ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ছিপ বানিয়ে ‘বাড়তি আয়’ মুক্তাগাছার বহু পরিবারে

মনোনেশ দাস
🕐 ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ০৭, ২০২১

ছিপ বানিয়ে ‘বাড়তি আয়’ মুক্তাগাছার বহু পরিবারে

বড়শি দিয়ে মাছ শিকারের প্রধান উপকরণ ছিপ তৈরি করে উপার্জন করছে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার একটি গ্রামের অনেক পরিবার। কারিগর নারী-পুরুষরা চাষাবাদ, পশুপালন, গৃহস্থালি কাজ এবং শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি ছিপ তৈরির কাজ করে তাদের সংসারে যোগ করছেন বাড়তি আয়। 

বংশপরম্পরায় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হাতে-কলমের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে প্রতিদিন জনপ্রতি দুইশ থেকে তিনশ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক পাচ্ছেন ছিপ তৈরির কারিগররা। ছিপ তৈরির পর বিপণন কাজেও যুক্ত হয়েছেন অনেকে। মানকোন ইউনিয়নের বাদে মাঝিরা গ্রামে ছিপ শিল্পের সাথে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িত অন্তত ৩ শতাধিক পরিবারের সংসারের কাজের পাশাপাশি বাড়তি একটি কর্মসংস্থান যুক্ত হয়েছে। বাদে মাঝিরা গ্রামের প্রায় সকল মানুষই কোনো না কোনোভাবে ছিপ তৈরি ও বিক্রির কাজে যুক্ত। ঘরে ঘরে ছিপ তৈরির ক্ষুদ্র কুটির শিল্প গড়ে উঠছে।

অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেল, সিলেটের সুনামগঞ্জ থেকে ছিপ তৈরির কঞ্চে বাঁশ ক্রয় করে আনা হয়। এরপর চেছে, ছেক দিয়ে আঁকাবাঁকা বাঁশ সোজা করা হয়। সংসারের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি ছিপের বাঁশ চাছার কাজ করছেন এ গ্রামের খাদিজা, হাসিনা, শারমিন, নাসিমা, তানজিলা ও স্কুল ছাত্রী রুবি। প্রতিটি বাঁশ চেছে এক টাকা মজুরি পান তারা। প্রতিদিন দুইশ থেকে তিনশ বাঁশ চাছা যায়। ছিপের বাঁশ আগুনে ছেকে সোজা করার করেন রুবেল, শরাফত, কালু মিয়া। প্রতিটি ছিপ তৈরি করার বিনিময়ে তারা মজুরি পাওয়া যায় ৮ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। বাঁশ ক্রয় ও ছিপ বিক্রির পাইকার আমিনুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বংশপরম্পরায় এই গ্রামে টিকে আছে শিল্পটি।

সারা বছর এখানকার তৈরি ছিপের চাহিদা থাকলেও আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র মাস ভরা মৌসুম। সারা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা এসে এই গ্রাম থেকে ছিপ কিনে নিয়ে যান। উত্তরবঙ্গে তুলনামূলক চাহিদা বেশি ছিপের।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper