ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আদালতের আদেশের কপি পেলেই কিছু অনলাইন বন্ধ করা হবে: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৪:৩৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১

আদালতের আদেশের কপি পেলেই কিছু অনলাইন বন্ধ করা হবে: তথ্যমন্ত্রী

সাত দিনের মধ্যে অনিবন্ধিত সব অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া সমীচীন হবে না বলে মনে করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। এ বিষয়ে আদালতকে অবহিত করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এ সময় তিনি বলেছেন, আদেশের লিখিত কপি হাতে পাওয়ার পরই আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কিছু অনলাইন বন্ধ করে দেওয়া হবে।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

নিবন্ধনের জন্য কয়েক হাজার নিউজ পোর্টাল আবেদন করেছে। কিন্তু দীর্ঘসময় চলে গেলেও অল্প কিছু গণমাধ্যমকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হয়েছে। বাকিগুলোর বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আবেদনের পর যাচাই-বাছাই করার জন্য আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এগুলো তদন্তকারী সংস্থাকে দেয়। সেটি শেষ করে না আসা পর্যন্ত তো আমরা নিবন্ধন দিতে পারি না। এ কারণেই সময় লাগছে।

অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। যারা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে, তাহলে তাদের ক্ষেত্রে কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আদালতকে আমরা জানাব, সাত দিনের মধ্যে সবগুলো বন্ধ করে দেওয়া সমীচীন হবে না। তবে অনেকগুলো বন্ধ করব, আদালতকে জানাব, আসলে কী প্রক্রিয়ায় রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। আদালতের আদেশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এখন যেগুলো রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত সেগুলো ছাড়া ভবিষ্যতে আর কোনো অনলাইন বের হবে না এমন কোনো নিয়ম নেই বা আজ যে পত্রপত্রিকা আছে সেগুলো ছাড়া ভবিষ্যতে আর কোনো পত্রপত্রিকা বের হবে না এমনও কোনো নিয়ম নেই। এমন নিয়ম কোথাও নেই। আমাদের দেশে যেমন নেই অন্য কোনো দেশে আছে বলেও আমার জানা নেই।

তিনি বলেন, আদালতের আদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সহায়ক। যেসব অনলাইন সত্যিকার অর্থে গণমাধ্যম হিসেবে কাজ করে না, বরং নিজস্ব বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে এবং ব্যাঙের ছাতার মতো এত অনলাইন আসলে দেশে প্রয়োজন নেই।

‘যার যেমন ইচ্ছা একটা অনলাইন খুলে বসবে এবং সেটি নিয়ে যেমন ইচ্ছা তেমন সংবাদ পরিবেশন করবে, মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করবে, গুজব রটানোর কাজে ব্যস্ত হবে, অন্যের চরিত্র হনন করবে, ব্যবসায়ীক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হবে, কোনো ব্যবসায়ীর স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য সেখানে লেখালেখি হবে, এটি কোনোভাবেই সমীচীন নয়। সে ক্ষেত্রে এ আদেশ অবশ্যই সহায়ক আদেশ’ বলেন হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, আমরা আদালতের লিখিত আদেশের কপি হাতে পাওয়ার পরপরই আদালত যে সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন সে সময়ের মধ্যে কিছু অনলাইন বন্ধ করে দেয়া হবে। তবে ভবিষ্যতে অনলাইন নিবন্ধন দিতে হবে। অনলাইন নিবন্ধন আমরা একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করছি, সেটি আমরা আদালতের কাছে উপস্থাপন করবো।

‘ইতোমধ্যে অনেকগুলো অনলাইন বন্ধ করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে অনলাইন বন্ধ করার প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে আমাদের জন্য সহায়ক। আমরা কিছু অনলাইন বন্ধ করব, একইসঙ্গে আদালতের নজরে আনব এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। যাচাই-বাছাই ছাড়াই যদি সবগুলোকে একসঙ্গে বন্ধ করে দেয়া হয় সেটি কত অতটুকু সমীচীন সেটাও ভাবার বিষয়, সেটিও আমরা আদালতের নজরে আনব’।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা যেভাবে অনলাইনের নিবন্ধন দিচ্ছি, একইভাবে ইউটিউব বা আইপিটিভি নিবন্ধন দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এখনো কাউকে নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। আমরা আশা করেছিলাম গত মাস থেকে দিতে পারবো। কিন্তু তদন্ত রিপোর্ট না পাওয়ায় আমরা দিতে পারিনি। ব্যাঙের ছাতার মতো আইপিটিভি করার যে সুযোগ রয়েছে এটা কোনোভাবেই সমীচীন নয়। যে সব আইপিটিভি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে এবং নিজেকে টেলিভিশন চ্যানেলের মতো জাহির করছে দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।

 
Electronic Paper