চিনিকলে দায় দেনা বাড়ছে
অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
🕐 ১:০৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১১, ২০২০
দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোতে এক দিকে চিনি জমে আছে, অন্যদিকে শ্রমিকদের বেতন হচ্ছে না, দেনা মেটানো যাচ্ছে না আখচাষিদের। জমে থাকা চিনি বিক্রি করতে পারলে দায়-দেনার অনেকটা মেটানো যেত বলে চিনিকলগুলোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে কলগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, বাজারে ভারসাম্য রাখতে সরকারের কিছু চিনি মজুদ রাখতেই হয়।
এই পরিস্থিতিতে দায়-দেনা মেটাতে সরকারের কাছে ৮৫০ কোটি টাকার অনুদান চেয়েছে করপোরেশন। এদিকে পাওনার জন্য হা-পিত্যেস করা আখচাষিরা বলছেন, দুর্নীতি-অনিয়মের কারণে পাটের মতোই রাষ্ট্রায়ত্ত চিনি শিল্প ধুঁকছে। এই প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রায়ত্ত ১৫টি চিনিকলের পরিচালনগত সমস্যাগুলো নিরূপণে একটি কমিটি করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্যোগে। চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) অধীনে সারা দেশে ১৫টি চিনি কল রয়েছে।
দেশে বর্তমানে চিনির বার্ষিক চাহিদা ১৫ লাখ মেট্রিক টনের মতো। তার মধ্যে এক লাখ টনও চিনি কলগুলো থেকে আসে না; ফলে বিপুল পরিমাণ চিনি আমদানি করতে হয়। বাংলাদেশ চিনিকল আখচাষি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান বাদশা বলেন, চিনিকলগুলো থেকে আখচাষিদের ৩০ কোটি টাকার বেশি বকেয়া রয়েছে।
এক মওসুম শেষ হয়ে আরেক মওসুম শুরু হলেও এখনও কৃষকদের অন্তত ৩০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে চিনিকলগুলোর কাছে। অথচ এ বছর সার ওষুধের অভাবে সঠিক পরিচর্যা করে আখ চাষ করা যায়নি।
তিনি বলেন, দশকের পর দশক ধরে চলে আসা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে চিনিকলগুলো এখন হাজার কোটি টাকার দেনার মধ্যে পড়েছে। তাদের অদক্ষতার দায়ভার এসে পড়েছে কৃষকের ওপর। পঞ্চগড় চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী রুহুল আমিন কায়সার জানান, গত জুলাই মাসের পর থেকে তাদের বেতন-ভাতা, ওভার টাইমসহ সব ধরনের মজুরি বকেয়া পড়ে রয়েছে।
প্রতি মাসে ৮০ লাখ টাকা থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত বেতন বাবদ খরচ হয় এই চিনি কলে। পঞ্চগড় চিনি কলের গুদামে এখন ৩ হাজার ২০০ টন চিনি মজুদ রয়েছে।
রুহুল আমিন বলেন, এ বছর ২৪শ’ টন চিনি উৎপাদন হয়েছে। পুরনো চিনিসহ মোট মজুদ রয়েছে ৩২শ’ টন। এগুলো বিক্রি করা গেলে বেতন-ভাতা পরিশোধ সম্ভব হবে।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228