন, রোসানাকে বিয়ের পর মেহেদী হাসান জানতে পারে, এর আগে ওই মেয়ের আরো পাঁচটি বিয়ে হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।