তৈরি পোশাকে মূল্য সংযোজন বাড়াতে হবে
প্রকৌশলী মেহেদী হাসান তুষার
🕐 ১০:২০ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২২, ২০২০
বাংলাদেশ প্রতি বছর যদি ১ হাজার কোটি টাকার পোশাক বিদেশে রপ্তানি করে তাহলে তার মধ্যে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা বিদেশেই চলে যায়। মানে ১০০ টাকার পোশাক রপ্তানি করে দেশে থাকে শুধু ৩০ টাকা। এ টাকার প্রায় পুরোটাই শ্রমিকের পারিশ্রমিকের টাকা। কখনো কখনো সামান্য বেশি, কখনো কখনো আরও কম! কেন জানেন? কারণ একটা জামা সেলাই করতে কাপড়, কাপড়ের কাঁচামাল, সুতা, বাটন, বাটনের কাঁচামাল, এক্সেসরিজ- পলি, কার্টুন সব কাঁচামাল বিদেশ থেকে আসে। অল্প সামান্য দেশে তৈরি হয়। যা মূল্য সংযোজনে সামান্য অবদান রাখে।
মূল্য সংযোজন কাকে বলে সে কথা বলি। মূল্য সংযোজন হলো- কাঁচামাল কেনার পর ওই কাঁচামাল দিয়ে পণ্য তৈরি করে যে বাড়তি দাম তৈরি হয় তাই মূল্য সংযোজন। আমাদের দেশের পোশাক তৈরিতে কাঁচামাল বাইরে থেকে আমদানি করে রপ্তানি করার কারণে মূল্য সংযোজন কম হয়।
আমরা যদি কোনো পোশাকের অর্ডার ১০০ টাকা পিসে নিই তাহলে এর মধ্যে শুধুমাত্র মজুরির ৩০ টাকা আমরা পাই। বাকিগুলো মানে কাঁচামাল বিদেশ থেকে কিনতে গেলে ৭০ টাকা বিদেশেই চলে যায়। তবে নীট বা গেঞ্জি রপ্তানির ক্ষেত্রে এই মূল্য সংযোজন একটু বেশি। কারণ নীট তৈরি পোশাকের ব্যাক-ওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে।
এখন আমাদের পুরোপুরি লভ্যাংশ অর্জন করতে নিটিং, ডাইং এবং এক্সেসরিজের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। আমাদের দেশেই আমরা যদি পুরোপুরি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারি, তাহলে দেশের টাকা দেশেই রাখা সম্ভব।
বিদেশিরা আমাদের দেশ থেকে পোশাক কেনার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণের মধ্যে একটা কারণ হলো সস্তা মজুরি। আমাদের দেশে একটা আইটেমের মজুরি যদি ১০ টাকা লাগে ভারতের লাগে ১৫ টাকা, শ্রীলঙ্কার ২০ টাকা, চায়নার ৩০ টাকা।
আপনারা যারা ব্যবসায়ী তারা ভালো করেই জানেন ব্যবসায় ১ টাকার কত গুরুত্ব! এই গুরুত্বের কারণে বাংলাদেশ থেকে চাইলেও গার্মেন্ট সেক্টর রাতারাতি অন্য দেশে ট্রান্সফার করা সম্ভব না। মানে বিদেশিরা চাইলেও আমাদের দেশে অর্ডার না দিয়ে আরেক দেশে অর্ডার দিতে পারবে না।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228