ক্ষুদিরামকাব্য
একবার বিদায় দে মা
রকিবুল হাসান
🕐 ২:৪০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৯, ২০১৯
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে ক্ষুদিরাম বসু যে বয়সে যে দৃঢ়তায় নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তা আজও যেন এইমাত্র ঘটে-যাওয়া কোনো ঘটনা। রক্তে আগুন ধরানো প্রতিবাদী এক কিশোর-চরিত্র যা মুক্তির অপ্রতিরোধ্যতায় মৃত্যুর সোপানে আঁকা। অষ্টম শ্রেণির একজন ছাত্র যার বয়স মাত্র আঠারো বছরের একটু বেশি, তিনি ভারতবর্ষ থেকে ব্রিটিশ বিতাড়িত করার প্রত্যয়ে রুখে দাঁড়াবেন, ভারতবর্ষের ত্রাস কিংসফোর্ডের গাড়িতে বোমা মারবেন এবং এর পরিণতি কী ভয়াবহ হতে পারে তা জেনেও বোমা মারেন কিংসফোর্ডের গাড়িতে, কিন্তু ভাগ্যক্রমে তিনি গাড়িতে ছিলেন না, ছিলেন কেনেডি নামের এক মহিলা ও তার কন্যা, মরল তারা দুজনেই।
প্রফুল্ল চাকি গ্রেফতারের আগেই আত্মহত্যা করেন। ক্ষুদিরাম গ্রেফতার হন এবং বিচারকার্য শুরু হয়। বিচারে চূড়ান্ত রায় বোমা নিক্ষেপকারী ক্ষুদিরামের ফাঁসি। কিশোর ক্ষুদিরাম বসু সেই ফাঁসির দড়ি হাসিমুখে গলায় পরবে, সে সময় হয়তো অনেকেই তা ভাবতেও পারেনি। ইচ্ছে করলে বয়সের অজুহাতে অথবা ঘটনায় নিজের সক্রিয় অংশগ্রহণের কথা অস্বীকার করে মুক্তি পেতে পারতেন তিনি। অথচ তিনি এসবের কিছুই করেননি। যা সত্য তাই তিনি বলেছেন। মৃত্যু জেনেও সবার অনুরোধ উপরোধ, আপনজনদের স্নেহ-মমতা-ভালোবাসা তুচ্ছ করে, দেশমাতাকে মুক্ত করাই তার কাছে প্রথম ও প্রধান হয়ে উঠেছিল, তিনি মৃত্যুকে গ্রহণ করে সেই সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ক্ষুদিরামের এই ইতিহাস ভারতবর্ষের মানুষের জানা। কিন্তু এই জানা বিষয়টিকেই নতুনরূপে অসাধারণ শিল্প-সুষমায় নাট্যগ্রন্থ রূপ দিয়েছেন সাংবাদিক-লেখক ড. কাজল রশীদ শাহীন।
ড. কাজল রশীদ শাহীনের ‘একবার বিদায় দে মা’ কতবার যে এপিঠ-ওপিঠ করে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে পড়েছি তা বলা মুশকিল। মন্ত্রমুগ্ধের মতো গ্রন্থটি আমাকে ধরে রেখেছে। সাহিত্যের ধরনবিচারে গ্রন্থটি নাটকের ধাঁচে লেখা এতে সাতান্নটি দৃশ্যের অবতারণা আছে। সাহিত্যের সব শাখার গ্রন্থ পাঠের আগ্রহ রয়েছে আমার, তারপরও নাটক-পাঠের থেকে মঞ্চস্থ দেখতেই আমার আগ্রহ বেশি। কিন্তু কোনো কোনো বিশেষ নাটক পাঠেও যে গভীর মনোনিবেশ কেড়ে নেয়, এরকম নাটকের সংখ্যাও একেবারে কম নয়।
এই সময়কালে রচিত খুব কম নাটকেরই এই যোগ্যতা আছে। অধিকাংশ নাটকই এখন রচিত হয় সস্তা সংলাপে এবং অর্থহীন বিষয়কে কেন্দ্র করে। সেখানে লেখকের নিজের যেমন কোনো দর্শন থাকে না তেমনি থাকে না সমাজের জন্যও। চেতনার কোনো ব্যাপার তো কল্পনাও করা যায় না। সে ক্ষেত্রে ‘একবার বিদায় দে মা’ অসাধারণ এক সৃষ্টি বলে ধারণা করি। মস্তিষ্কের কোষে কোষে এ নাটকটির প্রতিটি শব্দ ও সংলাপ যেন গেঁথে যাওয়ার মতো। আমার কখনো কখনো মনে হয়েছে, ক্ষুদিরামকে নিয়ে এটি নাটক হলেও, এটি আসলে একটি কাব্য। শব্দের গাঁথুনি, ছন্দের মতো স্রোতের দারুণ একটা গতি তৈরি হয়েছে শব্দে-বর্ণে-বাক্যে। কী অদ্ভুতভাবে এক কিশোর দেশপ্রেমের অপ্রতিরোধ্য দৃঢ়তা সরল স্রোতের মতো চেতনার গভীরে প্রোথিত করে, ভাবলে বিস্ময়ের শেষ থাকে না। আবার গ্রন্থটি পাঠের সময় ছোটগল্পের মতো অতৃপ্ত তৃষ্ণা প্রবল এক আকর্ষণে টেনে নিয়ে যায়, নিজেকে সেখানে ভুলে যেতে হয়, ভেতরে ভেতরে নিজেই ক্ষুদিরাম হয়ে উঠি। ঐতিহাসিক বিখ্যাত চরিত্রকে কেন্দ্র জীবন্ত ও প্রাণবন্ত সৃজনশীল সাহিত্যসৃষ্টি আমাদের সাহিত্যে বহু আছে; কিন্তু এই সময়কালে এরকম সৃষ্টির ক্ষেত্রে রীতিমতো খরা যাচ্ছে এ কথা বলাই যায়। আবার এটাও ঠিক এ ধরনের শিল্পসার্থক সাহিত্যসৃষ্টি সহজকর্ম নয়, বিখ্যাত চরিত্রকে আত্মস্থ করে সাহিত্যসৃষ্টির জন্য একজন লেখকের যে ধরনের ব্রত-সাধনা-মনোনিবেশ প্রয়োজন হয়, সেই ব্যাপারটিও এখন অনেক কম। বলা যায়, ড. কাজল প্রায় একরকম বিরাণ সময়ে সেই কঠিনকর্মটি সহজ ও সাবলীলভাবে করে দক্ষতা দেখিয়েছেন; একই সঙ্গে চেতনার তারে দেশপ্রেমের বোধের গভীর সুরটিও ধ্বনিত করেছেন, যা পাঠককে তার ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে ভাবিত করে।
দুই.
‘একবার বিদায় দে মা’ গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে একটি বিশেষ গ্রন্থ এবং এই গ্রন্থের প্রধান চরিত্র ক্ষুদিরাম আমাদের অন্তরের চিরকালের অতিআপন। ভারতবর্ষে ব্রিটিশশাসিত ইতিহাস দীর্ঘ একশ নব্বই বছরের। প্রহসনমূলক এক যুদ্ধে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার পরাজয়ের ভেতর দিয়ে এ দেশে ব্রিটিশ শাসন কায়েম হয়। কিন্তু এই শাসন-শোষণ-নির্যাতন ভারতবর্ষের মানুষ কখনই মেনে নেয়নি। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে, যুদ্ধ হয়েছে, মৃত্যুর সোপানে বিপ্লবীরা নাম লিখিয়েছেন। পলাশী যুদ্ধের মাত্র তিন বছর না পেরোতেই ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হয় যশোরে। তারপরে ঘটে বিহারে। ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের আরেকটি অন্যতম আন্দোলন ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ। ১৭৬৪ সালে বিহারের সারন জেলায় সন্ন্যাসী বিদ্রোহের প্রধান নায়ক ফকির মজনু শাহ (১৮শ শতাব্দী) ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। তাঁর সঙ্গে যোগ দেন বাংলার ভবানী পাঠক, নুরুল মুহম্মদ, পীতম্বর, দেবী চৌধুরানী প্রমুখ। ১৭৭২ সালের ৩০ ডিসেম্বর রংপুরের কাছে জাফরগঞ্জে বিদ্রোহী ও ইংরেজদের মধ্যে সম্মুখযুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধে ইংরেজ সেনাপতি টমাস পরাজিত ও নিহত হন। এরপর নতুন সেনাপতি অ্যাডওয়ার্ডসের নেতৃত্বে ইংরেজরা আবার আক্রমণ করে। বিদ্রোহীরা তাঁদের সমরকৌশল পরিবর্তন করে গেরিলা যুদ্ধের কৌশল গ্রহণ করে। এতে ইংরেজবাহিনী আবার পরাজিত হয় ও অ্যাডওয়ার্ডস নিহত হন।
