ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

নালিতাবাড়ীতে বিএনপির বিভক্তি এখন প্রকাশ্যে!

এম. সুরুজ্জামান, নালিতাবাড়ী (শেরপুর)
🕐 ৩:০১ অপরাহ্ণ, মে ২৭, ২০২২

নালিতাবাড়ীতে বিএনপির বিভক্তি এখন প্রকাশ্যে!

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা বিএনপির কোন্দল বেড়েই চলছে। সম্পতি একটি হামলার ঘটনা ও পৃথক কিছু কর্মসূচি পালনের পর দলটির বিভক্তি এখন প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। নতুন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিভক্তি আরও বাড়ছে।

তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ভাষ্য, উপজেলা বিএনপির এই বিভক্তি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ‘অতিথি’ নেতা ইলিয়াস খানকে কেন্দ্র করে। তার বাড়ি নালিতাবাড়ী উপজেলায় নয়। পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার বাসিন্দা তিনি। প্রবাসে থেকে তিনি নালিতাবাড়ী উপজেলা বিএনপি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করছেন।

জানা গেছে, শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও হুইপ জাহেদ আলী স্থানীয় বিএনপির অভিভাবক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ২০১১ সালে মারা যাওয়ার পর নালিতাবাড়ী উপজেলায় বিএনপিতে মতবিরোধ শুরু হয়। গত ১১ বছরে দলে বড় ধরনের বিভক্তি চোখে পড়েনি।

সম্প্রতি উপজেলা বিএনপির একটি অংশ জাহেদ আলী চৌধুরীর স্ত্রী নকলা উপজেলা বিএনপির সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন চৌধুরী এবং অপর অংশ ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার বাসিন্দা ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সদস্য ইলিয়াস খানের নেতৃত্বে চলছে। ১৮ বছর পর গত বছরের ৮ ডিসেম্বর সম্মেলনের মাধ্যমে উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন করার কথা ছিল। কিন্তু বিএনপির কয়েকজন কর্মীর অতর্কিত হামলায় কমিটি গঠন স্থগিত করা হয়। ওই সময় ইলিয়াস খানের সমর্থনে সভাপতি পদে বিএনপির আহবায়ক নুরুল আমিন ও শহর বিএনপির আহবায়ক আনোয়ার হোসেন সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী ছিলেন। ফরিদা ইয়াসমিনের সমর্থনে সভাপতি পদে বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাবিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক পদে যুবদলের আহবায়ক গোলাম কিবরিয়া মাকসিম প্রার্থী ছিলেন।

এছাড়া শহর বিএনপির সভাপতি পদে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ইউনুস আলী দেওয়ান ও সাধারণ সম্পাদক পদে শহর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শফিকুল ইসলাম প্রার্থী ছিলেন। এরপর নতুন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপি পাঁচ সদস্যের একটি দল গঠন করে দেন। এ কমিটি একাধিকবার সভা করে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি।

কেন্দ্রীয় কৃষক দলের কুটির শিল্প বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও পোড়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মজিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, আমাদের মাঝে কোন কোন্দল নেই। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে যিনিই মনোনয়ন পাবেন আমরা তাকেই নির্বাচিত করার জন্য কাজ করে যাবো।

ফরিদা ইয়াসমিন চৌধুরী সমর্থিত উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক দুলাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের নেতা জাহেদ আলী চৌধুরী আদর্শ নিয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নিয়ে আমরা সংঘবদ্ধ রয়েছি।’

ইলিয়াস খান সমর্থিত উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নুরুল আমিন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিএনপি নেতা ইলিয়াস খান দলের হাল ধরেছেন। তার নেতৃত্বে আমরা সংঘবদ্ধ আছি।’

শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদুল হক বলেন, কমিটিকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপিতে বিভক্তি রয়েছে। আশা করা যায় সবাইকে নিয়ে নতুন কমিটি গঠন করে দিলে তখন আর বিভক্তি থাকবে না।

 
Electronic Paper