জীবনবাদী পার্ল
সাব্বির নোমান
🕐 ১২:০৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ০৮, ২০১৯
ঔপন্যাসিক পার্ল এস বাক। পুরো নাম পার্ল সিডেনস্ট্রিকার বাক। ১৮৯২ সালের ২৬ জুন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ভার্জিনিয়ার হিলসবরোতে তার জন্ম। পার্লের মিশনারি বাবা-মা দুজনই বিয়ের পর স্থায়ী হন চীনে। তাই পার্লের জীবনের বেশির ভাগ সময় কেটেছে চীনে। নিজের ভাষা শেখার আগেই তিনি শিখেছিলেন চীনা ভাষা। তাই তার লেখায় চীন জীবন্ত ও জ্বলন্ত।
সবমিলিয়ে পার্ল এস বাক লিখেছেন ৪০টি উপন্যাস, ২১টি গল্প, ১২টি নন-ফিকশন, রান্নার বই ও চারটি আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ। তার বিখ্যাত বইগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘দ্য গুড আর্থ’, ‘দ্য সান’, ‘দ্য মাদার’, ‘কাম মাই বিলাভেড’, ‘সাটান নেভার স্পিস’, ‘ইমপেরিয়াল ওম্যান’, ‘প্যাভিলিয়ন অব ওম্যান’, ‘গডসমেন’, ‘লেটার ফ্রম পিকিং’, ‘দ্য চিলড্রেন হু নেভার গ্রো’, ‘মাই সেভারেল ওয়ার্ল্ড’, ‘এ ব্রিজ ফর পাসিং’, ‘দ্য একজাইল অ্যান্ড ফাইটিং অ্যাঞ্জেল’।
বাকের লেখায় উঠে এসেছে চীনা জীবনযাত্রা, মিশনারিদের কাজ ও যুদ্ধের কথা। সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ১৯৩৮ সালে নোবেল পুরস্কার ছাড়াও ১৯৩২ সালে পুলিৎজার, ১৯৩৫ সালে উইলিয়াম ডিন হাওয়েলস মেডেল পান তিনি। ৮০ বছর বয়সে ১৯৭৩ সালের ৬ মার্চ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পার্ল এস বার্ক শুধু লেখকই নন, তিনি ছিলেন সম্পাদক ও সক্রিয় রাজনৈতিককর্মী। পার্ল যে বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, সেটাকে বর্তমানে পরিণত করা হয়েছে জাদুঘর এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে। নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পার্লের বাড়িটি এখন ‘পার্ল এস বাক হাউস’ নামে পরিচিত।