প্রেসক্লাবে নেওয়া হচ্ছে আবুল মকসুদের মরদেহ, বাদ আসর দাফন
অনলাইন ডেস্ক
🕐 ২:৪৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১
সাংবাদিক, কলামিস্ট, প্রাবন্ধিক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদের মরদেহ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে নেওয়া হচ্ছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি, বুধবার (আজ) দুপুরে সেখানে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় জানাজার পর সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য দুপুর ৩টায় তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বাদ আসর সৈয়দ আবুল মকসুদের তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে। সৈয়দ আবুল মকসুদের ছেলে সৈয়দ নাসিফ মকসুদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
২৩ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান আবুল মকসুদ। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া সমাজের বিশিষ্টজনরাও তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।
সৈয়দ মকসুদ ১৯৪৬ সালের ২৩ অক্টোবর মানিকগঞ্জের শিবালয়ের এলাচিপুর গ্রামে জন্ম নেন। ১৮ বছর বয়সে ১৯৬৪ সালে 'নবযুগ' পত্রিকায় যোগ দেওয়ার মাধ্যমে তার সাংবাদিকতার শুরু। লেখালেখির পাশাপাশি আমৃত্যু তিনি সক্রিয় ছিলেন সমসাময়িক সামাজিক ও রাজনৈতিক কার্যক্রম এবং লেখালেখিতে।
২০১৩ সালে একা শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়ে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে যুক্ত হন তিনি। এ আন্দোলনের পথ বেয়ে বহুল আলোচিত সড়ক পরিবহন আইন প্রণীত হয়। তেল-গ্যাস, খনিজসম্পদ রক্ষার আন্দোলনেও সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। প্রৌঢ়ত্বে পৌঁছলেও সামাজিক ও রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার ও ভুক্তভোগীদের দেখতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছুটে যেতেন তিনি। ২০০৩ সালে ইরাকে ইঙ্গ-মার্কিন বাহিনীর হামলার প্রতিবাদে সেলাইবিহীন সাদা কাপড় ধারণ করেন তিনি। সেই থেকে আমৃত্যু এই পোশাকই পরেছেন তিনি।
সৈয়দ আবুল মকসুদ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় (বাসস) যোগ দেন। ২০০৮ সালে চাকরি ছাড়েন। এর পর নিয়মিত কলাম লিখতেন। সমকালে তার বহু নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বুদ্ধদেব বসু, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর জীবন ও কর্ম নিয়ে গবেষণা করেছেন আবুল মকসুদ। সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৫ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান।