ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ব্রিটেনে রবীন্দ্র চর্চা

মিলটন রহমান
🕐 ২:০৯ অপরাহ্ণ, মে ১০, ২০১৯

কালে কালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অনূদিত এবং প্রকাশিত হয়েছেন বিভিন্ন ভাষায়। ইউরোপে রবীন্দ্র চর্চা কম হয় না। তার ‘গীতাঞ্জলি‘ ইউরোপের তেরোটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ২০১২ সালের ১৪ নভেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়নের যুক্তরাজ্য দফতর আয়োজিত ‘ইউরোপিয়ান ডে অব মাল্টিলিঙ্গোয়াল ব্লগিং ‘অনুষ্ঠানে এই তেরো ভাষায় অনূদিত গীতাঞ্জলি’র ‘হোয়েন আই গো ফ্রম হ্যান্স’ কাব্যখানা উপস্থাপন করা হয়। ডাচ ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন ভিক্টর ভ্যান বীজলার্ট, ফ্রান্স-আন্দ্রে গিড, পলিশ-ইয়ান কাসপরভিস, রোমানিয়ান-জর্জা রেমেতা, ইতালিয়ান-আদ্রিয়ানা অপরোমোল্লা, জর্মন-মারি লুইজা গোঠাইন, হাঙ্গেরিয়ান-ববিস মিহাই, স্প্যানিশ জেনদিয়া ক্যামপ্রোবি আইমার এবং হোয়ান রামন জিমেনিস, রাশিয়ান-জে বালট্রোসাইটিস, গ্রিক-ওলগা প্রফিলি, সুইডিশ-এন্ড্রিয়া বোটেনসন, চেক-দোসান বাবিতা এবং ইংরেজিতে রবীন্দ্রাথ ঠাকুরের অনুবাদই উপস্থাপন করা হয়। অনুবাদ এবং উপস্থাপন দুটাই ছিল উপভোগ্য।

এখনো ওই উপস্থাপনার ভিডিওচিত্র অনলাইনে ঘুরতে দেখা যায়। ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দি টাইমস লিটারারি সাপ্লিমেন্ট (টিএলএস) ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রিভাইভড’ শিরোনামে সিমাস পেরি রচিত ঋদ্ধ একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করে। তাতে রবীন্দ্রনাথের ইউরোপ আগমন এবং এর পরবর্তী রবীন্দ্রযাত্রা বিষয়ে গভীর অভিনিবেশ পরিলক্ষিত।

মূলত, ১৯১২ সালে রবীন্দ্রনাথের লন্ডন আগমনই বদলে দেয় তার সফলতার চেহারা। তখন থেকেই রবীন্দ্রনাথ উঠে আসেন ইংরেজি সাহিত্যে। ওই সময় নর্দার্ন লাইনে (আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রেন) হাতে করে নিয়ে আসা ‘গীতাঞ্জলি’র ইংরেজি-বাংলা পান্ডুলিপি হারানোর ঘটনা এবং রেলের হারানো সম্পত্তি বিভাগ থেকে আবার তা উদ্ধার করা, চিত্রকর উইলিয়াম রদারস্টেইনকে সংকোচ চিত্তে তা দেখানো। রদারস্টেইন সে পান্ডুলিপি লেখক স্টপফোর্ড ব্রুক, এসি ব্রেডলি এবং ডাব্লিউ বি ইয়েটসকে দেখান। তারপর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার অনুবাদ আরো পরিশীলিত করতে ইয়েটসের সঙ্গে বসেন। এরপর এজরা পাউন্ডের সঙ্গে পরিচয়। এজরা পাউন্ড রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা নিয়ে যান আমেরিকায়। রবীন্দ্রনাথের রচনায় উচ্ছ্বসিত প্রসংশায় মুখর হয়েছিলেন পাউন্ড।

তখন বলেছিলেন, ‘I’ll try and get some of the poems of the very great Bengali poet Randindranath Tagore’।

২০১৩ সালে সেই প্রচারণা ঠাকুরকে নিয়ে গিয়েছিল আমেরিকায়। সেই নিউ ইয়র্কেই তার গীতাঞ্জলি নয় মাসে প্রকাশিত হয়েছিল দশবার। তাকে সম্মানিত করা হলো ‘সাহিত্যের নবযুগের স্রষ্টা’ বলে। তারপর তো সব ইতিহাস। সেই ইতিহাস বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বসাহিত্যের উচ্চ মন্দিরে দাঁড় করিয়ে দিল। সেই বছরের নভেম্বর মাসেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হলেন। ব্রিটেন তথা ইউরোপে রবীন্দ্র চর্চা হয়েছে বিভিন্ন ফর্মে।

প্রাসঙ্গিকভাবে লন্ডনে বসবাসরত রবীন্দ্র গবেষক উইলয়াম রাদিচে’র কথা না বললেই নয়। তার অনুবাদে রবীন্দ্রনাথ ইংরেজি সাহিত্যে আরো বিস্তৃতি লাভ করেছে। লন্ডনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তার শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথ প্রজন্মান্তরে পৌঁছে গেছে সহজে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ফখরুল আলম এবং রাধা চক্রবর্তী সম্পাদিত গ্রন্থ ‘দি এসেন্সিয়াল টেগোর’ প্রকাশ একটি যুগান্তকারী ঘটনা। সম্ভবত এটিই ইংরেজি অনূদিত রবীন্দ্র রচনার সবচেয়ে বৃহৎ গ্রন্থ। এতে একসঙ্গে স্থান পেয়েছে কবিতা, গান, আত্মজীবন সম্পর্কিত রচনা, পত্র, ভ্রমণ কাহিনী, প্রবন্ধ, উপন্যাস, ছোটগল্প, রসাত্মক রচনা এবং নাটকসহ বিবিধ রচনা। এসব রচনা অনুবাদ করেছেন, রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ অমিতাভ ঘোষ, অমিত চৌধুরী এবং সুনেত্রা গুপ্তের মতো ধীমানগণ। তবে এত কাজের মধ্যে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বাংলাদেশি কোনো বাঙালির ইংরেজি কাজ তেমন চোখে পড়ে না।

লন্ডনে মাঝেমধ্যে কতিপয় সংগঠনের আয়োজনে কিছু অনুষ্ঠান হয়। তবে তার পরিধি এবং চিন্তার দিক এত বেশি স্থুল যে সেগুলো উল্লেখ করার দাবি রাখে না। দু’-একটি রচনাও চোখে পড়েছে কখনো কখনো। ২০১১ সালের ৬ মে তাহমিমা আনামের একটি রচনা প্রকাশিত হয় ডেইলি ইন্ডিপেন্ডেন্টে। ‘Rabindranath Tagore’s legacy lies in the freedom-seeking women of his fiction’ শিরোনামের গদ্যবন্ধটি একেবারে প্রাথমিক স্তরের রচনা। প্রাথমিক স্তরের বলছি এজন্য যে রবীন্দ্রনাথ বিষয়ে ইংরেজিতে অনেক উচ্চমার্গের রচনা রয়েছে। সেগুলোর তুলনায় তাহমিমা আনাম ভিন্ন কোনো চিন্তা কিংবা আলোর প্রক্ষেপণ ঘটাতে পারেননি। অন্য ভাষাতেও রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে মামুলি কাজ রয়েছে।

রবীন্দ্রনাথের ইংরেজি কাব্যগ্রন্থ ‘স্ট্রে বার্ড’ এর অনুবাদ করতে গিয়ে তো ফ্যাং টাং নামের এক চায়না লেখক লংকাকা- বাঁধিয়ে দিয়েছিলেন। গ্রন্থের ততৃীয় কবিতার দুই লাইনের প্রথম লাইন ‘The world puts off its mask of vastness to its lover.’ ফ্যাং টাং এই লাইনটি অনুবাদ করেছেন-বিশ্ব নিজ প্যান্টের চেইন খুলে দিয়েছে তার প্রেমিকার সম্মুখে। যার ইংরেজি দাঁড়ায় এরকম- ‘The world unzipped his pants in front of his lover’। এমন বিপন্নতার মাঝে বাংলাদেশি রবীন্দ্র ইংরেজি অনুবাদক এবং রবীন্দ্র রচনাকার প্রয়োজন আমাদের। কারণ একজন কবি বা লেখককে অনুবাদ করতে হলে তার রাষ্ট্র, রাজনীতি, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি এবং ব্যক্তিকে জানতে হয়। রবীন্দ্র প্রশ্নে এই জানা একজন বাঙালি লেখক বা সমালোচকের পক্ষে সম্ভব তা অন্য ভাষা বা সংস্কৃতির মানুষের পক্ষে বোঝা বা জানা সম্ভব নয়।

আমাদের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে এত কথা বলার পর মনে হলো সম্ভবত বেশি কথা বলছি। লেখাটা শুরু করতে চেয়েছি সম্প্রতি ইংল্যান্ডের সাউথ ডেভনের সমুদ্রপাড়ের ব্রিক্সহাম থেকে প্রকাশিত লিটলম্যাগ ‘একিউম্যান’ প্রসঙ্গে কিছু বলবো বলে। কিছুদিন আগে ওয়েস্টমিনিস্টারের সাউথব্যাংকে পোয়েট্রি লাইব্রেরিতে লিটল ম্যাগটির প্রচ্ছদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি দেখে চোখ আটকে যায়। প্রচ্ছদে ছবির ওপরে ডাউস ডাউস অক্ষরে লেখা ‘লেগেসি অফ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’। এটি কাগজটির ৯১তম সংখ্যা। ১৯৮৫ সাল থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে সাহিত্যপত্রটি। ব্রিটেনে বেশ প্রশংসাও রয়েছে ছোট কাগজটির। পত্রিকাটির সম্পাদক পেট্টিসিয়া অক্সলি সত্তর পেরুনো একজন চিন্তক। কথা বলে বুঝা গেল একিউম্যান প্রকাশে তার নিরন্তর শ্রম সম্প্রদানে কমতি নেই। লন্ডন থেকে প্রায় দু’শ মাইল দূরে সমুদ্রপাড়ের ব্রিক্সটন। সেখানে যাওয়া না হলেও একিউম্যান সম্পাদকের সঙ্গে আমার বিস্তারিত ফোনালাপ হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে প্রচ্ছদে রেখে একটি সংখ্যা করতে পেরে তিনি তৃপ্ত। আমি লাইব্রেরিতে সংখ্যাটি দেখার সঙ্গে সঙ্গেই অনলাইনে এক কপি অর্ডার করি।

দু’দিন পরে হাতে পাই। হাতে পাওয়ার পরে আবারো সতর্কতার সঙ্গে উল্টেপাল্টে দেখলাম। একশ বাইশ পৃষ্ঠার লিটলম্যাগের প্রচ্ছদজুড়ে রবীন্দ্রনাথের ছবি থাকলেও ভেতরে সাতষট্টি থেকে চুয়াত্তর পৃষ্ঠায় স্থান পেয়েছে রবীন্দ্র বিষয়ে একটিমাত্র রচনা। ‘Walk Alone : a glimpse of Tagore in my Life’- রচয়িতা লন্ডন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক এবং রবীন্দ্র অনুরাগী মঞ্জুলা দত্ত। পুরো রচনাজুড়ে আলোচিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান। মঞ্জুলা দত্তের জন্ম কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে।

তার বাবা-মা কলকাতা থেকে ওই শহরে গিয়ে আবাস গড়েন। তারা রবীন্দ্র সংগীতের একনিষ্ঠ ভক্ত এবং কণ্ঠশিল্পী। মায়ের কাছ থেকেই মঞ্জুলা দত্ত বিশেষত রবী ঠাকুরের গান বিষয়ে সম্মক জ্ঞান অর্জন করেন। পারিবারিকভাবে বাংলা, ইংরেজি এবং হিন্দি তিন ভাষা আয়ত্ত করতে পারার কারণে তিনি নিজেও রবীন্দ্রনাথের গানের প্রতি ঝুঁকে পড়েন প্রবলভাবে। এ সংক্রান্ত স্মৃতিচারণ পাঠে আমার কিছুটা বিরক্তই লাগছিল। কিন্তু প্রবেন্ধর মাঝামাঝি গিয়ে আমি থমকে থাকি কিছুক্ষণ এবং দ্বিগুণ আগ্রহে লেখাটি পাঠ করতে থাকি। মঞ্জুলা দত্ত বলছেন তার শ্বশুরের কথা। শ্বশুর গর্ডন কানিংহাম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন কলকাতায় কর্মরত ছিলেন। সে সময় গর্ডন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং গান্ধীর প্রেমে পড়েন।

