এবার মন্ত্রী জানালেন ৫৫ টাকার নিচে পেঁয়াজ বিক্রি সম্ভব না
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
🕐 ৮:০৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ০১, ২০২০
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবার জানালেন, সরকারের সহযোগিতায় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। তবে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ কোনোভাবেই ৫৫ টাকার নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব নয়। রোববার রাজধানীর পুরানা পল্টনে অর্থনীতি বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২০ দেওয়ার সময় বাণিজ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত বছর পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল। ওই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবার আগে থেকেই আমরা প্রস্তুত ছিলাম। সংকট সৃষ্টি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকারের সহযোগিতায় পেঁয়াজ আমদানি শুরু করা হয়। তিন দিন আগে থেকেই পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীদের লাভ, আমদানিকারকদের কমিশনসহ সব খরচ যোগ করে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ভোক্তা পর্যায়ে কোনোভাবেই ৫৫ টাকার নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের চাহিদার তুলনায় ৮ থেকে ৯ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজের ঘাটতি হয়। প্রতি বছর সেপ্টেম্বরে এ ঘাটতি দেখা দেয়। যার ৯০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করে প্রতিবেশী দেশ ভারত। কিন্তু এখন তাদের দেশে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আজকে কলকাতার বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৭ রুপি, অর্থাৎ বাংলাদেশি ৫৫ টাকায়। তার মানে আলু পেঁয়াজের দাম আমাদের দেশেও বেড়েছে তাদের দেশেও বেড়েছে।
অর্থনীতি বিটের প্রতিবেদকদের উদ্দেশে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা বলছি আমদানি পেঁয়াজ ৫৫ টাকার নিচে বিক্রি করা যাবে না। এখন আপনাদের অনুসন্ধান করতে হবে এটা আসলেই সঠিক দাম কি-না। আপনাদের সেই তথ্যই আগামী দিনের বাজার শিথিলতায় কাজ করবে।
এ সময় ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ কে ফয়সাল বিন সিরাজ, রয়টার্সের সাবেক বাংলাদেশ ব্যুরো চিফ সিরাজুল ইসলাম কাদির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইআরএফ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২০ এ প্রিন্ট মিডিয়ায় ৯ ক্যাটাগরিতে নয়জন এবং টেলিভিশনের ছয় ক্যাটাগরিতে ছয়জনসহ মোট ১৫ জন প্রতিবেদককে পুরস্কার দেয়া হয়েছে। বিজয়ীদের ক্রেস্ট, সম্মাননাসহ নগদ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী সাংবাদিকদের হাতে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও চেক তুলে দেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
ইআরএফ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেলেন যারা
কোভিড-১৯ ও অর্থনীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন করে ইআরএফ বেস্ট রিপোর্টিং পুরস্কার পেয়েছেন দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান প্রতিবেদক জামালউদ্দিন, অনুসন্ধানী প্রতিবেদন পুরস্কার পেয়েছেন শেয়ার বিজ প্রত্রিকার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ইসমাইল আলী, ব্যাংক ও বিমায় দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক সানাউল্লাহ সাকিব, বেসরকারি খাত ও বাণিজ্য বিষয়ক প্রতিবেদনে দৈনিক প্রথম আলো রাজিব আহমেদ, কৃষি অর্থনীতিতে দৈনিক যুগান্তরের এস এ এম হামিদ উজ্জামান, রাজস্ব খাতে প্রথম আলোর মােহাম্মদ জাহাঙ্গীর শাহকাজল, জনশক্তি রফতানি ও রেমিট্যান্সে দি ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের জসিম উদ্দিন হারুন, রেগুলেটরি ও করপােরেট গভর্ন্যান্স বিষয়ে ইংরেজি দৈনিক বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের জেবুন নেসা আলাে এবং পুঁজিবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন করে পুরস্কার পেয়েছেন দেশ রুপান্তরের আলতাফ মাসুদ।
টেলিভিশনের ছয় ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন ছয়জন। এর মধ্যে কোভিড-১৯ ও অর্থনীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন করে পুরস্কার পেয়েছেন সময় টিভির প্রতিবেদক এস এম জোবায়ের আলম, অনুসন্ধানীতে জিটিভির প্রধান প্রতিবেদক রাজু আহমেদ, ব্যাংক ও বিমায় যমুনা টিভির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সুশান্ত সিনহা, কৃষি অর্থনীতিতে ৭১ টিভির কাবেরী মৈত্রেয়, বেসরকারি খাত ও বাণিজ্য বিষয়ক প্রতিবেদক করে পুরস্কার পেয়েছেন যমুনা টিভির রিমন রহমান এবং পুঁজিবাজারে প্রতিবেদন করে করে পুরস্কার পেয়েছেন যমুনা টিভির আলমগীর হােসেন।