উৎপাদন কৌশল ও নানাবিধ উদ্যোগে এই সফলতা
শ ম রেজাউল করিম এমপি
🕐 ৩:৫৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০২১
দেশের মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার যথোপযুক্ত সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও টেকসই উৎপাদন নীতি ও কৌশল গ্রহণ এবং নানাবিধ কার্যকর উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। ফলে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে দেশ আজ মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
মৎস্য অভয়শ্রম প্রতিষ্ঠা, বিল নার্সারি স্থাপন, পোনামাছ অবমুক্তকরণ, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার জন্য মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণ, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয় ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি আরোপ, মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন, মৎস্য আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগসহ সরকারের নানামুখী কর্মকাণ্ডে গত এক যুগে দেশের মৎস্য খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪৪.৮৫ লক্ষ মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে ৪৫.০৩ লক্ষ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ের মাছ আহরণে তৃতীয় এবং চাষকৃত মাছ উৎপাদনে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। ইলিশ আহরণকারী ১১টি দেশের মধ্যে বর্তমানে বাংলাদেশ শীর্ষে। ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ ইলিশ ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। গত অর্থবছরে ৫.৫০ লক্ষ মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদন হয়েছে। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় ইলিশ এখন বাজারে সহজলভ্য হয়েছে।
অন্যদিকে বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মাছ বাঙালির পাতে ফিরিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ইতোমধ্যে ৩০ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মাছের প্রজনন কৌশল ও চাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে যা মৎস্য অধিদফতর সারা দেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে বাজারে আবার সহজলভ্য হচ্ছে দেশীয় মাছ। দেশীয় মাছ বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রথমবারের মতো ময়মনসিংহে দেশীয় মাছের লাইভ জিন ব্যাংক স্থাপন করা হয়েছে।
এ ছাড়াও সুনীল অর্থনীতির বিকাশে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের সংরক্ষণ, উন্নয়ন, স্থিতিশীল উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিতকরণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ২০২০ প্রণয়ন করেছি। ইতোমধ্যে মৎস্য অধিদফতরের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে সার্ভে ক্রুজ পরিচালনা করে সমুদ্রে ৪৫৭ প্রজাতির মৎস্য ও মৎস্য জাতীয় প্রাণী শনাক্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে গভীর সমুদ্রে টুনা ও অর্থনৈতিক গুরুত্বসম্পন্ন মাছের প্রাপ্যতা ও আহরণের জন্য আমরা গভীর সমুদ্রে টুনা ও সমজাতীয় পেলাজিক মাছ আহরণ পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি।
করোনা সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষিরা যাতে মৎস্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে পারে সেজন্য আমরা প্রায় ১০০ কোটি টাকা নগদ প্রণোদনা দিয়েছি। করোনার মধ্যেও আমাদের মৎস্য খাতের রপ্তানি বিশেষ করে চিংড়ি, কাঁকড়া ও কুঁচিয়া রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। এটি অত্যন্ত ইতিবাচক। আমরা মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানির লক্ষ্যে বাজার সম্প্রসারণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে গুণগত মানসম্পন্ন মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য উৎপাদনে আমরা জোর দিচ্ছি।
শ ম রেজাউল করিম এমপি : মাননীয় মন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228