২০১৭ সালের মাঝামাঝি কোন এক সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন গর্ডন। মঞ্জুলা তাকে গেয়ে শোনালেন ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে’। বাংলায় শোনার পর সে গান ইংরেজিতেও শুনতে চান গর্ডন। মঞ্জুলা দত্ত জানালেন, ‘আমার ভাশুরের কাছ থেকে শুনেছি তার শেষ কৃত্যানুষ্ঠানে যেন রবীন্দ্রনাথের গান যোগ করা হয়। এটি ছিল আমার শ্বশুরের বিশেষ অনুরোধ। ২০১৭ সালের ১৮ নভেম্বর গর্ডন কানিংহামের শেষ বিদায় অনুষ্ঠানে মঞ্জুলা দত্ত পাঠ করলেন, ‘যদি তোর ডাক শুনে...’। ইংল্যান্ডের নটিংহামশায়ারের গ্রাম ওয়েস্টনের একটি তেরো শতকী চার্চে আয়োজিত হয় শেষ কৃত্যানুষ্ঠান। অনুষ্ঠান শেষে আগতরা উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় মেতে ওঠেন রবি ঠাকুরের গানের। বিশেষ করে ওই গানে যে দর্শন বিস্তৃত হয়েছে তা যেন শেষকৃত্যানুষ্ঠানে প্রতিটি মানুষকে ছুঁয়ে যায়। মঞ্জুলা দত্ত তার রচনায় বলতে চেয়েছেন তাদের পুরো পরিবার রবীন্দ্রনাথের উত্তরাধিকার বহন করছে। কিন্তু একজন ইংরেজ গর্ডন কানিংহাম কীভাবে রবীন্দ্রনাথের উত্তরাধিকার বহন করলেন সে প্রশ্ন রচনাটি পাঠের পর আমার কাছে প্রোজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। ‘Walk Alone : a glimpse of Tagore in my Life’ প্রবন্ধে মঞ্জুলা দত্ত আরো বেশ কয়েকটি গান উপস্থাপন করেছেন। ‘ওরে, নূতন যুগের ভোরে/দিসনে সময় কাটিয়ে বৃথা সময় বিচার করে।’ কিংবা ‘আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে।/ তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে’। লন্ডনে ১৯১৩ সালের ২৪ আগস্ট রচিত, ‘এ মণিহার আমায় নাহি সাজে—/এরে পরতে গেলে লাগে, এরে ছিঁড়তে গেলে বাজে।’ বা ‘এই কথাটি মনে রেখো,/তোমাদের এই হাসিখেলায়/ আমি যে গান গেয়েছিলেম/ জীর্ণ পাতা ঝরার বেলায়।’ এ গানটি মুদ্রণ প্রমাদের কারণে মাত্র দু’টি লাইন ছাপা হয়েছে। পরে বাকি লাইনগুলো ভুল স্বীকার করে একিউম্যান তাদের ওয়েভে প্রকাশ করেছে। কিংবা ‘যে তরণীখানি ভাসালে দুজনে আজি, হে নবীন সংসারী,/কান্ডারী কোরো তাহারে তাহার যিনি এ ভবের কান্ডারী’ এবং ‘আনন্দধারা বহিছে ভুবনে,/দিনরজনী কত অমৃতরস উথলি যায় অনন্ত গগনে’। এছাড়া রবীন্দ্রনাথের কবিতা বীরপুরুষ নিয়ে এ প্রবন্ধে কথা বলেছেন মঞ্জুলা।

মঞ্জুলা দত্তের রচনাটিতে গভীর কোনো বীক্ষণ কিংবা চিন্তার রেখাপাত নেই। নেই অতিব্যাখ্যার বিড়ম্বনা। তারপরও স্মৃতিচারণের মধ্যদিয়ে তিনি রবীন্দ্রনাথের উত্তরাধিকার (লেগেসি) বহনের সরল দৃশ্য অঙ্কন করেছেন। এই একটি প্রবন্ধ পেয়েই একিউম্যান ৯১তম সংখ্যাটি রবীন্দ্রনাথের জন্য বিশেষায়নে অভিসিক্ত করেছে। রবীন্দ্র বিষয়ক আরো বেশি রচনা থাকা উচিত ছিল এই বিশেষ আয়োজনে। কেন নেই তার কোনো ব্যাখ্যাও দেননি সম্পাদক পেট্টিসিয়া অক্সলি। তবে আমার সঙ্গে ফোনালাপে আগামীতে আরো কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন। পুরো সংখ্যায় স্থান পেয়েছে দীর্ঘ কবিতা বিষয়ক রচনা ‘Plea for the long poems’। এতে বিধৃত হয়েছে দীর্ঘ কবিতার সংকটকাল এবং একে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা। স্থান পেয়েছে বেশকিছু গ্রন্থালোচনা এবং পাঠ প্রতিক্রিয়া। দেখা গেল পাঠকদের প্রতিক্রিয়াকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে থাকে একিউম্যান। উইলিয়াম অক্সলিনের নেওয়া কবি পিটার ডেলের দীর্ঘ সাক্ষাৎকারও স্থান পেয়েছে। সবচেয়ে বেশি স্থান পেয়েছে কবিতা। নবীন-প্রবীণ মিলিয়ে অর্ধ শতাধিক কবিতা স্থান পেয়েছে এতে।

 
Electronic Paper