ইংরেজদের বিরুদ্ধে এই ভূখণ্ডের মানুষ একের পর এক আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। ১৭৯৩ সালে ইংরেজরা কৃষকদের ওপর ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রথা’ চাপিয়ে দিলে তারা আরও প্রতিবাদী হয়। তৎকালীন সময় অনেক বিপ্লবী সন্তানের হাত ধরে তারা সংগঠিত হয়। ১৭৯৯ সালে হায়দার আলী ও তাঁর ছেলে টিপু সুলতান ইংরেজদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুললেন। ফরাসিদের সহায়তায় টিপু সুলতান আধুনিক সেনাবাহিনী গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ইংরেজ-শক্তির কাছে তাঁর চেষ্টা ব্যর্থ হলে, তাঁর এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিতুমীর (১৭৮২-১৮৩১)। হাজি শরীয়তুল্লাহ (১৭৮১-১৮৪০) ও দুদুমিয়া (১৮১৯-১৮৬০) সে সময়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন।
১৭৯৯ সালে ইংরেজদের বিরুদ্ধে পলিগার বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। যার প্রধান নেতা ছিলেন পাঞ্জালাল কুরিচির বীর পান্ডেয়ম কাট্রাবোম্মান। তাঁকে ইংরেজরা ফাঁসি দিয়ে হত্যা করে। ১৮২৫ সালে বিধবা রানী চান্নাম্মা এবং তাঁর পরবর্তীতে ১৮৩০ সালে সাঙ্গোলির চাষির ছেলে বায়ান্না ইংরেজবিরোধী আন্দোলনে প্রাণ দেন। এভাবে আদিবাসী বিদ্রোহ (১৮৩০-১৮৩৩), সাঁওতাল বিদ্রোহ (১৮৫৫-৫৭), সিপাহী বিদ্রোহ (১৮৫৭), নীল বিদ্রোহ (১৮৫৯-৬১) প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য এসব আন্দোলনের মাধ্যমে এ উপমহাদেশের সূর্য-সন্তানরা প্রাণপণ চেষ্টা করে ব্রিটিশদের এই উপমহাদেশ থেকে বিতাড়িত করতে।
উনিশ শতকের শেষ পর্যায়ের কয়েকটি ঘটনা বিপ্লবীদের স্বাধীনতা অর্জনে উদ্বুদ্ধ করে। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলন হয়। এ আন্দোলন ‘স্বদেশী আন্দোলন’ নামে পরিচিত। ১৯০৫-এর এই স্বদেশী আন্দোলন ভারতের জাতীয় ইতিহাসের পাতায় এক যুগান্তকারী ঘটনা। ৭ আগস্ট ১৯০৫ সাল থেকে ১২ ডিসেম্বর ১৯১১ সাল পর্যন্ত এর ইতিহাস সুবিস্তৃত।
ভারত-স্বাধীনতার সশস্ত্র সংগ্রামের ইতিহাস এভাবেই শুরু হয়। ব্রিটিশরা কৌশলে এই উপমহাদেশে তাদের শোষণ-ইতিহাস আরও সুদীর্ঘ করতে চেয়েছিল বঙ্গভঙ্গের মাধ্যমে। কিন্তু তাদের সে দুরভিসন্ধি এ দেশের মনীষীরা বুঝতে পারে এবং বঙ্গভঙ্গের তীব্র প্রতিবাদ জানায়। ১৯০৫ সালের ৭ আগস্ট; কলকাতার টাউন হলের সভার পরে বাংলার ছাত্র ও যুবসম্প্রদায় এই আন্দোলনে ক্রমশই সক্রিয় অংশগ্রহণ করে। ছাত্র-যুবসমাজের আন্তরিক অংশগ্রহণের ফলে আন্দোলনের প্রখরতা-আবেদন-গতিবেগ দ্রুত সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। ১৯০৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর কলকাতার কালীঘাট মন্দিরের সামনে মহালয়ার দিন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ বিলাতি দ্রব্য বর্জনে ঐক্যবদ্ধ হয়। স্বদেশী আন্দোলনের তীব্রতায় পূর্ববঙ্গে আলোড়িত হয়। স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিলাতি দ্রব্য বর্জনে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়। পূর্ববঙ্গে স্বদেশী আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে।
সমগ্র বাঙালির ইচ্ছার বিরুদ্ধে ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর বঙ্গভঙ্গ কার্যকরী হয়। বাঙালি তার সমস্ত প্রাণশক্তি দিয়ে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিল। রবীন্দ্রনাথ এর বিরোধিতাস্বরূপ এই দিনেই ‘রাখী-বন্ধন’ উৎসবের আয়োজন করেন, তাঁর সঙ্গে ছিল রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী। হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উজ্জীবিত করতে চেয়েছিলেন।
ভারতকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে ইংরেজদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম করার জন্য এ সময় গড়ে ওঠে বিপিন বিহারী গঙ্গোপাধ্যায় (বিপিন গাঙ্গুলী, ১৮৮৭-১৯৫৪)-এর আত্মোন্নতি সমিতি (১৮৯৭), হরিকুমার চক্রবর্তী (১৮৮২-১৯৬৩)-এর চব্বিশ পরগনার চিংড়িপোতা দল (১৯০৬), যতীন রায় (১৮৮৯-১৯৭২)-এর উত্তরবঙ্গ, প্রজ্ঞানন্দের বরিশাল দল, হেমেন্দ্রকিশোর আচার্য (১৮৮১-১৯৩৮)-এর মৈমনসিংহ দল ও পূর্ণদাস (১৮৮৯-১৯৫৬)-এর অধীনস্থ ফরিদপুরের মাদারীপুর দল। এরা পরবর্তীতে যুগান্তর সমিতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে বৃহৎভাবে সশস্ত্র বিপ্লব ঘটানোর পরিকল্পনা করেন। বিপ্লবী বাঘা যতীন ও নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য সশস্ত্র বিপ্লব সংগঠিত করার জন্য দেশ-বিদেশে নিরন্তর পরিশ্রম করেন। আন্তর্জাতিক যোগাযোগ তৈরি করে অস্ত্র সংগ্রহ করে বিপ্লব ঘটাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের এ প্রয়াস ব্যর্থ হয়েছিল। অবিশ্বাস্যরকম স্বদেশপ্রেম ও প্রাণে বিশাল উদারতা ধারণ করে তাঁরা সর্বজন-হিত-সাধনে ব্রতী মহাপুরুষ ছিলেন।
ক্ষুদিরাম কিশোর হলেও তিনি তাঁর দেশপ্রেম-অসীম সাহস-আত্মত্যাগের মাধ্যমে ভারতবর্ষের আকাশে চির ধ্রুবতারা হয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাঁর মহান আত্মত্যাগ ভারতবর্ষের কিশোর-তরুণের রক্তে অগ্নিবিপ্লবস্পৃহা তৈরি করেছিল, সবাই নাম লিখিয়েছিল মৃত্যুর সোপানে। আর তাতেই অর্জিত হয়েছিল ভারতবর্ষের স্বাধীনতা। যা রীতিমতো অবিশ্বাস্য, কিন্তু এটিই সত্য এটিই ইতিহাস। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে অসংখ্য যে কিশোর-তরুণ আত্মবলিদান দিয়েছেন, ক্ষুদিরাম তো তাঁদের প্রেরণার অগ্নিশিখা ছিলেন।
তিন.
এত কথা বলা এ কারণে, ক্ষুদিরাম কিশোর হলেও হুট করে তিনি তৈরি হননি। পরাধীন ভারতবর্ষের অপমান ও গ্লানির আগুন এবং তার পূর্বসূরিদের বিপ্লব ও আত্মত্যাগ তাঁকে ‘ক্ষুদিরাম হয়ে-উঠতে’ প্রবলভাবে তাড়িত করেছিল। আর সেই আগুন তিনি ছড়িয়ে দিয়েছিলেন গোটা ভারতবর্ষের রক্ত-শিরা-ধমনিতে। দীর্ঘকালের পরাধীন এক দেশের ভয়াবহ যন্ত্রণা ও দগদগে অসহ্য ক্ষত ক্ষুদিরামকে তৈরি করেছিল, যেখানে তিনি সত্যসাধক মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো মহান বিপ্লবী।
আমাদের তরুণ প্রজন্মের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হওয়ার জন্য ‘একবার বিদায় দে মা’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কারণ দেশকে ভালো না-বাসলে নিজেকে ভালোবাসা যায় না এই পরম সত্য গ্রন্থটির পরতে পরতে ছড়ানো। পাঠককে অনুরোধ জানাই, গ্রন্থটি পড়ে দেখুন।