ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

খোলা কাগজের সহ-সম্পাদক আশিক লাইফ সাপোর্টে

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:১১ অপরাহ্ণ, জুন ২০, ২০১৯

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত খোলা কাগজের সহ-সম্পাদক খায়রুল বাশার আশিক লাইফ সাপোর্টে। রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাতে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার অবস্থা সংকটাপন্ন। তার রোগমুক্তির জন্য স্বজন ও দৈনিক খোলা কাগজ পরিবার সবার কাছে দোয়া কামনা করেছেন।

উপকূলীয় জেলা বরগুনার টগবগে ও সদা হাস্যোজ্জ্বল তরুণ আশিক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত শনিবার রাজধানীর আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর তার শরীরে ডেঙ্গু এজেন্ট ধরা পড়ে। পরের দিন তাকে রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহর অধীনে তাকে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। তিন দিনেও তার অবস্থার পরিবর্তন হয়নি।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে। আক্রান্ত হয় কিডনি, ফুসফুস আর লিভার। এ অবস্থায় গতকাল রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

আশিকের গ্রামের বাড়ি বরগুনা জেলা সদরে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্প্রতি মাস্টার্স শেষ করেন তিনি। যোগ দেন জাতীয় দৈনিক খোলা কাগজে।

জানা গেছে, গত ১৪ জুন রাতে বেশ কয়েকবার বমি ও পাতলা পায়খানা হয়। শনিবার সকালে তাকে ভর্তি করা হয় আইসিডিডিআর’বি হাসপাতালে। সেখান পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তার শরীরে ডেঙ্গু ধরা পরে।

উপকূলীয় সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম মন্টু ফেসবুকে আশিকের সুস্থতা কামনা করে স্ট্যাটাসে বলেন, ‘শেখার নেশায় ডুবে থাকে নিয়ত। অবিরাম চেষ্টা। লেখার ভালো হাত। আমার সঙ্গে যখনই আলাপ হয়েছে- এটা কেমনে? ওটা কেমনে? আবার অনুরোধ- ভাইয়া এটা একটু দেখে দেন না! লেখাটা কেমনে শুরু করবো! ইত্যাদি ইত্যাদি। লেখা কোথাও প্রকাশিত হলে আমাকে সবার আগে লিংক দিত। ফিচারের অসাধারণ সব আইডিয়া। ওর ফিচার আমরা অনেকেই পড়েছি। কেবল তো শুরু! লেখালেখিতে কেবলই প্রবেশ করেছিল। ওর সামনে তো এখনো অনেক কাজ। কিন্তু একি হলো! ভাবতে পারছি না!

ঈদের ছুটিতে দিব্যি ভালো মানুষটা ফুরফুরে মনে নিজভূমি বরগুনায় গেল। কিন্তু সুস্থ মনে আর কর্মস্থলে ফেরা হলো না। ঢাকায় ফিরলো অসুস্থতা নিয়ে। প্রথমে কলেরা হাসপাতালে ভর্তি। অবস্থা খারাপের দিকে যাওয়ায় সেখান থেকে স্থানান্তর ঢাকার সেন্ট্রাল হসপিটালে এবং সরাসরি আইসিইউতে। তিন দিন ধরে অবস্থার কোনো পরিবর্তন নেই। আক্রান্ত হয়েছে কিডনি, ফুসফুস আর লিভার। বরগুনায় ছুটিতে থাকাকালে ডেঙ্গু আক্রান্ত, সেটা স্থানীয় চিকিৎসকদের মাধ্যমে সমাধান, এরপর ডায়রিয়া....। দ্রুতই অবনতি। আশিক দ্রুত ফিরুক আমাদের মাঝে।’

 
Electronic Paper